img

মমেক হাসপাতালের করোনায় ঝরলো ১৮ প্রাণ

প্রকাশিত :  ০৮:১২, ৩০ জুলাই ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ২০:৫৯, ৩০ জুলাই ২০২১

মমেক হাসপাতালের করোনায় ঝরলো ১৮ প্রাণ

জনমত ডেস্ক : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন করোনায় এবং ১০ জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান মুন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ইউনিটটিতে করোনায় মারা গেছেন- ময়মনসিংহের পাঁচজন, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনার একজন করে।

তারা হলেন- ময়মনসিংহ সদরের জোবেদা খাতুন (৯০), বাহার উদ্দিন (৬৫), হালুয়াঘাটের রুহুল আমিন (৫৬), ফুলপুরের দুলাল উদ্দিন (৬৫), মোসলেম উদ্দিন (৭৭), শেরপুর সদরের রহিমা বেগম (৫০), জামালপুরের রফিকুল ইসলাম (৭২) ও নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার মালেকা বেগম (৭২)।

এ ছাড়া ওই সময়ের মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন- ময়মনসিংহের পাঁচজন, জামালপুরের দুজন, টাঙ্গাইলের দুজন এবং নেত্রকোনার একজন।

তারা হলেন- ময়মনসিংহ সদরের সুফিয়া জামান (৭০), আনোয়ারা খাতুন (৬০), ফুলপুরের সুলেমা খাতুন (৫৭), তারাকান্দার আব্দুল খালেক (৬৮), মুক্তাগাছার শামসুন্নাহার (৬৪), জামালপুর সদরের জোবেদা বেগম (৫৫), ইসলামপুর উপজেলার আব্দুর খায়ের (৬১), টাঙ্গাইল সদরের মনি (৫০), মধুপুরের জহর আলি (৮০) ও নেত্রকোনা সদরের রবিউল ইসলাম (৮০)

ডা. মহিউদ্দিন খান মুন জানান, করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৪৭২ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২ জন রোগী। নতুন ভর্তি হয়েছেন ৬৬ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬১ জন।

এদিকে ময়মনসিংহ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৯৪ নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪৮ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম।

img

আজ কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত :  ০২:৩৪, ১৩ মে ২০২৪

আজ সোমবার কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ভিড়তে চলেছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি দশা থেকে মুক্তির ঠিক এক মাস পর বাংলাদেশে ভিড়ল জাহাজটি।

জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির পর বাড়ির পথে যাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমি যেন দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি।

জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম জানান, জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে সোমবার সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে।

কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। জাহাজে বর্তমানে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে। সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন।

এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে বলে জানা গেছে।

মেহেরুল করিম বলেন, আমদানিকারকের পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্গো খালাস করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয় বলে জানায় মালিকপক্ষ। বিপুল পরিমাণ মুক্তিপণ আদায়ের পর ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে দেয়।

মুক্তির পর জাহাজটি ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছিল। সেখান থেকে চুনাপাথরের আমদানির জন্য শনিবার মিনা সাকার বন্দরে যায়।