img

টিকার খবর নেই, অথচ ঘটা করে প্রচারণা

প্রকাশিত :  ০৬:৪১, ০৫ আগষ্ট ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৫৭, ০৫ আগষ্ট ২০২১

টিকার খবর নেই, অথচ ঘটা করে প্রচারণা

জনমত ডেস্ক: করোনা টিকা নিয়ে অদ্ভুত এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে। যদিও বন্ধ হয়ে যাওয়া টিকাদান কর্মসূচি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। জাপানের কাছ থেকে উপহার পাওয়ায় প্রায় পনের লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েও অনিশ্চয়তা দূর হয়েছে।

কিন্তু করোনার চিত্র পাল্টাতে পারে এমন গতির টিকাদান কর্মসূচি এখনও শুরু করা যায়নি। এই প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছিল ৭ই আগস্ট থেকে এক সপ্তায় এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে। ঘটা করে প্রচারণা চলতে থাকে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলে বসেন, ১১ই আগস্ট থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী কেউ টিকা ছাড়া বাসা থেকে বের হলেই শাস্তি দেয়া হবে। যেন আলাদিনের চেরাগ পাওয়া গেছে। এক সপ্তায় আটাশ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়ে যাবে।

সর্বশেষ জানা যাচ্ছে এক সপ্তাহের কর্মসূচি সীমিত করা হয়েছে। সাত দিনের পরিবর্তে এখন এক দিন এ কর্মসূচি পালিত হবে। মূলত টিকার পর্যাপ্ত মজুত না থাকার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক যুগান্তরে।তিনি বলেন, সবকিছুই নির্ভর করছে সময়মতো টিকা পাওয়ার ওপর। শনিবার টিকা দেওয়া হবে। এতে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংযুক্ত থাকবে। কর্মসূচির মূল লক্ষ্য বয়স্কদের টিকার আওতায় আনা।কারণ তাদের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রবণতা কম এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও বেশি। তবে বয়স্কদের পাশাপাশি অন্যরাও টিকা পাবেন। তিনি বলেন, এখনই ১৮-ঊর্ধ্ব সবাইকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না।

এই টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে অবশ্য বহু প্রশ্নেরই জবাব মিলছে না। হাজার হাজার মানুষ রেজিস্ট্রেশন করে টিকার অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের টিকা না দিয়ে ৭ই আগস্টের জন্য কেন অপেক্ষা করা হল তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। দ্বিতীয়ত, টিকার পর্যাপ্ত মজুত যদি নাই থাকে সপ্তাহ ঘিরে কেন এই ব্যাপক প্রচারণা চালানো হলো। যদিও গ্রামে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত একটি ভালো পদক্ষেপ।

কিন্তু লাখ লাখ মানুষ যদি লাইনে দাঁড়িয়ে যেতো তাদের কি টিকা দেয়া যেতো? সেটা নিয়েই চলছে নানা আলোচনা। 

img

কোভিডের চেয়েও ১০০ গুণ খারাপ হতে পারে বার্ড ফ্লু !

প্রকাশিত :  ০৯:৪৮, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৫৫, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

পুরো বিশ্ব এখনও করোনাভাইরাস মহামারি থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসেনি। এরই মধ্যে এখন এইচফাইভএনওয়ান অর্থাৎ বার্ড ফ্লু মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। এটি কোভিড-১৯ এর থেকেও মারাত্মক একটি রোগ। বিজ্ঞানীরা এবং বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়েই সতর্ক করে জানিয়েছেন যে বার্ড ফ্লু মহামারী করোনার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি বিপজ্জনক হতে পারে এবং এর ফলে সংক্রামিতদের ৫০ শতাংশের মৃত্যুও হতে পারে।

সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বার্ড ফ্লু মহামারি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এইচফাইভএনওয়ান ভাইরাস কোভিড-১৯-এর চেয়ে বহুগুণ বেশি ধ্বংসাত্মক হতে পারে। ব্রিটেন ভিত্তিক ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বার্ড ফ্লুর এইচফাইভএনওয়ান স্ট্রেন ভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি হয়ে উঠতে পারে। এমনটাই নাকি ইঙ্গিত দিয়েছেন ভাইরাস নিয়ে গবেষণাকারী বিজ্ঞানীরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গত দুই দশকে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের কারণে ৪৬০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই সরাসরি পাখি থেকে সংক্রমিত পেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই গরু, বিড়াল এবং মানুষ সহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে বেশ কিছু এইচফাইভএনওয়ান সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। এই ভাইরাস এখন দ্রুতগতিতে মানুষের মধ্যেও ছড়াতে শুরু করেছে। সম্প্রতি, টেক্সাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা তারই জ্বলন্ত উদাহরণ।

স্তন্যপায়ী প্রাণীর থেকে হতে পারে সংক্রমণ

টেক্সাসে গরুর সংস্পর্শে আসা এক ব্যক্তি বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন। রোগীকে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যক্তির বার্ড ফ্লুর একমাত্র লক্ষণ হিসাবে তাঁর চোখ লাল হতে দেখা গিয়েছিল। বার্ড ফ্লু, যা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামেও পরিচিত, একটি ভাইরাস যা প্রাথমিকভাবে পাখিদের প্রভাবিত করে। এদিকে গরুর থেকে এই সংক্রমণ হওয়ায় স্বাস্থ্য আধিকারিকরা তাই বলেছেন যে বিশ্বব্যাপী কোনও স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে এই ধরণের বার্ড ফ্লু সংক্রমণের এটি প্রথম পরিচিত ঘটনা।

এই ভাইরাসের লক্ষণ

জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, পেশী ব্যথা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, বমি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ইত্যাদি।

কীভাবে রেহাই পাবেন

১) সংক্রামিত পাখির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন

২) মৃত পাখি স্পর্শ করবেন না।

৩) পোল্ট্রি পণ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রান্না করুন।

৪) ঘন ঘন হাত ধোবেন।

৫) কাশি বা হাঁচির সময় মুখ ও নাক ঢেকে রাখুন।

৬) আপনি অসুস্থ হলে, একজন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং অন্য ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন।

মানুষের মধ্যে বার্ড ফ্লু সনাক্ত করা কঠিন

২০২০ সাল থেকে, বার্ড ফ্লু ভাইরাস বিভিন্ন দেশে কুকুর, বিড়াল, ভাল্লুক এমনকি সীলের মতো প্রাণীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। সাবেক সিডিসি মহামারী বিশেষজ্ঞ ডাঃ আলী খান এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আমেরিকান প্রাণীদের মধ্যে এই রোগ শনাক্ত করা সহজ নয়। ১৯৯৭ সালে হংকংয়ে ছড়িয়ে পড়ার সময় এই বার্ড ফ্লু ভাইরাসটি প্রথম মানুষের জন্য হুমকি হতে পারে, তা জানা গিয়েছিল।