img

লেবাননে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল

প্রকাশিত :  ১৩:২৪, ০৫ আগষ্ট ২০২১

লেবাননে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে কবলিত রাষ্ট্র লেবাননের শিয়া ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর রকেট হামলার জবাবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দেশটির সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে তথ্যটি জানানো হয়।

সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবাননের যে এলাকা ও অবকাঠামোসমূহ থেকে সম্প্রতি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হয়েছিল, সে সব স্থানে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

এছাড়া আগে রকেট হামলা চালানো হতো- দক্ষিণ লেবাননের এমন একটি লক্ষ্যেও আঘাত হানা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

লেবাননে হিজবুল্লাহর মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল আল-মানার তাদের খবরে জানিয়েছে, ইসরায়েলের সীমান্ত থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে লেবাননের মাহমুদিয়া শহরের প্রান্তীয় দুই এলাকায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো এবার আক্রমণ চালিয়েছে।

বুধবার লেবানন থেকে ছোড়া দুটি রকেট ইসরায়েলে গিয়ে পড়ার পর গোলাবর্ষণ করে তার জবাব দিয়েছিল দখলদার বাহিনী। যদিও এবার বিমান হামলাও চালিয়েছে তারা।

গেল বুধবার লেবাননের সীমান্ত এলাকার কাছে ইসরায়েলের কিরিয়াত শমোনো শহর সংলগ্ন এলাকায় রকেট হামলা ঘটে। এ বিষয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে আছড়ে পড়ে এবং অন্য দুটি ইসরায়েলের ভেতরে আঘাত হানে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবারের হামলার দায় কেউ দায় স্বীকার না করলেও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের যে এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছিল সেসব এলাকা ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গেরিলাদের নিয়ন্ত্রণাধীন। তবে ওই রকেট হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বিশ্লেষকদের মতে, লেবাননের হিজবুল্লাহ গেরিলাদের সঙ্গে ২০০৬ সালে ইসরায়েলের এক যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশের সীমান্ত মোটামুটি শান্ত ছিল। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। লেবাননভিত্তিক শিয়া ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর হাতে অত্যাধুনিক রকেট আছে।

যদিও অতীতে বিভিন্ন সময়ে লেবাননের হিজবুল্লাহর ফিলিস্তিনপন্থি একটি অংশ বিক্ষিপ্তভাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে। গত ২০ জুলাইও ইসরায়েলে দুটি রকেট নিক্ষেপ করেছিল হিজবুল্লাহ। তবে ওই হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

img

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪১

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৭ জন। 

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার এক কর্মকর্তা।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাঁট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত আমরা ৩৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে আজ সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন। বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস।

এখন পর্যন্ত কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি ইলহাম ওয়াহাব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তল্লাশি অভিযানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

বন্যার কারণে রাস্তাঘাট যেন নদীতে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় মসজিদ এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ভেসে গেছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় বন উজাড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২২ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় দুই শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।