সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ কামাল-এর ৭২ তম জন্ম বার্ষিকী পালন

প্রকাশিত :  ০৭:০২, ০৭ আগষ্ট ২০২১

সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ কামাল-এর ৭২ তম জন্ম বার্ষিকী পালন

সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ০৫ আগস্ট ২০২১ তারিখ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭২ তম জন্ম বার্ষিকী পালন করে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে সামাজিক দূরত্ব বিধি বলবৎ থাকায় শুধুমাত্র দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের অংশগ্রহণে দূতাবাস ঘরোয়াভাবে এ অনুষ্ঠান পালন করে।

দিনের কর্মসূচি পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ হতে পাঠ করার মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালসহ জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অতঃপর দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন এবং শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের গৌরবময় জীবন সম্পর্কে আলোচনা করেন। মুক্তিযুদ্ধের বড় সংগঠক হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন এ বিষয়ে বক্তাগণ আলোকপাত করেন।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাঁর জীবনী সম্পর্কে আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত বলেন যে, বহু গুণের অধিকারী শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া, দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে এবং বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিশেষত যুব সমাজের কাছে অফুরন্ত অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তিনি শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের গৌরবময় জীবন ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সকলকে জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান।

কমিউনিটি এর আরও খবর

গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত :  ০৪:৪৯, ২৮ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৩২, ২৮ মার্চ ২০২৪

গ্রেটার সিলেট ডেভেলাপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইন ইউকের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল গত ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়।

পূর্ব লন্ডনের লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমির হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারপার্সন ব্যারিস্টার আতাউর রহমান। সাধারন সম্পাদক খছরু খানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল এস টেলেভিশনের ফাউন্ডার মাহি ফেরদৌস জলিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন এন্টার প্রাইজ একাডেমির প্রিন্সিপাল আশিদ আলী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জিএসসি সাউথ ইস্ট রিজিওনের চেয়ারপার্সন এম এ আজিজ, সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী মির্জা আছহাব বেগ,সাউথ ওয়েস্ট রিজিওনের চেয়ারপার্সন সৈয়দ আখলাকুল আম্বিয়া রাবেল, জিএসসি ইস্ট মিডল্যান্ড রিজিওনের সেক্রেটারী ফিরোজ খান, কাউন্সিলর সৈয়দা লাভলী চৌধুরী, জিএসসি সাউথ ইস্ট রিজিওনের সাবেক চেয়ারপার্সন আরজু মিয়া এমবিই প্রমুখ। 

সভায় বক্তারা স্বাধীনতা আন্দোলনে নিহত বীর সেনাদের স্মরণ করেন, এবং লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুনাম অক্ষুন্ন রাখার আহবান জানান। বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অবদান তুলে ধরে বলেন, “দেশের স্বাধীনতার জন্য একাত্তরে আমাদের প্রবাসীরা আর্থিক সাহায্য দিয়ে, বিশ্ব জনমত গঠনে প্রবাসে মিছিল মিটিং করে বিজয় নিশ্চিত করতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন।” সভায় বক্তারা গাজায় ইসরায়েলি হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির আহবান জানান। 

ইফতার মাহফিলে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহতদের আত্মার শান্তি এবং বিশ্ব শান্তি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালিক।


কমিউনিটি এর আরও খবর