img

পরীমনিকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার, যা বললেন সিটি ব্যাংকের এমডি

প্রকাশিত :  ১১:০৯, ০৯ আগষ্ট ২০২১

পরীমনিকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার, যা বললেন সিটি ব্যাংকের এমডি

জনমত ডেস্ক: মাদক মামলায় গ্রেফতার চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়েছেন সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন সম্প্রতি গণমাধ্যমে এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

তবে এ সংবাদকে মিথ্যাচার বলে দাবি করেছেন মাসরুর নিজেই। তার দাবি, গাড়ি উপহার দেওয়া তো দূরের কথা পরীমনির সঙ্গে কখনই দেখা হয়নি এ ব্যাংক কর্মকর্তার। গত জুনে ‘উত্তরা বোট ক্লাব’ ঘটনায় পত্রপত্রিকার মাধ্যমে পরীমনি নামটা শুনেছেন মাত্র।

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এ বিষয়ে রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন তিনি। যুগান্তরের পাঠকদের জন্য পোস্টটি তুলে ধরা হলো—

‘আমেরিকায় বিএসইসি আয়োজিত বিনিয়োগ রোডশোতে অংশ নিয়ে আমি এখন ঢাকার পথে। এর মধ্যেই শিকার হলাম এক প্রবল মিথ্যাচারের। (একটি গণমাধ্যম) লিখে দিল- ‘একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিনের সঙ্গে পরীমনির অডিও রেকর্ডে একটি গাড়ি উপহার দেওয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত রুবেলের সঙ্গে পরীমনির গভীর সখ্যের বিষয়টি কথোপকথনে উঠে এসেছে।’

আমার কোনো কিছু বলার কোনো ভাষা নেই।

আমি এ মর্তের পৃথিবীতে, এই ধরাধামে পরীমনি নামের কাউকে দেখিনি। অতএব তার নম্বর আমার কাছে থাকার প্রশ্নই আসে না। এমনকি ‘বোট ক্লাব’ ঘটনার আগে পর্যন্ত পরীমনি নামটাও শুনিনি। আমার তখন মানুষকে জিজ্ঞাসা করতে হয়েছিল যে, কে এই পরীমনি?

আমার কাজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যাংকিং আর তার পর সাহিত্য নিয়ে পড়ে থাকা। ঢাকার কেউ (যারা ক্লাবে যান তাদের কেউ) বলতে পারবেন না তারা আমাকে কোনো দিন কোনো ক্লাব বা পার্টিতে দেখেছেন (এখানে আমি ক্লাব বা পার্টিতে যাওয়ার নিন্দা করছি না, সেটি যারা যাওয়ার তারা যেতেই পারেন; আমি শুধু বোঝাচ্ছি যে মানুষ হিসাবে আমার টাইপটা কী?)। এতটাই অফিস ও ঘরমুখী এক মানুষ আমি।

অতএব বলছি, পরীমনিকে গাড়ি দেওয়ার কথাটা আমার কানে লাগছে মঙ্গলগ্রহের ভাষায় বলা কিছুর কথার মতো।

আমার নিজের একটাও গাড়ি নেই। ব্যাংক আমাকে চলার জন্য গাড়ি বরাদ্দ দিয়েছে, তাতেই চড়ি। ব্যাংকের চাকরির শেষে নিশ্চয়ই কোনো ব্যাংক থেকে কার লোন নিয়ে একটা গাড়ি কিনে তাতে চড়ব।

কোনো অভিযোগের মধ্যে মিনিমাম এক সুতো সত্য থাকতে হয়। কিন্তু এ এক ভয়ঙ্কর বিষয় যে, আমি যাকে চিনি না, জীবনে যার বা যাদের সঙ্গে হ্যালো বলা দূরে থাক, যাদের নামটা পর্যন্ত আমি প্রথম জানলাম এই কদিন আগে, সেই নায়িকা বা মডেলকে আমি গাড়ি দিয়ে ফেললাম? কোথায় যোগাযোগ হলো আমাদের? ফোন কল? তার নাম্বার কী? কল রেকর্ড আনা হোক।

তা হলে ঘটনা কী? আমি সত্যি জানি না, ঘটনা কী। বুঝি যে, আমাকে নিয়ে (অর্থাৎ এক অর্থে সিটি ব্যাংক নিয়ে) একটা ‘সস্তা’ ষড়যন্ত্র চলছে।

গণমাধ্যমটির খবরে ওরা দেখেন সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যানের নামটা পর্যন্ত লিখতে পারেনি। লিখেছে—  ‘ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত রুবেলের সঙ্গে পরীমনির গভীর সখ্যের বিষয়টি...।’ শওকত রুবেল নামে মানুষটা কে? এই নামে তো কেউ নেই।

আমার ব্যাংকের চেয়ারম্যানের নাম আলাদা। সেটা শওকত রুবেল না।  আমার অনুমান এই যে, ব্যবসায়ী শওকত আজিজ রাসেল আমাদের ব্যাংক চেয়ারম্যানের ছোট ভাই। একটা গোষ্ঠী তার হয়তো ক্ষতি চায়, এবং তারা তাদের সেই চাওয়ার সঙ্গে তাকে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যান ভেবে নিয়ে ব্যাংক প্রধান হিসেবে আমাকেও নিষ্ঠুর ও বাছবিচারহীন এক সামাজিক নর্দমার মধ্যে ঠেলে দিতে এক মুহুর্ত দ্বিধা করলেন না।

তারা বুঝলেন না যে, ‘আগস্ট আবছায়া’ (বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ওপরে চার বছরের গবেষণা শেষে লেখা আমাদের অন্যতম এক প্রধান উপন্যাস), ‘আলথুসার’ বা ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ নামের উপন্যাসের লেখকের, বাংলায় ‘ফ্রানৎস কাফকা গল্পসমগ্র’ কিংবা ‘হোমারের ইলিয়াড’-এর এই অনুবাদকের এক পয়সা দুর্নীতির টাকাও থাকতে পারে না, যা দিয়ে তিনি নিজের জন্য—ব্যাংক লোন নেওয়া ব্যতিরেকে—একটা বিলাসী বা ভালো গাড়ি কিনতে পারেন। অন্যকে কিনে দেওয়ার কথা বাদই দিন।

এবার লেখক সত্তার জায়গা থেকে একটা কথা বলি— আইনি বিষয় ও সামাজিক বোঝাপড়ার বিষয়গুলো বেশ তো গুলিয়ে যাচ্ছে! আমার কাউকে কোনো গাড়ি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমার কাউকে ধরুন ভালো লাগল (যার সম্ভাবনা বাস্তবে কম, কারণ আমার দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে এক সুন্দর সংসার আছে), তখন তাকে যদি আমি আমার সামর্থ্যের মধ্যে দুই বক্স চকলেটও কিনে দিই, সেটি নিয়ে আইন ছাপিয়ে, সংবিধানের মৌলিক অধিকার ছাপিয়ে ‘সমাজের বিচার’ নামের যে-এক ড্রাগন আছে, সে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে হাউ হাউ করে উঠবে।

ব্যক্তিস্বাধীনতার সঙ্গে নৈতিকতার প্রশ্নকে টেনে এনে আইনের আরও ‘ঊর্ধ্বেই’ বা ‘বাইরেই’ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দৈনন্দিনের বাছবিচারগুলোকে। এ রকম সমাজে অনেকের লাভ। কারণ আমরা সাধারণ মানুষেরা তখন ইতিহাসের ল্যাবরেটরিতে কাঁউ-কাঁউ করে বেড়ানো ইঁদুর হয়ে থেকে যাই। আমাদের সেই ইঁদুর হওয়ার বিরুদ্ধে লড়তে  হবে। ব্যক্তিস্বাধীনতা প্রতি মুহূর্তের একটা ‘ongoing work’ । এই রাষ্ট্র আমাদের  স্বাধীনতাগুলো—স্বাধীনতার যে কাজটুকু অন্যের জন্য ক্ষতিকর না—এভাবে কেড়ে না নিক। বাস্তবেই অনেক ক্ষতিকর কিছু ঘটছে অনেক দিকে, অনেক অবিচার ও আর্তনাদের ময়লা উড়ছে অনেক অনেক কোনায়। সেদিকে চোখ থাকুক আমাদের।

শেষ কথা একটিই— আমি আমার মানবজীবনে এই নায়িকা বা মডেলদের দেখিনি। তাদের সঙ্গে না-দেখা জগতের ফোনের যে-হ্যালো, সেটিও কোনো দিন বলিনি। তারা কারা তাও আমি জানতাম না ‘বোট ক্লাব’কাণ্ডের আগে।

এখন তা হলে এক ব্যক্তির ওপরে, এক সাধারণ মানুষের ওপরে, এক লেখক ও কবির ওপরে, এক ‘কেউ-না এমন এক মানুষের ওপরে’ অবিচারের মাত্রাটা বুঝুন। বাকি বিচার এই সমাজের, সমাজই যেহেতু আছে বিচারকের ভূমিকায়।’

img

পুরনো প্রেমের উসকানিতে সম্পর্ক ভাঙলো আদিত্য-অনন্যার

প্রকাশিত :  ১০:৪২, ০৬ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪৮, ০৬ মে ২০২৪

বলিউডের হাইপ্রোফাইল পার্টিতেও একসঙ্গে নজর কাড়তেন আদিত্য রায় কাপুর ও অনন্যা পাণ্ডে। দেড় মাস আগেও অনন্ত আম্বানির জামনগরের অনুষ্ঠানে একসাথে গিয়েছিলেন তারা। একসঙ্গে ছুটিও কাটিয়েছেন বিদেশে বহুবার। এমনকি চাঙ্কিকন্যাকে দেখলেই রসিকতা করে ‘নাইট ম্যানেজার’ আদিত্যর কথা জিজ্ঞেস করতেন অনেকে। প্রথমদিকে রাখঢাক করলেও পরে একেবারে খুল্লামখুল্লা প্রেমের জোয়ারে ভাসেন তারকাজুটি। তবুও কেন আদিত্য-অনন্যার ২ বছরের সম্পর্কে ভাঙন?

দুই তারকার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুই নাকি বলিউড সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, গত এক মাস আগেই আদিত্য-অনন্যার সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। সবই ঠিকঠাক চলছিল তাদের। আচমকাই তাদের বিচ্ছেদ বন্ধুমহল ধাক্কা দেয়। যদিও তারা একে-অপরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। অনন্যা মুভ অন করার চেষ্টা করছেন। আদিত্যও খুব পরিণতভাবেই নিজেকে সামলাচ্ছেন।

অনন্যা পাণ্ডের ইনস্টা স্টোরি দেখেই বিচ্ছেদের জল্পনার সূত্রপাত গত মাসে। অভিনেত্রী লিখেছিলেন, যদি সে সত্যিই তোমার হয়ে থাকে, তাহলে তুমি যতই দূরে ঠেলো না কেন, সে ফিরবেই তোমার কাছে। নইলে তোমাকে ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষামূলক পাঠ দিয়ে যাবে। আদিত্য-অনন্যার ২ বছরের সম্পর্ক একাধিকবার সংবাদের শিরোনামে এসেছে। রাতবিরেতে তাদের লুকিয়ে ডেটিংয়ে যাওয়ার ছবিও ধরা পড়েছিল পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায়।

অনন্যার বাবা চাঙ্কি পাণ্ডেরও বেজায় পছন্দ ছিল আদিত্য রায় কাপুরকে। তবুও কেন বিচ্ছেদ ঘটল? এদিকে সম্প্রতি রাতবিরাতে ‘প্রাক্তন’ শ্রদ্ধা রায় কাপুরের বাড়ি থেকে বের হতে দেখা গেছে আদিত্যকে। তাহলে কি পুরোনো প্রেমের জেরেই এই ভাঙন? উত্তর অধরা।