প্রবীন এবং নবীনের সমন্বয়ে ইউকেবিসিসিআই ইস্ট অফ ইংল্যান্ড রিজিওন গঠিত

img

‘ইউকেবিসিসিআই-র নিজস্ব ভবন হবে খুব শিগগিরই’

প্রকাশিত :  ২৩:৫৪, ১১ আগষ্ট ২০২১

‘ইউকেবিসিসিআই-র নিজস্ব ভবন হবে খুব শিগগিরই’

নিজস্ব অর্থায়নে ভবন করবে ইউকেবিসিসি। এছাড়া নেয়া হবে আরো কিছু অনন্য উদ্যোগ। কার্নিভাল উৎসবের মতো করে সিলেটে  এন আর বি ডে আয়োজন করার পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হচ্ছে।  গত সোমবার  ইউকেবিসিসিআই ইস্ট অফ ইংল্যান্ড রিজিওন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব পরিকল্পনার কথা জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি সংক্ষেপে ইউকেবিসিসিআই যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশে সফল ব্রিটিশ বাংলাদেশী শিল্পোদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির

ব্রিটেনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ রিজিওন হচ্ছে ইস্ট ইফ ইংল্যান্ড রিজিওন। এই রিজিওনে অন্তর্ভুক্ত নামকরা অনেক সিটি, পর্যটন স্থান বা ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটির মতো নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত সোমবার ইউকেবিসিসিআই কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট বজলুর রশিদ এমবিই, চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ওবিই, বর্তমান প্রেসিডেন্ট নাজমুল ইসলাম নুরু সহ নানা সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে নবীন এবং প্রবীনের সমন্নয়ে গঠিত হয় ইউকেবিসিসিআই ইস্ট অফ ইংল্যান্ড রিজিওন।

এতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইউকেবিসিসিআই কেন্দ্রীয় কমিটির ডাইরেক্টর সিদ্দিকুর রহমান জয়নাল, সেক্রেটারি নির্বাচিত হন তরুণ উদ্যোক্তা সাফওয়ান চৌধুরী এবং ট্রেজারার নির্বাচিত হন সুরুক মিয়া। এসময় নব কমিটির নেতৃবৃন্দ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে সবার সহযোগিতা কামনা করেন ইউকেবিসিসিআই সব সময় নতুন নতুন প্রতিভাকে সামনে নিয়েআসে। নব প্রজন্মকে ব্যবসায়ী হতে উদ্ধুদ্ধ করার কাজ করছে ইউকেবিসিসিআই। 

সভায় বক্তারা বলেন, ইস্ট অফ ইংল্যান্ড রিজিওন একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে। এই শাখা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন বক্তারা।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কমার্সিয়াল কাউন্সিলর জাকারিয়া হক, উদ্যোক্তা এবি কিং খোয়াজা, এনটিভি ইউরোপের সিও সাবরিনা হুসাইন।

ব্রিটেন এবং বাংলাদেশের মধ্যকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনে ইউকেবিসিসিআই যে প্রতিজ্ঞা করেছিল তা বাস্তবায়ন পরিলক্ষিত।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশ রিজিওন সহ ইউকেতে ২ টি রিজিওন করা হলেও ব্রিটেনের প্রায় প্রত্যেকটি রিজিওনে এর শাখা করা হবে বলে জানান উপস্থিত নেতৃবৃন্দ । 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ইইউকেবিসিসিআই এর নিজস্ব ভবন ক্রয়ের মাধ্যমে তারা একটি লেগ্যাসি বা সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার রেখে যাতে চান তারা। এ বিষয়ে সংগঠনের চেয়ারম্যান বলেন- ইউকেবিসিসিআই এর একটি নিজস্ব ভবন হবে যা আমাদের দীর্ঘ দিনের ইচ্ছা। 

প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট বজলুর রশিদ এমবিই মনে করেন খুব শিগতিরই নিজস্ব ভবন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে  ইউকেবিসিসিআই।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করা হয়। এরপর সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ইস্ট অফ ইংল্যান্ড রিজিওনের পূর্নাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা করেন।


অনুষ্ঠানে মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জামাল উদ্দিন মকদ্দুস, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এম.এ. গনি, মিডল্যান্ডস রিজিওনের প্রেসিডেন্ট ড. এম জি মওলা মিয়া, ফাইনান্স ডাইরেক্টর কামরু আলী, লন্ডন রিজিওনের প্রেসিডেন্ট অলি খান এমবিই, বিসিএ সেক্রেটারি জেনারেল মিঠু চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সেলেব্রেটি শেফ টিপু রহমান, ব্রিটিশ বাংলাদেশী বিজনেস ফোরামের প্রেসিডেন্ট ফয়সল চৌধুরী, লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স ডাইরেক্টর ব্যারিস্টার আনোয়ার বাবুল মিয়া, মেম্বারশিপ ডাইরেক্টর সাইফুল আলম, লুটনের সাবেক মেয়র তাহের খান, বিসিএর এন.এ.সি মেম্বার ফিরোজ মিয়া সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।



কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর