ওরাল অ্যালার্জি সিনড্রোম কী? প্রতিকারে যা করবেন

প্রকাশিত :  ০৯:০০, ৩০ আগষ্ট ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৭, ৩০ আগষ্ট ২০২১

ওরাল অ্যালার্জি সিনড্রোম কী? প্রতিকারে যা করবেন

জনমত ডেস্ক: খাবার চিবুনের ক্ষেত্রে জিহ্বা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  কোনো কোনো সময় জিহ্বা ফুলে যেতে পারে।  নানা কারণেই এমনটি হয়ে থাকে।  অ্যালার্জিজনিত কারণেও এমনটি হতে পারে।  

 অ্যালার্জিক রি-অ্যাকশনের কারণে কিছু খাবার গ্রহণের পর মুখ, জিহ্বা এবং মাড়ি চুলকাতে থাকে।  যদি চুলকানির পরিমাণ অল্প হয় এবং শুধু মুখে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে এটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞান ওরাল অ্যালার্জি সিনড্রোম হিসেবে ধরে নেয়।    

অনেক  সময় রোগীর অবহেলায় সঠিক সময়ে সমস্যা ধরতে না পারলে বিপদের কারণও হতে পারে।  জিহ্বা ফুলে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে যুগান্তরকে পরামর্শ দিয়েছেন ডেন্টাল সার্জন ডা. মো. ফারুক হোসেন।

অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার কারণে হঠাৎ করে জিহ্বা ফুলে যেতে পারে।  এক্ষেত্রে অ্যালার্জিজনিত কারণ হলে দেরি না করে চিকিৎসা নিতে হবে।  ফোলাযুক্ত জিহ্বা ডাউন সিনড্রোম, সংক্রমণ, জেনেটিক, অচলাবস্থা, জিহ্বার ক্যান্সার, এনিমিয়া এবং লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে।  

জিহ্বার টেস্ট বাডগুলোর প্রদাহের অন্যতম কারণ অসাবধানতাবশত জিহ্বার ওপর কামড়। যেসব খাবার এসিডিক, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত অথবা লবণাক্ত সেসব খাবারও জিহ্বায় টেস্ট বাডগুলোর প্রদাহ সৃষ্টি করে ফোলাভাব এনে দিতে পারে। 

দীর্ঘ সময় ধরে জিহ্বায় ফোলাভাব থাকলে তা এক্রোমেগালি, সারকোমা, ওরাল ক্যান্সার অথবা ডাউন সিনড্রোমের কারণে হতে পারে।  যখন জিহ্বা ফুলে যায় তখন জিহ্বার প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং মাঝে মাঝে জিহ্বার স্বাভাবিক রঙের পরিবর্তন হয়ে থাকে।  এর কারণে জিহ্বা খুব মসৃণ দেখা যেতে পারে।

যখন আমাদের শরীর যথাযথ কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি১২ শোষণ করতে পারে না তখন পারনিসাজ রক্তস্বল্পতা দেখা দিয়ে থাকে।  এ ধরনের রক্তস্বল্পতায় জিহ্বার প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে।  যদি কারো টুথপেস্টের প্রতি অ্যালার্জি থাকে তাহলে জিহ্বার প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া হতে পারে।  টুথপেস্ট ছাড়া মাউথওয়াশ, কৃত্রিম দাঁত ও কিছু ওষুধের কারণে অ্যালার্জিক রি-অ্যাকশনে একই অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে।

রোজায় মুখে দুর্গন্ধ হলে কী করবেন?

প্রকাশিত :  ০৮:৫৯, ২৭ মার্চ ২০২৪

চলছে রমজান মাস। প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করলেও রোজা থাকা অবস্থায় মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।এমনিতেই  দীর্ঘ সময় না খাওয়ার কারণে মুখে কেমন যেন দুর্গন্ধ হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় ‘হ্যালিটোসিস’ । রোজার সময়ে  অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হন। এটা বেশ বিব্রতকরও । তবে, সাধারণ কিছু বিষয় মাথায় রাখলেই এই সমস্যা সহজে এড়ানো যায়।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কী করবেন 

১. চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় পানি না খাওয়ার কারণে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। এতে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। এ কারণে রোজা ভাঙা মাত্রই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। 

২. মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দাঁতের আনাচ-কানাচে খাবার জমতে না দেওয়া যাবে না। এই সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে দাঁত ব্রাশ করা। যত ক্ষণ বাড়িতে থাকবেন, প্রতি বার খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করুন। 

৩. দাঁত ব্রাশ করা সবসময় সম্ভব না হলে খাওয়ার পরে মুখ ধোয়ার জন্য মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এতে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে। 

৪. দীর্ঘ ক্ষণ রোজা রাখার পর মিষ্টিজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ, অতিরিক্ত চিনি মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়। এতে দাঁতের উপর যে এনামেলের পরত থাকে, তা উঠে যায়।

৫.অনেকসময় দাঁত, মাড়ির সমস্যা থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই আগে সেই সমস্যার সমাধান করুন। দাঁতের তেমন কোনও সমস্যা না থাকলেও নির্দিষ্ট সময় পর পর দাঁত পরীক্ষা করানো জরুরি।