img

নিউ জার্সিতে জাবি এলামনাই এর ব্যাচ ৩০+ মিলনমেলা

প্রকাশিত :  ০৭:৩১, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিউ জার্সিতে জাবি এলামনাই এর ব্যাচ ৩০+ মিলনমেলা

জনমত ডেস্ক: দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন কিংবা সাল ধরে ছাত্ররা পরিচিত হলেও দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ব্যাচ হচ্ছে সবচেয়ে বড় পরিচয়। তাই এই ব্যাচ বিষয়টি জাবিয়ানদের কাছে গুরুত্বপূর্ণই বটে। সত্তর কিংবা আশির দশকের ক্যাম্পাস এবং এই শতাব্দীর প্রথম দশকের ক্যাম্পাসের মধ্যে পার্থক্য অনেক। কাঠামোগত পার্থক্যের সাথে সাথে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে বদলে যায় ক্যাম্পাসের চিত্রপট। পরিবর্তন আসে অনুভুতির। আর এই দুই যুগের সন্ধিক্ষনে যারা পরে তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি আরো চমকপ্রদ।

জাবি এলামনাই এর মিলনমেলায় কখনও ঠিকমত স্মৃতিচারন হয় না। সিনিয়ররা তাদের অভিজ্ঞতা বলে জুনিয়ররা শুনে আবার জুনিয়ররা বলে তারা শুনে কিন্তু সময়ের ব্যবধানের কারনে এই দুয়ের ঠিক সমন্বিতকরন হয়ে উঠে না। তাই তো ৩০+ ব্যাচের এই আয়োজন Thirty30+

হলের একমাত্র ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা কিভাবে কথা বলে। ক্ষনিক বাদে গার্ড মামার চিৎকার মামা আ আ—- আপনার গেস্ট কিংবা আপনার ফোন। আবার আস্তে আস্তে এটাও হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের কল্যানে। ক্যাম্পাসে ঢুকে যে ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটেছে, পাশ করে বের হওয়ার সময় সেই ফোনই ধুলো জমা অবস্থায় অকেজো দেখা।

ক্যাম্পাসে rag প্রথার শুরু এবং শেষ তো যাদের চোখের সামনে। আমাদের সময়ে এটি নিছক মজা করার জন্য হলেও পরবর্তিতে এটি জুনিয়র নির্যাতনের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়। ফলে ব্যান করাও যুক্তিসংগত। ছাত্র জীবনে ৭ টাকা প্রতি মিনিটে কল করার যে কষ্ট সেটা কেবল এই শতাব্দীর প্রথম দশকের ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝবে। নিত্য নতুন হল কিংবা ভবন নির্মান, প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট, আড্ডার জায়গা বদল, যোগাযোগের মাধ্যম বদল, শিক্ষক বদল, রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এমন হাজারো কারনে একটি নির্দিষ্ট সময়ের সকল জাবিয়ানের অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি প্রায় একই। তাইতো ৩০+ ব্যাচ নিয়ে আমাদের অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা আবার নতুন করে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের নিউইয়র্ক এবং নিউ জার্সিতে বসবাসরত ৩০ জন জাবিয়ান নিয়ে এই আয়োজন। সেই এক সিগারেট শেয়ার করে খাওয়া, কার্ড খেলা, টেবিল টেনিস, পিলোপাসিং, ব্যাডমিন্টন, ক্যারামসহ নানা আয়োজন ছিলো ক্যাম্পাস জীবনের মতোই। কথা ৩০+ হলেও ৩০ ব্যাচের কেউ ছিল না কিন্তু ৩১ থেকে ৩৮ ব্যাচের মোট ৩০জন জাবিয়ান এবং তাদের পরিবারসহ প্রায় ৫০ জনের মিলনমেলা বসে ৩৩ ব্যাচের সোহেল এবং ৩২ ব্যাচের জালালের বাড়ির আঙ্গিনায়। নেই  কোন মতোভেদ, আবেগ অনুভূতির সামন্জস্যতা, স্মৃতিগুলো একই রকম। আমাদের সকলের প্রিয় নবনী আপুর স্বামী তৈমুর বলেন- তার যাওয়া জাবিয়ানদের সেরা আয়োজন এটি। অন্যান্য স্পাউসদেরও একই মত। কৃতিত্বের দাবীদার অবশ্যই সোহেল এবং জালাল। বিবিকিউ সেনসেশন অয়নের বিবিকিউ, নবনীর ঝালমুডি এবং সোহেলের স্পেশাল লাল চা ছিল স্বরনীয়। ভবিষ্যতে এমন আয়োজনের ওয়াদায় শেষ হয় জাবিয়ানদের এই ব্যতিক্রমী আয়োজন।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর