img

ডব্লিউএইচও-র অনুমোদন পেলেই ১২-ঊর্ধ্ব শিশুদের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ০৮:২২, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:২৫, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

ডব্লিউএইচও-র অনুমোদন পেলেই ১২-ঊর্ধ্ব শিশুদের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জনমত ডেস্ক: দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়ে আলাপ চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি সরকারের পরিকল্পনাতেও আছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা চলছে, অনুমোদন পেলে কার্যক্রম শুরু হবে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন আমরা ১৮ বছরে ঊর্ধ্বে বয়স- এমন নাগরিকদের টিকা দিচ্ছি। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এ সংখ্যাটি বিশাল। আমরা যেহেতু সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছি, কাজেই ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদেরও টিকা দিবো। তবে এর আগে আমাদের ডব্লিউএইচও'র অনুমোদন নিবো। যদিও ২২টি দেশ তাদের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী নাগরিকদের টিকা দিচ্ছে। তারা এক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব আইন ও প্রটোকল অনুসরণ করছে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের টিকার ঘাটতি হবে না। চলতি মাসেই আরও আড়াই কোটি টিকা আসছে। এটি চূড়ান্ত হয়েছে। 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি এখন নিম্মমুখী। ফলে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর কিছু বেড অন্যান্য রোগীদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের সবমিলিয়ে ১৭ হাজার বেড ছিল। এখন সেখানে ১২ থেকে ১৪ হাজার বেডই খালি হয়ে গেছে। যার মধ্যে ঢাকায় ৭৫ ভাগ খালি হয়েছে। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার এগুলো খালি হয়েছে।

img

বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষায় যা করবেন

প্রকাশিত :  ১১:৫২, ১৩ মে ২০২৪

কালবৈশাখীর সময় হঠাৎ ঝড়, বজ্রপাত আর বৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। এসময় বজ্রপাতে টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নষ্ট হওয়ার অনেক খবর পাওয়া যায়। তাই এই সময়ে আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সতর্ক থাকুন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত বা বৃষ্টির সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কীভাবে সুরক্ষায় রাখবেন।

ঝড়বৃষ্টি বা বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষার উপায়সমূহ—

* আপনার বাড়ির সব ধরনের বৈদ্যুতিক সংযোগের সঙ্গে আর্থিং ব্যবস্থা করুন। সম্ভব হলে বজ্রপাতের সময় মেইন লাইনের সঙ্গে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখুন।

* ফ্রিজ বা এসির সঙ্গে সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকলে বজ্রপাতের সময় তা খুলে রাখাই নিরাপদ। এমনকি এ সময় এসি চালানো থেকেও বিরত থাকুন।

* বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার বিপজ্জনক নয়। তবে তা ঘরের মধ্যে। ছাদে বা রাস্তায় খোলা জায়গায় থাকলে ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার করলে আপনি বজ্রপাতের শিকার হতে পারেন।

* বজ্রপাতের সময় বা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর টিভি বন্ধ রাখুন। এই সময় ডিশ বা ইন্টারনেটের সংযোগ খুলে রাখতে পারেন।

* ঝড়বৃষ্টির সময় রাউটার বন্ধ রাখুন। এতে অনেক দিন পর্যন্ত রাউটার ভালো থাকবে। এমনকি এর সঙ্গে সরাসরি কোনো ডিভাইস সংযুক্ত থাকলে সেটিও রক্ষা পাবে।

* বজ্রপাতের সময় ল্যাপটপ, স্মার্টফোন কিংবা যে কোনো ডিভাইস চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। চার্জারের সঙ্গে লাগানো থাকলে তা খুলে দিন।

* বাড়ির ডেস্কটপ বা কম্পিউটারের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে তা বন্ধ করে দিন। এমনকি এ সময় ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ চালানো থেকেও বিরত থাকুন। যদিও রাউটারের সঙ্গে ওয়াইফাই সংযোগে থাকা মোবাইল বা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তাদের বজ্রাঘাতে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বাড়ির বিদ্যুতের সঙ্গে ল্যাপটপ বা রাউটারের সংযোগ থাকলে তা বিছিন্ন করে দিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের সময় ঘরের ভেতরে থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এই সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখাই ভালো। তবে যদি মারাত্মক আকারে বজ্রপাত হয় সে ক্ষেত্রে ফোনটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন। না হলে স্মার্টফোনটির তো বটেই, যিনি সেটি ব্যবহার করছেন, তারও বিপদ হতে পারে।