img

মিয়ানমারে প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে নিহত ২০

প্রকাশিত :  ১০:৫৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

মিয়ানমারে প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে নিহত ২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের জান্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ প্রতিরোধ বাহিনী (পিপল ডিফেন্স ফোর্স) সদস্য নিহত হয়েছে।

গত জুলাইয়ের পর সেনাবাহিনীর সঙ্গে এ পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের যতগুলো সংঘর্ষ হয়েছে- শুক্রবারে এ সংঘাত সবচেয়ে ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর আরব নিউজের।

এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার ভোরে ৪টি সামরিক গাড়িতে করে শতাধিক সেনা সদস্য মেইন থার ও আশপাশের আরও পাঁচটি গ্রামে অভিযান চালায়।

এ সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পিপল ডিফেন্স ফোর্সের ব্যপক সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই তরুণ।

ঘরে তৈরি শিকারের বন্দুক ব্যবহার করে জান্তাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে চলেছে পিপল ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাইনথরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার গ্রামের ২০ জনেরও বেশি লোককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।’

সংঘর্ষের পর সৈন্যরা বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

প্রতিবেশী থার লিন গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, যুদ্ধের শব্দে স্থানীয়রা পালিয়ে স্থানীয় মঠ বা জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে।

img

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪১

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৭ জন। 

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার এক কর্মকর্তা।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাঁট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত আমরা ৩৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে আজ সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন। বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস।

এখন পর্যন্ত কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি ইলহাম ওয়াহাব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তল্লাশি অভিযানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

বন্যার কারণে রাস্তাঘাট যেন নদীতে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় মসজিদ এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ভেসে গেছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় বন উজাড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২২ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় দুই শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।