আমরা তুরস্কের জনগণকে মুসলিম ভাই হিসেবে দেখি: তালেবান মুখপাত্র

প্রকাশিত :  ০৬:৫৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৫৯, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

আমরা তুরস্কের জনগণকে মুসলিম ভাই হিসেবে দেখি: তালেবান মুখপাত্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী আফগানিস্তান দখলে নেওয়া তালেবান। এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির মুখপাত্র সোহাইল শাহীন।  তিনি বলেন, ‘মুসলিম হিসেবে আমরা তুরস্ককে ভ্রাতৃত্বের দৃষ্টিতে দেখি।'

আফগানিস্তানের সঙ্গে তুরস্কের গভীর সম্পর্কের কথা পুনরুল্লেখ করে তালেবানের মুখপাত্র বলেন, আমরা তুরস্কের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

আফগানিস্তানে কাজ করা তুরস্কের প্রকৌশলী এবং অন্যরা অনেক অবদান রেখেছেন। আমরা ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী এবং গভীর করতে চাই।

তুরস্কের হাবেরলের ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোহাইল শাহীন এসব কথা বলেন।  খবর ডেইলি সাবাহর।

তালেবানের মুখপাত্র বলেন, সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো— শিক্ষা, অর্থনীতি পুনর্গঠন ও বিনিয়োগ।

তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতি শাহীন কীভাবে দেখেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা একে সম্মান করি। প্রতিটি দেশই তার নিজস্ব নীতি প্রণয়নের অধিকার রাখে। তালেবান পারস্পরিক স্বার্থ ও লক্ষ্যে মনোনিবেশ করতে চায়।

শাহীন বলেন, তুরস্ক তালেবানের প্রতি যেমন আচরণ করবে, আমরাও প্রতিদানে ঠিক তেমনটাই করব। যদি তুরস্ক তাদের ‘মুসলিম ভাই’ হিসেবে আমাদের দেখে, তবে তালেবান তাদের ক্ষেত্রেও এমন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করবে এবং এ বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাবে।

‘মুসলিম হিসেবে আমরা তুরস্ককে ভ্রাতৃত্বের দৃষ্টিতে দেখি’, যোগ করেন শাহীন।

দীর্ঘ ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। এ প্রক্রিয়ার মধ্যেই তালেবান দেশটির অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। 

১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা চলে যায় তালেবানের হাতে। এর পর গোষ্ঠীটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।

যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধস: ডুবে যাওয়া ট্রাক থেকে দুই মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত :  ০৫:১৫, ২৮ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:১৭, ২৮ মার্চ ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের নগরী বাল্টিমোরে পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসের ঘটনায় ডুবে যাওয়া ট্রাক থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেতু ধসের ওই ঘটনায় এখনো চারজন নিখোঁজ আছেন। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।খবর বিবিসির।

সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নির্মাণ শ্রমিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যারা সেতুটি আঘাত করার সময় গর্ত ভরাট করছিলেন।

ইউএস কোস্টগার্ড বলেছে, ধাক্কা দেওয়া জাহাজে ১৫ লাখ মিলিয়ন গ্যালনেরও বেশি জ্বালানী তেল এবং বিপজ্জনক উপকরণযুক্ত কার্গো রয়েছে। তবে জনসাধারণের জন্য কোনো বিপদ নেই।

স্থানীয় সময় গত সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজ ফ্রান্সিস স্কট কি সেতুতে ধাক্কা দেয়। এতে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির একাংশ ধসে পড়ে।

আরও পড়ুন: 

জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়লো যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজ

সেতুটি ধসের পরপরই সেটি থেকে অন্তত সাতজন পানিতে পড়ে গেছে বলে জানানো হয়। তাদের খোঁজে বেশ কয়েকটি নৌযান ও হেলিকপ্টার নিয়ে মার্কিন কোস্ট গার্ড নিচের প্যাটাপসকো নদীতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করে। পরে তারা জানায়, পানি থেকে তারা একজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। যার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি অন্তত ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে।

এলএসইজি এর শিপ ট্রেকিং ডেটা অনুযায়ী, কি ব্রিজের যে অংশ ধসে পড়েছে সেখানে ঘটনার সময় সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ ‘দ্য ডালি’ ছিল।