img

চাকরির আট বছরেই ১৩ কোটি টাকার মালিক বিআরটিএ কর্মকর্তা

প্রকাশিত :  ২০:৪৩, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

চাকরির আট বছরেই ১৩ কোটি টাকার মালিক বিআরটিএ কর্মকর্তা

জনমত ডেস্ক: বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নোয়াখালী সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. ফারহানুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান। দুদকের গণমাধ্যম শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, চাকরিতে যোগ দেওয়ার আট বছরেই বিআরটিএ নোয়াখালী সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. ফারহানুল ইসলাম অবৈধ উপায়ে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে ১৩ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

মো. ফারহানুল ইসলাম নিজের, তার ভাই মো. রায়হানুল ইসলাম, মা লুৎফুন নাহারের নামে মোট চারটি ব্যাংক হিসাব এবং দুইটি ক্রেডিট কার্ডের হিসাব খুলে ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত টাকা বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অপরাধ করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, বিআরটিএর এ কর্মকর্তা ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ইউসিবিএল ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং আইডিএলসিতে সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব ও ক্রেডিট কার্ড হিসাবসহ মোট ১০টি হিসাব তার মা ও ভাইয়ের নামে পরিচালনা করেন।

মো. ফারহানুল ইসলাম ইউসিবিএল এবং সোনালী ব্যাংক ব্যতীত ৬টি হিসাবে ঘুষ, দুর্নীতি ও অবৈধভাবে অর্জিত ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা লেনদেন করেন। তিনি ২০১২ থেকে ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ছয় বছর আট মাসে ছয়টি ব্যাংক হিসাব খোলেন। এর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান শাখার সঞ্চয়ী হিসাবেই জমা করেন ছয় কোটি ৯২ লাখ টাকা।

এছাড়া একই শাখার চলতি হিসাবে ১৪ লাখ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ভিসা ক্রেডটি কার্ডের হিসাবে ১৮ লাখ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাস্টার ক্রেডিট কার্ড হিসাবে ২৮ লাখ টাকা ও তার আপন ভাই মো. রায়হানুল ইসলামের নামে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে এক কোটি ১৩ লাখ টাকা, ডাচ-বাংলা ব্যাংক বসুন্ধরা শাখার একটি সঞ্চয়ী হিসাবে ১১ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।

মা লুৎফুন নাহারের নামে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের মিরপুর-১০ সার্কেল শাখার একটি সঞ্চয়ী হিসাবে এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের গৃহঋণ হিসাবে চার কোটি আট লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

img

মালয়েশিয়ায় ফের ২৭ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত :  ০৪:১৬, ১৩ মে ২০২৪

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে  ২৭ বাংলাদেশিসহ ৪০ জন অভিবাসীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন।

রোববার, রাজ্যের গেলাং পাতাহ এলাকার ১৯টি স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জল শামসুদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাজ্যে বসবাসকারী বৈধ ভ্রমণ নথি নেই এমন বিদেশিদের সম্পর্কে জনসাধারণের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে জোহর জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন মোট ২৪৬ জন বিদেশির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্য থেকে নথিবিহীন ৪০ জনকে আটক করা হয়।

আটক অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৭, ভারত ৭, নেপাল ৩, পাকিস্তান ২ এবং ১ জন চীনের নাগরিক। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৪২ বছরের মধ্যে। আটকরা, ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এর ধারা ৬(১) (সি) এর অধীনে বৈধ পাসপোর্ট বা পারমিট না থাকার জন্য এবং ১৫(১) (সি) ইমিগ্রেশনের ধারায় অপরাধ করেছে।

আটকদের তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সেটিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। জিআইএম জোহর আইন লঙ্ঘনকারী অবৈধদের বিরুদ্ধে আপস ছাড়াই সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নেবে।

এছাড়া অবৈধদের, অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। যা শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর।