img

নোয়াখালীতে ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

প্রকাশিত :  ০৮:২৪, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৪৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

নোয়াখালীতে ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

জনমত ডেস্ক: নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় কেন্দ্র দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং অনিয়মের অভিযোগে নৌকার দুই প্রার্থীসহ পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোটগ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে তারা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

তারা হলেন- হাতিয়ার ৯ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) জিয়া আলী মোবারক কল্লোল ও ১০ নম্বর জাহাজ মারা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) এটিএম সিরাজ উল্যাহ। এ ছাড়া ৫ নম্বর চরঈশ্বর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল হালিম আজাদ (আনারস প্রতীক), ৮ নম্বর সোনাদিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোটরসাইকেল প্রতীক) নূরুল ইসলাম এবং ১১ নম্বর নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোটরসাইকেল প্রতীক) মো. মেহেরাজ উদ্দিন।

জাহাজ মারা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম সিরাজ উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খুব দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করব। আমাদের কাছে কেন্দ্র দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং অনিয়মের প্রমাণ থাকায় আমরা ভোট বর্জন করেছি। এখানে সুষ্ঠু ভোট হতে দিচ্ছে না।

১১ নম্বর নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোটরসাইকেল প্রতীক) মো. মেহেরাজ উদ্দিন বলেন, আমি গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছি। কিন্তু এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। আমার কোনো ভোটার কেন্দ্রে যেতে পারছে না। তাই আমি ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। আমরা কারো থেকে এখনও অভিযোগ পাইনি। কোথাও অনিয়মের অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙলে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

img

টঙ্গীতে খাদ্যপণ্যের ১২ গুদাম আগুনে পুড়ে ছাই

প্রকাশিত :  ০৪:৫৮, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

গাজীপুরের টঙ্গী বাজারে খাদ্যপণ্যের ১০ থেকে ১২টি গুদাম আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেটের পাশে কয়েকটি গুদামে আগুন লাগে। রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু মুহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ারদার।

স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেটের পাশের কয়েকটি গুদামে আগুন লাগে। গুদামগুলোতে পেঁয়াজ, আলু, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত ছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হঠাৎ গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে প্রথমে নিজেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। আগুন গুদামে মজুত করা পেঁয়াজ, চাল, আলুসহ কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রূপসী বাংলা চালের আড়তের মালিক মো. ফারুক হোসেন জানান, আগুন মুহূর্তে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আড়তে প্রায় পাঁচ হাজার বস্তা চাল ছিল। মুহূর্তেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

মেসার্স সবুজ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক সবুজ মাতব্বর বলেন, আড়ত বন্ধ করে বাসায় পৌঁছে লেবারদের কাছে জানতে পারি পাশের দোকান থেকে আগুন লেগেছে। এরপর বাসা থেকে এসে দেখি দোকানের সামনে অংশ ও ভেতরে মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু মুহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ারদার জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথম টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকায় পরে উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

তাৎক্ষণিক আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেননি তিনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।