img

মন্দিরকে জাতীয় সম্পদ ঘোষণা করল পাকিস্তান

প্রকাশিত :  ০৬:৩২, ০৬ জানুয়ারী ২০১৯

মন্দিরকে জাতীয় সম্পদ ঘোষণা করল পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। এক হাজার বছরের পুরনো একটি মন্দিরকে জাতীয় ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে পাকিস্তান। হিন্দু ধর্মালম্বীদের প্রাচীনতম এই মন্দিরটি পাকিস্তারে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে অবস্থিত। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর বিভাগ শুক্রবার হিন্দু ধর্মালম্বীদের প্রাচীনতম পঞ্জ তিরাত নামের এই মন্দিরটিকে জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ১৭৪৭ সালে আফগান শাসক দুররানির আমলে মন্দিরটি ধ্বংস করা হয়। পরে ১৮৩৪ সালে শিখ শাসনামলে স্থানীয় হিন্দুরা মন্দিরটির সংস্কার করেন।

পঞ্জ তিরাত নামের এই মন্দিরটি এক হাজার বছরেরও বেশি পুরনো একটি স্থাপত্য। এর অবস্থান পেশোয়ারের হাসনাগিরি এলকায়। পঞ্জ তিরাত নামটি এসেছে মন্দিরে থাকা পাঁচটি পুকুর থেকে। এখানে মন্দিরের পাশাপাশি রয়েছে পাম গাছের একটি বাগান। এখন এই পাঁচটি পুকুর চাচা ইউনুস পার্ক ও প্রাদেশিক চেম্বার অব কমার্স ইন্ড্রাস্ট্রির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ধারণা করা হয়, মহাভারতে উল্লেখিত রাজা পান্ডু এই এলাকার ছিলেন। হিন্দুরা এই পুকুরগুলোতে স্নান করতে আসতেন কার্তিক মাসে এবং গাছের নিচে দুই দিন উপাসনা করতেন। স্থানীয় হিন্দুরা মন্দিরটি রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য সরকারকে দায়ী করে আসছেন। আর তারই প্রেক্ষিতে প্রাদেশিক সরকার এমন ঘোষণা দিল।

পাকিস্তানের জাতীয় ঐতিহ্য সংক্রান্ত নিয়মাবলী অনুসারে, এখন থেকে কেউ যদি এটি ধ্বংস করার চেষ্টা করে তাহলে তাকে ২০ লাখ রুপি জরিমানা ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

img

শেষ দিনে ভিসার অপেক্ষায় ৩৭ শতাংশ হজযাত্রী

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৪, ১১ মে ২০২৪

হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে আজ শনিবার।  কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। 

শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল । এরপর সেটি ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন ৬ হাজার ৩৯২ জন যাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। 

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরব গেছেন। দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীরা ঢাকা ত্যাগ করছেন।

এদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা হয়নি তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই প্রথম দফার বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।