img

জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত :  ১১:০৫, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

১৯শে সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার সন্ধ্যা ৭:৩০ ঘঠিকায় অনুষ্ঠিত হয় আমাদের প্রিয় নেতা মরহুম পল্লীবন্ধু আলহাজ এইচ এম এরশাদ সাহেবের প্রিয় যুক্তরাজ্য জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি সমাবেশ। এই সমাবেশে ইংল্যান্ডের সকল ব্রাঞ্চের জাপা প্রতিনিধিবৃন্দ স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন। 

যুক্তরাজ্য জাপার আহ্বায়ক কাউন্সিলার সামছুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সাহেদ আহমদের এবং লন্ডন মহানগরের সম্পাদক শাহ্ সাহিদুর রহমানের  সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ২ এর দুই বারের নির্বাচিত এম পি মাননীয় চেয়ারম্যানের সম্মানীত উপদেষ্টা বীর মুক্তিযুদ্ধা মকসুদ ইবনে আজিজ লামা এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের কৃতিসন্তান জাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুদ্দিন খালেদ ও যুক্তরাজ্য জাপার সাবেক সভাপতি  ইউরোপিয়ান কোঅর্ডিনেটার মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান সহ জাপার কেন্দ্রীয় নির্বহী কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ এবং কমিউনিটির সম্মানীত শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিবর্গ। 

জনাব  সাহাব উদ্দিন এর কোরান পাঠের পর সভার সভাপতি কাউন্সিলার সামছুল ইসলাম সেলিমের স্বাগত বক্তব্যের পর আলোচনা পর্ব আরম্ভ হয়। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযাদ্ধা মকসুদ ইবনে আজিজ লামা বলেন আসন্ন ২০২৩ এর জাতীয় নির্বাচনে জাতীয়পার্টি মহান সংসদের ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে ইনশাহ্ আল্লাহ এবং এব্যাপারে আমাদের প্রিয় নেতা মাননীয় চেয়ারম্যানও দৃড়প্রতিজ্ঞ। 

সিলেটের কৃতিসন্তান জাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানীত সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুদ্দিন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাজ্য জাতীয় পার্টির কর্মকান্ডসহ এই সভার আয়োজনের জন্য ভূয়শী প্রশংসা করে যুক্তরাজ্য জাপার আসন্ন মহাসমাবেশে মাননীয় চেয়ারম্যান এবং মাননীয় মহাসচিবকে লন্ডন নিয়ে আসার সর্বাত্বক প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দান করেন। 

যুক্তরাজ্য জাপার সাবেক সভাপতি ও ইউরোপিয়ান সমন্বয়ক জনাব মুজিবুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্যের   শুরুতে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করেন প্রয়াত নেতা ৯ বছরের সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু এইচ এম এরশাদ সাহেব সহ যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম জনাব সামছ উদ্দিন, সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সহ সভাপতি জনাব হাফিজ মজির উদ্দিন, ইউরোপিয়ান কোঅর্ডিনেটার এম এ সুবহান চৌধুরী, সাবেক প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল সিক্রেটারী জনাব এম এ মতিন, সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক জনাব আতাউর রহমান, সাবেক প্রতিষ্ঠাতা কোষাধক্ষ ও পরবর্তীতে সহ সভাপতি জনাব খন্দকার ফরিদ উদ্দিন, সাবেক প্রতিষ্ঠাতা প্রেস সিক্রেটারী মাওলানা ইজ্জাদ আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব নিজাম উদ্দিন, যুবসংহতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব কাজী বারী, প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম কোষাধক্ষ জনাব আং রহীম খালিক সহ সকল দেশে-বিদেশে প্রয়াত  নেতৃবৃন্ধের  আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং যুক্তরাজ্য জাতীয়পার্টির সকল শাখা সংগঠনকে আরো গতিশিল করার জন্য নেতৃবৃন্ধের প্রতি আহ্বান রাখেন। 

আরোও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যের অন্যতম কমিউনিটি নেতা গ্রেইটার সিলেট ইষ্টের সভাপতি জনাব ইসবাহ উদ্দিন, বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ জহিরুল হক, কমিউনিটি নেতা জনাব ফারুক মিয়া 

বক্তারা স্মৃতিচারন করে বলেন দেশ যখন অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত তখন একটি দলীয় সরকার দেশ চালাতে ব্যার্থ হয়ে মরহুম এইচ এম এরশাদ সাহেবের কাছে ক্ষমতা হস্থান্তর করেন। 

এই নাজুক পরিস্থিতিতে মরহুম এরশাদ নুতন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্থবায়নে এগিয়ে আসলেন এবং দেশবাসিকে আশার আলো দেখালেন। তাঁর উদার আহ্বান ছিল প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি ত্যাগ করে সুষ্ট রাজনীতি করার -৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে শ্লোগাণের বাস্থবায়নের মাধ্যমে। তিনি আরোও বলেছিলেন মুক্তিযুদ্ধারাই এদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট সন্তান। বক্তারা আরোও বলেন দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি ক্ষমতার বিকেল্দ্রীয়করণের মাধ্যমে উপজেলা সিস্টেম চালু করে রাতা-রাতি দেশের উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন আনেন কিন্তু ক্ষমতা বদলের প্রেক্ষিতে এই সিস্টেমের পূর্ণতা সম্ভব হয়নি। আগামীতে জাতীয়পার্টি আবার ক্ষমতায় গেলে ৮টি প্রদেশ গঠনের মাধ্যমে ইহার পূর্ণতা আসবে ইনশাআল্লাহ্। 

৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে এই কালজয়ী শ্লোগান নিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন । ক্ষমতা গ্রহণ করে ১৮ দফা কর্মসূচি নিয়ে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার শুধু স্বপ্নই নয় তা বাস্তবায়নের জন্য তিনি অবিশ্রাম কাজ করেগেছেন। ৯ বছরের শাসনামলে তিনি তাঁর পরিকল্পনা সফল করতে অনেক এগিয়ে গেছেন। যদিও রাজনৈতিক পরিবেশ তাঁর অনুকূলে ছিলো না। কিন্তু দক্ষতা-যোগ্যতা ও দেশ পরিচালনার মতো অভিজ্ঞতা থাকলে যে কোনো প্রতিকূল পরিবেশই মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, তা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রমাণ করে দিয়েছেন। 

এক ঐতিহাসিক প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতাত্তর বাংলাদেশে পৌন:পুনিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক কাঠামো, হত্যা, ষড়যন্ত্র, প্রতিহিংসা, সহিংসতার দুর্দান্ত দাপট গণতন্ত্রকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তিমূলে দাঁড় করাতে সার্বিক ব্যর্থতা, এমন একটা পরিস্থিতিতে সামরিক শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থার যথাযথ অনুশীলন এবং আর্থ-সামাজিক- প্রশাসনিক অর্থাৎ জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক আমলের ঘুণেধরা ব্যবস্থা ও ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন ঘটিয়ে স্বাধীন দেশের উপযোগী মৌলিক অবকাঠামো গড়ে তোলার গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে শুরু হয়েছিলো জাতীয় পার্টির অভিযাত্রা। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পার্টি গঠনের পর থেকে জাতীয় পার্টির ঘোষিত লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থেকে জাতিকে একটি সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। পল্লীবন্ধু এরশাদ এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন এক ব্যক্তিত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন যিনি এখন শুধু এক ব্যক্তি নন তিনি এক মহান প্রতিষ্ঠান, শুধু প্রতিষ্ঠান নয় এরশাদ এক জীবন্ত ইতিহাস এক জীবন্ত কিংবদন্তি -বাংলাদেশের আশীর্বাদ।

 সবকিছু ছাপিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন সকল মানবিক গুনাবলি সম্বলিত একজন নিখাদ ভদ্রলোক। তাঁর অমায়িক ব্যবহার দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে মুগ্ধ করেছে। তিনি ছিলেন একজন সংবেদনশীল মানুষ। কারো দুঃখ-কষ্ট তিনি সহ্য করতে পারতেন না। মানুষের প্রতি সহমর্মিতা-ভালোবাসা, মানুষকে একান্ত আপন করে নেয়া ছিলো তাঁর চরিত্রের অন্যতম গুন। তিনি তাঁর কর্মে-কীর্তিতে বাংলাদেশের মানুষের মনে যেভাবে জায়গা করে নিয়েছেন তা অমলিন থাকবে চিরকাল। 

অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সম্মানীত সদস্য ফয়জুর রহমান এম বি ই, মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন হেলাল, এডভোকেট এবাদ হোসেন, আব্দুল মুনিম চৌধুরী বুলবুল, রেজাউল হায়দার রাজু, আতাউর রহমান আতা, সাবেক কাউন্সিলর রূহুল আমিন, আব্দুল কাদির আবুল, সাজ্জাদুর রহমান ভুঁঞা পাবেল, তোফায়েল আহমদ, মনসুর আলম, আজম আলী, এস আই খান, কামাল আহমদ চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর মামুনুর রসিদ, এম এ মুন্তাকিম, জহরুল ইসলাম লনি, আকমল হোসেন, রমজান আলী, 

অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলার ফারুক মাহফুজ আহমদ, জামাল আহমদ, মুহাম্মদ নুরমিয়া, সামছুল ইসলাম কুবাদ, লুকমান আলী, সিব্বির আহমদ, প্রয়াত সভাপতি সামছ উদ্দিন সাহেবের সন্তান আলী এবং সারোয়ার উদ্দিন, গিয়াস মিয়া, দুদু মিয়া, রফিক উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন প্রমূখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

বিশ্বনাথ স্পোর্টস অর্গানাইজেশন ইউকে-র সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত :  ২২:১৯, ১৪ মে ২০২৪

খালেদ মাসুদ রনি, লন্ডন: গত বছরের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং আগামীতে সংগঠনের বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বনাথ স্পোর্টস অর্গানাইজেশন ইউকের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টায় ইস্ট লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি রাজু মিয়া। সাধারণ সম্পাদক রুহেল ইসলামের পরিচালায় সভায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত সহ-সভাপতি আশরাফ খান, সহ-সভাপতি শাহ কামাল উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজান রহমান, সিনিয়র সদস্য গিয়াস উদ্দিন সেবুল, সিনিয়র সদস্য জালাল মিয়া, সিনিয়র সদস্য বাবুল উদ্দিন, সদস্য আশরাফ উদ্দিন, আবুল হোসেন মামুন, সালিক মিয়া, রুহেল মিয়া, ব্যাডমিন্টন সমন্বয়কারী মুমিন রহমান, ফুটবল কো অর্ডিনেটর কামাল উদ্দিন, আইন উপদেষ্টা মিজান রহমান, ফান্ড রাইজিং এডভাউজার রুহেল মিয়া, ক্রিকেট কো অর্ডিনেটর পারভেজ হাসান, রাজহান প্রমূখ। 

সভা শেষে বৃটেন সফরত বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, শফিকুর রহমান চৌধুরী’র সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেন বিশ্বনাথ স্পোর্টস অর্গানাইজেশন ইউকের নেতৃবৃন্দ। এসময় মন্ত্রী বাংলাদেশে সংগঠনের সকল ধরনের কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

কমিউনিটি এর আরও খবর