img

ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন ভালো থাকে?

প্রকাশিত :  ০৯:০৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন ভালো থাকে?

জনমত ডেস্ক: দীর্ঘদিন খাবার সংরক্ষণ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে খাবার ফ্রিজে রাখা। বর্তমানে প্রায় সব ধরণের খাবারই ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়। মাছ-মাংস, কাঁচা শাক সবজি, রান্না তরকারি কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার সবই রাখা হয় ফ্রিজে। কিন্তু সব ধরণের খাবারই কি ফ্রিজে দীর্ঘদিন রাখা যায়? পুষ্টিবিদদের মতে এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে \'না’। তারা বলছেন, প্রতিটি খাবার স্বাভাবিক থাকার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। এরপর খাবার নষ্ট হয়ে যায়। এর মধ্যে বাসা বাঁধে নানা রকম ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া। কোন খাবার দুইদিন, কোন খাবার এক সপ্তাহ আবার কোন খাবার মাস খানিক ভালো থাকে ফ্রিজে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবার কতদিন ভালো থাকে ফ্রিজে।


মাছ-মাংস :

সাধারণত ফ্রিজে আমরা মাংস রাখি দিনের পর দিন। কখনো কখনো সেটা কয়েক মাস। তবে পুষ্টিবিদদের মতে মাংস ফ্রিজে সর্বোচ্চ দুইদিন রাখা যেতে পারে। আর ডিপ ফ্রিজে সেটি সর্বোচ্চ দুই থেকে আড়াই মাস। রান্না করা মাংস ফ্রিজে রাখলে ৪-৫ দিন ভালো থাকে। মাছের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম খাটে।


ডিম :

কাঁচা ডিম ফ্রিজে বেশিদিন রাখা যায়। ভালোমানের কাঁচা ডিম ফ্রিজে রাখা যায় দুই মাসের মতো। যদি ডিম সেদ্ধ করে রাখতে চান ফ্রিজে সেক্ষেত্রে এক সপ্তাহের বেশি রাখা উচিৎ নয়। তবে ডীপ ফ্রিজে কাঁচা ডিম রাখলে ডিমের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়।

ফলমূল :

বিভিন্ন রকম ফলমূল ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে রাখা যায় ফ্রিজে। বিশেষ করে বিদেশি ফলের মধ্যে স্ট্রবেরি রাখা যায় এক সপ্তাএর মতো। আপেল রাখা যায় মাস দুয়েক। আঙুর ১০-১২ দিন। আর দেশি ফলের মধ্যে লিচু দুই সপ্তাহ। আম এক মাস। কলা ৯ দিন। কমলালেবু আড়াই মাস। লেবু মাস খানিক ভালো থাকে ফ্রিজে।

শাক সবজি :

শাক সবজি আস্ত থাকলে ৪ থেকে ৫ দিন রাখা যায় ফ্রিজে। এরমধ্যে সশা ভালো থাকে এক সপ্তাহের কিছু বেশি। লেটুস পাতা দিন দশেক ভালো রাখা যায়। টমেটো ১৫ দিন। আলু রাখা যায় মাস চারেক। এছাড়া ঢেঁড়স, শিম, করলা এবং পেঁপের মতো সবজিও রাখা যায় ৭ থেকে ১০ দিন।

img

কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ০৯ মে ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কেবল বয়স্কদের থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন: 

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। 

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।  

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।