img

যে ৭ খাবার ঝকঝকে করবে আপনার দাঁত

প্রকাশিত :  ১০:০০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

যে ৭ খাবার ঝকঝকে করবে আপনার দাঁত

যে ৭ খাবার ঝকঝকে করবে আপরার দাঁতসুন্দর হাসি কার না পছন্দ? এ হাসির জন্য চাই সুন্দর ঝকঝকে দাঁত। ফোকলা দাঁতের হাসি তো আর কারো মন কাড়বে না? কিছু খাবার আছে, যা দাঁতকে করে তোলে উজ্জ্বল; আর কিছু খাবারের জন্য দাঁতে পড়ে দাগ। মদ্যপান, অতিরিক্ত চা-কফি, চকোলেট, নিয়মিত ব্রাশ না করা এবং ধূমপানের কারণে নষ্ট হয় দাঁতের রং। সুন্দর দাঁতের উপযোগী সাতটি খাবারের নাম জানিয়েছে রিডার্স ডাইজেস্ট। নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলো-

স্ট্রবেরি

স্ট্রবেরিতে মেলিক এসিড থাকে, যা পেশির জন্য শর্করাকে শক্তিতে পরিণত করতে সহায়তা করে। এই এসিড দাঁতের ওপরের দাগ দূর করতেও সহায়তা করে। তাই দাঁতের সুস্থতার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রবেরি ছাড়াও আপেল, চেরি, কলা, পিচ ও লিচুতে এই এসিড রয়েছে।

ব্রকলি, ফুলকপি

ব্রকলি, ফুলকপির মতো সবজিগুলো থেকে আমরা এ ধরনের সুবিধা পেতে পারি, যদি তা খাওয়া হয় হালকা সিদ্ধ অবস্থায়। এগুলো যত বেশি চিবানো হয়, মুখে লালার পরিমাণ তত বাড়ে। আর এতে দাঁতের দাগ সহজেই দূর হয়।

পনির ও দই

দুগ্ধজাত খাবার পনির ও দই মুখে অতিরিক্ত লালার সৃষ্টি করে, যা এনামেলের ওপরে থাকা দাগ দূর করে। এছাড়া পনিরে ল্যাকটিক এসিডও দাঁতের দাগ দূর করে।

বীজ ও বাদাম

সূর্যমুখীর বীজ, কাঠবাদাম, ওয়ালনাট ও কাজুবাদামে দাঁতের দাগ উঠে দাঁত হয় ঝকঝকে।

আনারস

আনারসে ব্রোমলেইন নামের এক ধরণের এনজাইম রয়েছে। এই এনজাইম এনামেলের ওপরের প্রোটিন চূর্ণবিচূর্ণ করে, দাগ দূর করে ও দাঁতের বিবর্ণতা রোধ করে। আর প্রোটিন চূর্ণবিচূর্ণ হলে মুখের লালা প্রাকৃতিকভাবেই দাগ ধুয়ে ফেলে।

সেলেরি, গাজর

সেলেরি ও গাজরে ব্যতিক্রধর্মী জলীয় উপাদান থাকে, যা মুখের গামকে শক্তিশালী করে মুখে থেকে যাওয়া খাবারের অবশিষ্ট অংশ বের করে দেয়। আর কাঁচা সেলেরি দাঁতের স্ক্র্যাবিংয়ের কাজ করে।

পেঁয়াজ

পেঁয়াজে থাকা সালফারের কারণে দাঁতের উপরে এবং দুই দাঁতের মধ্যে প্লাক জমতে দেয় না। তবে এর সুফল পেতে রান্নায় নয়, খেতে হবে কাঁচা পেঁয়াজ।

দাঁতে দাগ সৃষ্টি করে এমন কিছু খাবার নিত্যকার জীবন থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসিড জাতীয় পানীয়

দাঁতের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে ক্যাফেইনের। চা, কফি ও সোডার মতো এসিডিক পানীয় মুখের পিএইচ ব্যালেন্স পরিবর্তন করে এনামেলের ওপরের অংশ নষ্ট করে। সোডাতে উচ্চমাত্রায় চিনি থাকে, যা আসলে দাঁতের এনামেল নষ্ট করে গর্ত তৈরি করে।

এসব পানীয় বাদ না দিতে পারলে এগুলো গ্রহণের পরপরই প্রচুর পানি পান করা উচিত। তাহলে মুখের ভেতরে পরিষ্কার হয়ে যায়।

রেড ওয়াইন

ওয়াইনের গাঢ় রংয়ের কারণে দাঁতে কালো দাগ পড়ে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় হল এক টুকরা পনির খেয়ে নেওয়া।

ডার্ক ড্রেসিং

খাবারের স্বাদ বাড়াতে (বিশেষ করে সালাদে) অনেক সময় গাঢ় রংয়ের ড্রেসিং যেমন বালসামিক ভিনেগার, সয়াসস ব্যবহার করা হয়। এতে দাঁতে দাগ হয়। এর বিকল্প হিসেবে রাইস ভিনেগার বা জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করা যায়।

লাল সস

টমেটো দিয়ে বানানো সস অনেক বেশি মাত্রায় লাল হওয়ায় ও প্রাকৃতিকভাবে এর এসিডিক লেভেল বেশি থাকায় তা দাঁতে দাগের সৃষ্টি করে। তাই পাস্তা খেতে হলে সসের সাথে ব্রকোলি বা ফুলকপি যোগ করলে দাঁতকে রক্ষা করা সম্ভব।

img

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১২:৩২, ১৩ মে ২০২৪

ঝড়-বৃষ্টির কাল গ্রীষ্মে বৃষ্টি হবেই। এতে প্রশান্তির পরশ যেমন রয়েছে, তেমনই মুখোমুখি হতে হয় নানা অসুবিধারও। তাই বলে তো নিজের অফিস আর বাসার কাজ থেমে থাকে না। তবে বাসা থেকে কোথাও যাওয়ার লক্ষ্যে বের হওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হলে তা মহাবিপদের। না হয় সঠিক সময়ে কাজে পৌঁছানো, না থাকে নিজের পোশাক ঠিক। আবার বৃষ্টির মধ্যেই যত দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষা রাখা জরুরি।

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকার উপায়সমূহ-

১. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে নিরাপদ কোনো জায়গায় থাকা প্রয়োজন। রাস্তায় কিংবা খোলা কোনো জায়গায় কখনোই থাকা যাবে না। প্রয়োজনে নিকটবর্তী কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।

২. বৃষ্টি বা ঝড় হলে তখন গাড়ি চালানো একদমই উচিত নয়। এ সময় রাস্তার পাশে নিরাপদ জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়ে সেখানে আশ্রয় নিন। আর অবশ্যই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন।

 ৩. রাস্তায় যদি বৃষ্টির সময় কোনো খোলা তার বা রাস্তায় তার পড়ে থাকতে দেখেন তাহলে তার আশপাশে যাবেন না। সেই তার যদি পানির স্পর্শে থাকে তাহলে সেই পানি থেকেও সাবধান। সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিন। আর এ সময় যদি রাস্তা পারাপার হতে হয় তাহলে অবশ্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।

৪. বাড়ির ছোট সন্তানদের ভেতরে রাখুন। তাদের কোনোভাবেই বাইরে যেতে দিবেন না।

৫. বৃষ্টির সময় কোনো গাছের নিচে দাঁড়ানো উচিত নয়। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৬. বাসায় বা বাড়ি থাকলে টর্চ লাইট, হারিকেন বা আলোর বিকল্প উপায় রাখুন। বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় মোবাইল ফোনে সব সময় যথেষ্ট চার্জ রাখুন। যাতে করে যেকোনো প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

৮. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। কেননা, মোবাইল ফোন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে।