img

আফগানিস্তানের বলখে খুললো মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়

প্রকাশিত :  ০৭:০৬, ০৯ অক্টোবর ২০২১

আফগানিস্তানের বলখে খুললো মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বলখে মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার আফগান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের নেয়ার পর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে ছেলেদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা এলেও মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়নি। ওই সময় তালেবানের বিরুদ্ধে নব্বইয়ের দশকের শাসনামলের মতোই নারীশিক্ষা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ করা হয়।
তবে এর মধ্যে আফগানিস্তানে প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের বিদ্যালয় খোলা হয়। নতুন করে এখন সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মেয়েদের বিদ্যালয় বলখ থেকে খোলা শুরু হলো।
বিদ্যালয়ে আসতে পেরে উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থীরা।
তামান্না নামের এক শিক্ষার্থী বলে, \'আমরা বলতে পারি না যে সবকিছুই স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যখন দেশের পরিস্থিতি আমরা বিবেচনা করি, এই অবস্থা ভালো এবং আমরা সন্তুষ্ট।\'
অপরদিকে ফাতেমা নামে অপর শিক্ষার্থী বলেন, \'শিক্ষার প্রক্রিয়া প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাওয়ার বিষয় এবং আমাদের শিক্ষকরা আমাদের সহায়তা করছেন। সাথে সাথে বিদ্যালয়ে আসার সময় নিরাপত্তা পরিস্থিতিও ভালো ছিলো।\'
এদিকে শিক্ষকরা জানান, কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা ও বেতন ছাড়াই তারা কর্মরত রয়েছেন।
সুহাইলা ওয়ারদাক নামের এক শিক্ষক বলেন, \'চার মাস হয়ে গেছে শিক্ষক ও কর্মচারীরা তাদের বেতন পাননি।\'
এদিকে বলখের শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা অভিভাবকদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেনো তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠায়।
শিক্ষা বিভাগের প্রধান মৌলভি মোহাম্মদ নাইম বলখি বলেন, \'আমরা চাই সব পরিবারগুলো উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠান। উন্নত ভবিষ্যৎ, উন্নত ও সমৃদ্ধ সমাজের জন্য শিক্ষিত প্রজন্ম প্রয়োজন।\' সূত্র : তোলো নিউজ

img

জিপিএ-৫ ও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

প্রকাশিত :  ০৯:২৩, ১২ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪২, ১২ মে ২০২৪

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ অর্জনের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। পাসের গড় হারের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। ১১টি বোর্ডে এবার গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। সেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৫ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা ২ দশমিক ৬১ শতাংশ এগিয়ে।

এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মোট ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্রী ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন এবং ছাত্র ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৫৩ জন। সেই হিসাবে ৫৯ হাজার ৪৭ জন ছাত্রী বেশি পাস করেছে।

অন্যদিকে, জিপিএ-৫ অর্জনের দিকে দিয়েও বেশ এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এ বছর এসএসসিতে সব বোর্ড মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। তাদের মধ্যে মেয়ে ৯৮ হাজার ৭৭৬ এবং ছেলে ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন। সেই হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ১৫ হাজার ৪২৩ জন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ছাত্রীরা কয়েক বছর ধরেই এগিয়ে। হঠাৎ এবারই যে তারা ভালো করেছে, তা নয়। তাই ছাত্রীদের এগিয়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন না তুলে ছাত্ররা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে ভাবা উচিত।

তিনি বলেন, দেখুন, এবার ছাত্রদের চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার ছাত্রী বেশি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ছাত্রীরা একাডেমিক পড়ালেখায় সবসময় ভালো। ছাত্ররা অনেক সময় মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও হেলায় সময় নষ্ট করে দু-একটা বিষয়ে খারাপ করায় পুরো ফলাফলে প্রভাব পড়ে। হয়তো সে আর জিপিএ-৫ পেতে পারে না। পড়ালেখা থেকে ছাত্রীদের চেয়ে এখন ছাত্রদের ঝরে পড়ার হারও বাড়ছে। সবমিলিয়ে ফলাফলে হয়তো সেটারই প্রভাব পড়েছে।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এবছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

শিক্ষা এর আরও খবর