img

বুশেহর পরমাণু স্থাপনার উৎপাদন তিনগুণ বাড়ানো হবে: রায়িসি

প্রকাশিত :  ০৮:০৭, ০৯ অক্টোবর ২০২১

বুশেহর পরমাণু স্থাপনার উৎপাদন তিনগুণ বাড়ানো হবে: রায়িসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর পরমাণু স্থাপনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ তিনগুণ বাড়ানো হবে। তিনি শুক্রবার সশরীরে এই পরমাণু স্থাপনার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করার পর দেশের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মাদ ইসলামির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা ঘোষণা করেন।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, বেসামরিক কাজে যত বেশি সম্ভব পরমাণু শক্তি ব্যবহার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ইরান এবং এক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থাকে  পরমাণু স্থাপনাগুলো থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। রায়িসি বলেন, সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ কাজে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করতে হবে যাতে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত খাতে দেশের আশাব্যাঞ্জক অগ্রগতি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
শুক্রবার বুশেহর সফরে গেলে জনগণের পক্ষ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা পান প্রেসিডেন্ট রায়িসি
আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো যখন ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং ভিয়েনা সংলাপে ইরানকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে তখন প্রেসিডেন্ট রায়িসি বুশেহর পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন করলেন।
বুশেহর পরমাণু স্থাপনার এক নম্বর ইউনিট থেকে ২০১১ সালে ইরানের জাতীয় গ্রিডে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।২০১৯ সালের ১০ নভেম্বর এই স্থাপনার দুই নম্বর ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।এখানকার দুই ও তিন নম্বর ইউনিট বাস্তবায়িত হলে এই স্থাপনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে তিন হাজার ‌১১৪ মেগাওয়াট।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখি না: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশিত :  ১৫:৪৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৩৩, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এ সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।

এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমসহ নানা জায়গায় শুনেছি যে ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সত্যি না। আমরা যদি দ্বিপক্ষীয় অভিন্ন স্বার্থের নিরিখে দেখি তাহলেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এটাই আমরা সরকার, গণমাধ্যমসহ সবাইকে জোর দিয়েই বলছি।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন এসব কথা বলেন। আইপিএস ও বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটা বহুমাত্রিক। আইপিএস এই সম্পর্কে কী মাত্রা যোগ করেছে, জানতে চাইলে ম্যাক্সওয়েল বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০ সমর্থন করে। এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। আইপিএসের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আগের সহযোগিতাগুলো এগিয়ে নিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের কোন দেশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, চীনের মতো কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি ভবিষ্যতেও জোর খাটাতে পারে। যেটা দক্ষিণ চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আইপিএসের ক্ষেত্রে আমরা এ ধরনের আধিপত্যপাদী আচরণ দেখতে চাই না। ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, আইপিএসের মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখবেন বিশ্বের বাণিজ্যের বড় অংশটা হয় এই অঞ্চলজুড়ে। অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে এই অঞ্চল ঘিরে। তাই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অবাধ ও মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি এবং সমৃদ্ধির স্বার্থের বিষয়গুলোতেই জোর দেওয়া হচ্ছে।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি। এই অঞ্চলের সব দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারে। গঠনমূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে থেকেই দিক থেকে বলছি। কেন এটা বলছি? স্বাধীনতার পর থেকে দ্রুততার সঙ্গে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সামর্থ্য ও অবদানের সক্ষমতা দেখেছি। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সামর্থ্যের পাশাপাশি অন্যের সহায়তাও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে আমরা গর্বিত। উদাহরণ হিসেবে মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা এক বিরাট দৃষ্টান্ত।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহায়তা করছে, জানতে চাইলে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর