সিআইডির হাতে ৬০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা

প্রকাশিত :  ১২:৩২, ১১ অক্টোবর ২০২১

 সিআইডির হাতে ৬০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা

জনমত ডেস্ক: টাকা নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া এবং টাকা ফেরত না দেওয়া অন্তত ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্তত ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বিতর্কিত এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হতে পারে।
সোমবার সিআইডি কর্মকর্তারা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানালেও ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করেননি।
ভুয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান খুলে গ্রাহকের আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানাতে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সেখানে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, \'অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সিআইডিও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছে। কিছু প্রতিষ্ঠান দিনের পর দিন পণ্য সরবরাহ করছে না। ভুক্তভোগীরা এজন্য থানায় অভিযোগ করেছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ যাচাই ও অনুসন্ধানে অন্তত ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০ থেকে ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সিআইডির নজরদারিতে রয়েছে।\'
তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো এ পর্যন্ত গ্রাহকদের কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, \'এটা হিসাব না করে বলা যাবে না। পরবর্তীতে হিসাব করে জানানো হবে।\'
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ই-কমার্সের নামে \'থলে ডটকম ও উইকুম ডটকম\' নামে দুটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে অন্তত আড়াই কোটি টাকা হাতিয়েছে গ্রেপ্তার ছয়জন। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, সোহেল হোসেন, তারেক মাহমুদ অনিক, সাজ্জাদ হোসেন পিয়াস, মুন্না পারভেজ ও সুপারভাইজার মাসুম হাসান। তারা ওই দুটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, খায়রুল আলম মীর নামের এক গ্রাহক পণ্য না পেয়ে মামলা করেন। ওই মামলার পর রোববার রাতে রাজধানীর মাটিকাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা উচ্চ ছাড়ে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, ইলেকট্রিক ফ্যান ইত্যাদি বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে ফেসবুক পেজে ও অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিত। গ্রাহক টাকা পরিশোধের ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার আশ্বাস দিলেও তা আর দেওয়া হতো না। তাদের পণ্যের জন্য চাপ দিলে চেক দিয়ে দিতো। কিন্তু চেক দেওয়া অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা থাকতো না।

‘এ’ ক্যাটাগরি কোম্পানির জন্য বিএসইসি’র বিশেষ ছাড়

প্রকাশিত :  ১০:২৪, ২৮ মার্চ ২০২৪

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির যেসব কোম্পানি টানা পাঁচ বছর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) করেছে, সেসব কোম্পানিগুলোকে আরও ছাড় দিলো। এসব কোম্পানিগুলো এখন থেকে সশরীরে উপস্থিত না হয়ে অনলাইনেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এজিএম ও ইজিএম করতে পারবে।

বিএসইসি আজ বুধবার (২৭ মার্চ) এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাটি ঢাকা ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

 নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সেসব কোম্পানি গত পাঁচ বছর একাধারে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে, সেসব কোম্পানিগুলো সশরীরে উপস্থিত না হয়ে অনলাইনেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এজিএম ও ইজিএম করতে পারবে।

এর আগে গত ২০২১ সালের ১০ মার্চ ও চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এজিএম ও ইজিএম সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছিল বিএসইসি। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের উভয় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ভ্যানুতে হাইব্রিড সিস্টেম ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বশরীর উপস্থিতিতে করতে হবে।

এছাড়া যেসব বিনিয়োগকারী ভ্যানুতে সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারবেন না তারা যাতে এজিএমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন সেজন্য অলাইন বা ডিজিটাল পদ্ধতি রাখার কথাও বলা হয়। কোম্পানির ঘোষিত সভায়, স্ব স্ব কোম্পানির চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) অথবা চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও কোম্পানি সেক্রেটারিকে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতেও বলা হয় ওই নির্দেশনায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কমপক্ষে দুইজন করে সিনিয়র অফিসিয়ালকে এজিএমের ভোটের পুরো সিস্টেম পর্যবেক্ষণ করতে নির্দেশনা দেয় বিএসইসি।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কোম্পানির এজিএমে নির্বাচনের পদ্ধতি ও ভোটের ফলাফল স্টক একচেঞ্জ থেকে অথেনটিকেটেড হতে হবে। একই সঙ্গে কোম্পানির নিয়োগকৃত একজন স্বাধীন স্ক্রটিনাইজার থেকেও অথেনটিকেটেড হতে হবে। ওই অথেনটিকেটেড রিপোর্ট এজিএম হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিএসইসিতে জমা দিতে হবে।

এর আগে মহামারি করোনা শুরু হওয়ার পর ২০২১ সালের ১০ মার্চ বিনিয়োগকারীদের স্বশরীরে উপস্থিতির পরিবর্তে হাইব্রিড পদ্ধতি বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে এজিএম করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।