img

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের লোকসানি শাখা বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্বেগ

প্রকাশিত :  ১৯:১৯, ১১ অক্টোবর ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৩৮, ১১ অক্টোবর ২০২১

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের লোকসানি শাখা বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্বেগ

জনমত ডেস্ক: সরকারি ব্যাংকগুলোতে লোকসানি শাখা বাড়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংককে খেলাপি কমানোর পাশাপাশি লোকসানি শাখাও কমিয়ে আনতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন গভর্নর ফজলে কবির।
সোমবার (১১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের স‌ঙ্গে বাৎসরিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের সময় এ নি‌র্দেশনা দেন গভর্নর ফজলে কবির।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, সরকারি চার ব্যাংকের এমডি, নির্বাহী পরিচালক, পর্যবেক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, করোনার মধ্যে সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পাশাপাশি লোকসানি শাখাও বাড়ছে। এতে রাষ্ট্র মালিকানার সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী এই চার ব্যাংকের নাজুক অবস্থা কাটছে না। যে কারণে লোকসানি শাখা কমিয়ে আনতেও নির্দেশনা দিয়েছেন গভর্নর।
এদিকে চলমান ইস্যু হিসেবে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলো যথানিয়মে এবং দ্রুততার সঙ্গে শতভাগ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে।
এদিকে, নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় এবং নির্দিষ্ট কিছু মানুষের মধ্যে ঋণ বিতরণ করছে ব্যাংকগুলো। এতে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ছে ব্যাংক ঋণ। আর ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকার নতুন নতুন উদ্যোক্তা। এমন ধারাবাহিকতা থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা।
জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ জনতা ব্যাংকের। জুন শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা, অগ্রণীর ৭ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা এবং রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৩ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা। সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ২০ দশমিক ৬২ শতাংশ। কিন্তু অনেক আগেই তা কমে ১০ শতাংশের নিচে নেমে আসার চুক্তি ছিল।

img

ভরিতে ২০৬৫ টাকা বেড়ে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত :  ১৫:৫৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:০৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দশ দিনের ব্যবধানে ফের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতি ভরিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৫ টাকা। ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। দেশের বাজারে এটাই সোনার সর্বোচ্চ দাম। এর আগে সবশেষ দাম ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের সোনার দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম। সনাতন পদ্ধতির সোনার নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০  হাজার ১৯০ টাকা।

এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

এর আগে গত ৮ এপ্রিল সোনার দাম ক‌মি‌য়ে‌ছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৮০  হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।