img

আম্বরখানায় ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত :  ০৯:৪৯, ১২ অক্টোবর ২০২১

 আম্বরখানায় ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু
জনমত ডেস্ক: সিলেট নগরীর আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় এক ব্যবসায়ী রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন। সোমবার সকালে বাসার নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চারতলা বাসার ছাদ থেকে পড়ে আব্দুল আউয়াল (৬০) নামের ওই ব্যবসায়ী মারা যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আউয়াল সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার গোলকপুর গ্রামের মৃত মনফর আলীর ছেলে। নগরীর জিন্দাবাজারে আল হামলা শপিং সিটিতে একটি পোষাকের দোকান রয়েছে তার।
করোনাকালীন সময়ে আর্থিত সঙ্কটে পড়া আব্দুল আউয়াল হতাশায় ভূগছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
নগরের আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মফিফ উদ্দিন জানান, বড়বাজার এলাকায় ৬নং বাসায় বসবাস করতেন আব্দুল আউয়াল। তার বড় ছেলের বউ অন্তঃস্বত্তা। রোববার রাতে ছেলের বউকে নিয়ে বাসার সবাই রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিলেন। বাসায় শুধু আব্দুল আউয়াল ও তার ছোট ছেলে (১৭ বছর) ছিলেন। আজ ভোর রাতে আব্দুল আউয়াল বাসার ছাদ থেকে পড়ে মারা যান।
এসআই মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, তিনি লাফ দিয়ে নিচে পড়ে মারা গেছেন। তবে আসল কারণ জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া অবধি অপেক্ষা করতে হবে।’
আব্দুল আউয়ালের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। তবে তার পরিবার, ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে সিসিকের স্থানীয় কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ বলেন, ‘দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক আব্দুল আউয়াল। তিনি এমপিওভুক্ত একটি হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি চাকরি ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমান। কিন্তু সেখানে সুবিধা করতে পারেননি। দেড় বছর পর হতাশ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। এরপর মেয়ে জামাইয়ের সাথে নগরীর টিবি গেইট এলাকায় বসবাস করছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বছরখানেক আগে ব্যবসা শুরু করেন আব্দুল আউয়াল। এরপর পরিবার নিয়ে আলাদা বাসায় ওঠেন। কিন্তু মহামারির কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে পড়ে। ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে সিটি কাউন্সিলর আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে জীবন সম্পর্কে উদাসীন ছিলেন আব্দুল আউয়াল। কারো সাথে তার শত্রুতা ছিল না। এই মৃত্যু নিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ নেই। তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন।
img

হবিগঞ্জে পরীক্ষায় ফেল করায় তিন শিক্ষার্থীর বিষপান, একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৯:৩০, ১২ মে ২০২৪

হবিগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ৩ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে মায়িশা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থীর মারা যান। রোববার (১২ মে) বিকেলে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তারা বিষপান করেন।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর গ্রামের মজিদ মিয়ার মেয়ে মায়িশা আক্তার (১৭)। সে সম্প্রতি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে আসে। আজ (রোববার) এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে এতে সে অকৃতকার্য হয়। খবর পেয়ে সে ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে ফেলে। স্বজনরা বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় জেলার বাহুবল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে রসুলপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান রুমি (১৬) ও সদর উপজেলার পইল গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে পইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুভ মিয়া (১৬) ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তারা সকলেই হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, নিহত মায়িশার লাশ তার আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওপর দু’জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।