img

মহামারি ঠেকাতে ব্রিটেনের পদক্ষেপ ‘ইতিহাসের বড় ব্যর্থতা’

প্রকাশিত :  ১৭:১৫, ১২ অক্টোবর ২০২১

মহামারি ঠেকাতে ব্রিটেনের পদক্ষেপ ‘ইতিহাসের বড় ব্যর্থতা’

জনমত ডেস্ক: মহামারির প্রাথমিক অবস্থায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে আরও ব্যবস্থা নিতে না পারার ব্যর্থতা যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে মনে করেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। ব্রিটিশ আইন প্রণেতাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের বিজ্ঞানীদের সমর্থনে সরকার পরিস্থিতি ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছে আর কার্যত সংক্রমণের মধ্য দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে চেয়েছে। আর সেই কারণেই প্রথম লকডাউন আরোপে দেরি হয়ে যায়, বাড়ে প্রাণহানি।
আন্তঃদলীয় আইনপ্রণেতাদের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সরকারের সফলতাও রয়েছে, বিশেষ করে টিকাদান কর্মসূচিতে। গবেষণা থেকে শুরু করে উন্নয়ন এবং টিকা চালুর সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে আইনপ্রণেতারা ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ অভিহিত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হেলথ অ্যান্ড সোস্যাল কেয়ার কমিটি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটির দীর্ঘ প্রতিক্ষিত প্রতিবেদনে এসব অনুসন্ধান হাজির করা হয়েছে। এসব কমিটিতে সব দলের আইনপ্রণেতাদের অংশগ্রহণ রয়েছে।
দেড়শ’ পাতার প্রতিবেদনে কমিটিগুলো মহামারির পুরো সময় জুড়ে সফলতা এবং ব্যর্থতার নানা ধরণ সামনে এনেছে। এই মহামারিতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত দেড় লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আইনপ্রণেতারা একে এক শতাব্দির মধ্যে ‘সবচেয়ে বড় শান্তিকালীন চ্যালেঞ্জ’ আখ্যা দিয়েছেন।
রক্ষণশীল দলের আইনপ্রণেতা জেরেমি হান্ট এবং গ্রেগ ক্লার্ক এসব কমিটির প্রধান। তারা বলেছেন, মহামারির প্রকৃতিটাই এমন ছিলো যে সবকিছু ঠিকঠাক হওয়াটাই অসম্ভব ছিলো। প্রতিবেদনের সঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে কিছু বড় অর্জনের সঙ্গে কিছু বড় ভুলও হয়েছে। উভয় দিক থেকে শিক্ষা নেওয়াটাই জরুরি।’
ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, শিক্ষা নেওয়া হবে। সেই কারণেই আগামী বছর একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি তদন্ত হবে।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চান না ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৯:০৯, ১২ মে ২০২৪

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফায় ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রায় অভিযান পরিচালনা করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্রের চালান স্থগিতের যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তার সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মনে করেন, ইসরাইলের ওপর যুক্তরাজ্যের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে। খবর বিবিসির

ক্যামেরন জানান, গাজার রাফাহ শহরে বড় ধরনের স্থল অভিযানকে সমর্থন করেন না তিনি। তবে দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটার পক্ষে না তিনি। 

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেছেন, তিনি চান না যুক্তরাজ্যের তৈরি অস্ত্র রাফায় ব্যবহার হোক।

ইসরাইল প্রতিবছর যে অস্ত্র কেনে তার মাত্র ১ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে যায় বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন।

যু্ক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা আরও কয়েকটি দেশ ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, যদি তারা রাফায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে তবে সেখানে গণহারে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা নিহত হবে এবং বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।

এদিকে সব সতর্কবার্তা এবং হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফায় স্থল অভিযান পরিচালনা করবেন।

ইসরাইলের দাবি, রাফায় হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা অবস্থান করেছে। তাই সেখানে পূর্ণমাত্রায় অভিযান ছাড়া গাজায় হামাসকে নির্মূল করার তাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না।

সোমবার থেকে রাফায় আকাশ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। মিশর সীমান্তবর্তী এই নগরীতে স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। এজন্য রাফার বাসিন্দা এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজায় ইসরাইলের আকাশ হামলায় তিন ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর ক্যামেরন নিজেই ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সে কথা উল্লেখ করে ক্যামেরন আরও বলেন, শেষবার আমি যখন ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে বলেছিলাম তার মাত্র কয়েকদিন পর ইরান নিষ্ঠুরভাবে ইসরাইলে হামলা করে বসে। তাই আমি আজ খুব সাধারণ ভাবে ঘোষণা দিতে চাই যে, আমরা আমাদের অস্ত্র রপ্তানির কৌশল পরিবর্তন করলে সেটা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এটা জিম্মিদের মুক্ত করে আনার চুক্তিকে আরও কঠিন করে তুলবে।