img

ব্রিটেনে এবারও বাতিল করা হল নববর্ষ উৎসব

প্রকাশিত :  ০৯:৪৩, ১৩ অক্টোবর ২০২১

ব্রিটেনে এবারও বাতিল করা হল নববর্ষ উৎসব
জনমত ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের মতো এবারও বাতিল করা হয়েছে বৃটেনের নববর্ষ উৎসব। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাতিল করা হলো উৎসবটি। যার ফলে লন্ডন শহরের টেমস নদীর তীরে বড় পরিসরে আতশবাজির মাধ্যমে দেশটির মানুষ ২০২১-কে বিদায়, আর নতুন বছর ২০২২-কে বরণ করতে পারবে না। এমন খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে অনেকের মাঝে হতাশা দেখা দেয়। দেশটিতে প্রতিবছর নববর্ষ উৎসবের জন্য ৩১শে ডিসেম্বর রাতে শহরের টেমস নদীর তীরে লন্ডন আইদর আতশবাজি দেখতে জড়ো হতেন বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের লক্ষ লক্ষ মানুষ। টিভিতে আরো ১২ মিলিয়ন মানুষ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে।
১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে চালু হওয়া নববর্ষ উৎসবের রাতে প্রতি বছর ১২ হাজারের উপরে আতশবাজি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট অনিশ্চয়তার কারণে টেমস নদীর তীরে নববর্ষ উৎসব এবারও বাতিল করে বিকল্প উপায়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি চলছে দেশটিতে। লন্ডন মেয়রের একজন মুখপাত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে বলেছেন, যথাসময়ে নববর্ষ উদযাপনের বিস্তারিত জানানো হবে।
তবে অনেকের ধারণা শীতকালীন কোভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখে বাতিল করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা বহাল রাখা হতে পারে। যেভাবে জানুয়ারির ১ তারিখের বর্ষবরণ আগে ২৬শে মার্চ পালন করা হতো। পরে সম্রাট নুমা পল্টিলাস যখন জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারিকে ক্যালেন্ডারে স্থান দেন তখন তিনি ঠিক করে দেন জানুয়ারির ১ তারিখ হবে বছরের প্রথম দিন। এরপর থেকে জানুয়ারির প্রথম দিন বর্ষবরণ পালিত হয়। রোমানরা তা না মেনে আগের মতো ২৬ মার্চ পালন করা শুরু করে। পরে জুলিয়াস সিজার যখন ৩৬৫ দিনে বছর ঘোষণা দেন তখন থেকে আবার মার্চের পরিবর্তে তিনি ১লা জানুয়ারি থেকে বছর শুরুর ঘোষণা দেন।
তার ক্যালেন্ডারে কিছু সমস্যা হওয়ায় গ্রেগরিয়ান তা সংস্কার করেন। ১৭৫৬ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রচলিত হয় বৃটেনে। এরপর থেকে প্রতি বছর আতশবাজির ঝলকানি আর আলোক উৎসবের মধ্যে দিয়ে বরণ করে নেয়া হতো নতুন বছরকে। কিন্তু করোনার থাবায় বিপর্যস্ত বৃটেন আগের মতো আর কোন ভুল করে তার মাশুল দিতে চাচ্ছে না। ফলে আগে ভাগে নববর্ষ উৎসব বাতিল করে বিকল্প উপায়ে হাঁটতে যাচ্ছে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চান না ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৯:০৯, ১২ মে ২০২৪

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফায় ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রায় অভিযান পরিচালনা করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্রের চালান স্থগিতের যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তার সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মনে করেন, ইসরাইলের ওপর যুক্তরাজ্যের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে। খবর বিবিসির

ক্যামেরন জানান, গাজার রাফাহ শহরে বড় ধরনের স্থল অভিযানকে সমর্থন করেন না তিনি। তবে দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটার পক্ষে না তিনি। 

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেছেন, তিনি চান না যুক্তরাজ্যের তৈরি অস্ত্র রাফায় ব্যবহার হোক।

ইসরাইল প্রতিবছর যে অস্ত্র কেনে তার মাত্র ১ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে যায় বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন।

যু্ক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা আরও কয়েকটি দেশ ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, যদি তারা রাফায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে তবে সেখানে গণহারে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা নিহত হবে এবং বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।

এদিকে সব সতর্কবার্তা এবং হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফায় স্থল অভিযান পরিচালনা করবেন।

ইসরাইলের দাবি, রাফায় হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা অবস্থান করেছে। তাই সেখানে পূর্ণমাত্রায় অভিযান ছাড়া গাজায় হামাসকে নির্মূল করার তাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না।

সোমবার থেকে রাফায় আকাশ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। মিশর সীমান্তবর্তী এই নগরীতে স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। এজন্য রাফার বাসিন্দা এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজায় ইসরাইলের আকাশ হামলায় তিন ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর ক্যামেরন নিজেই ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সে কথা উল্লেখ করে ক্যামেরন আরও বলেন, শেষবার আমি যখন ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে বলেছিলাম তার মাত্র কয়েকদিন পর ইরান নিষ্ঠুরভাবে ইসরাইলে হামলা করে বসে। তাই আমি আজ খুব সাধারণ ভাবে ঘোষণা দিতে চাই যে, আমরা আমাদের অস্ত্র রপ্তানির কৌশল পরিবর্তন করলে সেটা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এটা জিম্মিদের মুক্ত করে আনার চুক্তিকে আরও কঠিন করে তুলবে।