ব্রিটেনে এবারও বাতিল করা হল নববর্ষ উৎসব
১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে চালু হওয়া নববর্ষ উৎসবের রাতে প্রতি বছর ১২ হাজারের উপরে আতশবাজি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট অনিশ্চয়তার কারণে টেমস নদীর তীরে নববর্ষ উৎসব এবারও বাতিল করে বিকল্প উপায়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি চলছে দেশটিতে। লন্ডন মেয়রের একজন মুখপাত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে বলেছেন, যথাসময়ে নববর্ষ উদযাপনের বিস্তারিত জানানো হবে।
তবে অনেকের ধারণা শীতকালীন কোভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখে বাতিল করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা বহাল রাখা হতে পারে। যেভাবে জানুয়ারির ১ তারিখের বর্ষবরণ আগে ২৬শে মার্চ পালন করা হতো। পরে সম্রাট নুমা পল্টিলাস যখন জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারিকে ক্যালেন্ডারে স্থান দেন তখন তিনি ঠিক করে দেন জানুয়ারির ১ তারিখ হবে বছরের প্রথম দিন। এরপর থেকে জানুয়ারির প্রথম দিন বর্ষবরণ পালিত হয়। রোমানরা তা না মেনে আগের মতো ২৬ মার্চ পালন করা শুরু করে। পরে জুলিয়াস সিজার যখন ৩৬৫ দিনে বছর ঘোষণা দেন তখন থেকে আবার মার্চের পরিবর্তে তিনি ১লা জানুয়ারি থেকে বছর শুরুর ঘোষণা দেন।
তার ক্যালেন্ডারে কিছু সমস্যা হওয়ায় গ্রেগরিয়ান তা সংস্কার করেন। ১৭৫৬ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রচলিত হয় বৃটেনে। এরপর থেকে প্রতি বছর আতশবাজির ঝলকানি আর আলোক উৎসবের মধ্যে দিয়ে বরণ করে নেয়া হতো নতুন বছরকে। কিন্তু করোনার থাবায় বিপর্যস্ত বৃটেন আগের মতো আর কোন ভুল করে তার মাশুল দিতে চাচ্ছে না। ফলে আগে ভাগে নববর্ষ উৎসব বাতিল করে বিকল্প উপায়ে হাঁটতে যাচ্ছে।