img

‘ফেসবুক প্রোটেক্ট’ চালু না করলে ২৮ অক্টোবর লক হবে অ্যাকাউন্ট?

প্রকাশিত :  ১৫:৪৪, ১৩ অক্টোবর ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৪৮, ১৩ অক্টোবর ২০২১

‘ফেসবুক প্রোটেক্ট’ চালু না করলে ২৮ অক্টোবর লক হবে অ্যাকাউন্ট?

জনমত ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি নতুন একটি নোটিফিকেশন পেয়েছেন অনেক ব্যবহারকারী। ওই নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে ফেসবুক প্রোটেক্ট নামে একটি ফিচার টার্ন অন বা চালু করতে হবে। তা না হলে ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট লক হয়ে যাবে। বিবিসি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ফেসবুক প্রোটেক্ট কী এবং কীভাবে কজ করে। এ ব্যাপারে ফেসবুকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে, বেশ কিছু অ্যাকাউন্টকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে তারা একটি নতুন ফিচার তৈরি করেছে। ওই ফিচারের নাম দেওয়া হয়েছে ফেসবুক প্রোটেক্ট।

এটি একটি ভলানটারি (ঐচ্ছিক) প্রোগ্রাম যা নির্বাচনী প্রার্থী, তাদের প্রচারণা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অ্যাকাউন্টকে বাড়তি সুরক্ষা দেবে।

প্রাথমিক ভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির নির্বাচনের সময় সেখানকার প্রার্থীদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সুরক্ষায় এই প্রোগ্রামটি তৈরি করা হয়েছিল। পরে এটি কানাডাতেও চালু করা হয়।

তবে ২০২১ সালে এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য সরবরাহ করা হবে বলেও জানানো হয়। এ বিষয়ক আপডেটও ফেসবুকের মাধ্যমেই জানানো হবে বলে ফেসবুক জানায়।

ফেসবুকে নতুন এই ফিচারটি অ্যাড করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ফেসবুক।

ফিচারটি চালু করতে গেলে এসব ব্যাখ্যার কথা জানানো হয়েছে ফেসবুকের পক্ষ থেকে।

এ ব্যাপারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বার্তা দিচ্ছে যে, আপনার অ্যাকাউন্টটি অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। যার জন্য আপনার শক্তিশালী নিরাপত্তা দরকার। আপনার অ্যাকাউন্টের মতো সব অ্যাকাউন্টের রক্ষায় এই নিরাপত্তা প্রোগ্রাম তৈরি করেছে ফেসবুক।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এরই মধ্যে লগ ইনের ক্ষেত্রে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করেছে।

পরবর্তীতে প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর মাধ্যমে ফেসবুক প্রোটেক্ট পুরোপুরি চালু করা হবে।

ফেসবুক প্রোটেক্ট চালু করার সময় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে লার্ন মোর অপশনে গেলে সেখানে ফেসবুক প্রোটেক্ট কেন জরুরি সে বিষয়ে বলা হয়।

এতে বলা হয়, হ্যাকাররা সব সময় সেই অ্যাকাউন্টগুলোর প্রতিই আগ্রহী হয়, যেগুলোতে অনেক বেশি ফলোয়ার থাকে, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ পেইজ পরিচালনা করে কিংবা যার কমিউনিটি সিগনিফিক্যান্স বা গুরুত্ব রয়েছে।এ ধরণের টার্গেটেড অ্যাটাক বা উদ্দেশ্যপূর্ণ হামলা রোধ করতেই ইন্নত নিরাপত্তার এই প্রোগ্রামটি চালু করার অনুরোধ করেছে ফেসবুক।

ফেসবুকের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, যারা এই ফিচারটি চালু করতে পারবেন তারা ফেসবুকের মাধ্যমেই তা জানতে পারবেন। যারা এর আওতায় পড়বেন তারা ফেসবুকের সেটিংসে গিয়ে সিকিউরিটি অ্যান্ড লগ-ইন অপশনে গেলে ফেসবুক প্রোটেক্ট নামে অপশন পাবেন। সেখান থেকে ফেসবুক প্রোটেক্ট অপশন অন করা যাবে। 

ফেসবুক প্রোটেক্টের ব্যাপারে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বিবিসি বাংলাকে বলেন, ফেসবুকের এই ফিচারটি অ্যাকাউন্টের মৌলিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো যেমন ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড বা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেশনের পাশাপাশি আরো কিছু বাড়তি নিরাপত্তা দেবে।

তিনি বলেন, এর পরবর্তীতে অ্যাকাউন্টধারীর পেইজে কোনো পোস্ট আসার আগে ফারদার (আরও) অথেনটিফিকেশন (যাচাই) হয়ে আসবে। যাতে ওই অ্যাকাউন্টটিকে আর কেউ অ্যাবিউজ করতে না পারে, থ্রেট (হুমকি) থেকে রক্ষা করতে এই উদ্যোগ।

তবে সবাইকে নয় বরং ফেসবুক যাদের মনে করছে যে, তারা কোনো ধরণের হুমকির মুখে পড়তে পারে তাদেরকেই এ ধরনের বার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

img

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১৩:২৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটে ১৬তম অবস্থানে রয়েছে। এই ইন্টারনেট সেবায় মিয়ানমার, জিম্বাবুয়ে, ইরাক ও নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো বাংলাদেশের ওপরে অবস্থান করছে।

সূচক অনুসারে, মার্চে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। পাশপাশি আপলোডের স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এছাড়া ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ডাউনলোডের গড় গতি ১০৫.৮৫ এমবিপিএস।

মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ মোবাইল ইন্টারনেট গতি সূচকে শীর্ষে অবস্থান করছে। ৩১৩.৩০ এমবিপিএস গতি নিয়ে কাতার ১ নম্বরে, ২৯৬ এমবিপিএস গতি নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২ নম্বরে এবং ২২৮.৬৪ এমবিপিএস গতি নিয়ে কুয়েত তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নিজেদের স্পিডটেস্ট অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া লাখ লাখ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা দেয়।