img

চাঁদপুরে চাচার লালসার শিকার ভাতিজি

প্রকাশিত :  ১১:৩৩, ১৫ অক্টোবর ২০২১

চাঁদপুরে চাচার লালসার শিকার ভাতিজি

জনমত ডেস্ক: চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বিয়ের প্রলোভনে এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ফুসলিয়ে লালসা চরিতার্থের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল অভিযুক্ত ওই তিন সন্তানের জনককে চাঁদপুর জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার সুচিপাড়া উত্তর ইউপি’র শোরসাক গ্রামের মিয়াসাব বাড়ির মৃত নূর মোহাম্মদের পুত্র মো. মিজান (৪৪) শোরসাক বাজারে একজন (চা-পান) বিক্রেতা। ওই কিশোরীর একই বাড়ির সম্পর্কে ভাতিজি হওয়ায় প্রায় সে মিজানের দোকানে যাওয়া-আসা করতো। একপর্যায়ে বাকপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর প্রতি কুদৃষ্টি পড়ে মিজানের। এতে সে বিভিন্ন ফন্দি আটে। তারপর অসহায় দরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরীকে বিভিন্ন প্রলোভন ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ১১ই জুন দুপুরে তার ইচ্ছে চরিতার্থ (ধর্ষণ) করে। ওই থেকে একটানা দীর্ঘদিন বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে ধর্ষণে মেতে ওঠে মিজান। এতে ওই কিশোরী (অন্তঃসত্ত্বা) হয়ে তার মাঝে আরেকটি শিশুর অস্তিত্ব বেড়ে উঠতে শুরু করলে বিষয়টি তার মায়ের দৃষ্টিগোচর হয়।
একপর্যায়ে তার মা-ও স্বজনদের জেরার মুখে কিশোরী মিজানের ওই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা খুলে বলে। পরে তার মা বিষয়টি নিশ্চিত হতে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার বিমল চন্দ্র শীলের নিকট মেয়েকে নিয়ে যান। বিষয়টি ক্রমে পরিবারের গণ্ডি অতিক্রম করে স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। মিজান এটি ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য সালিশে নিজের অপরাধ স্বীকার করে গ্রাম্য মাতবরদের সহযোগিতায় নিষ্পত্তির পাঁয়তারা চালায়। এতে কিশোরীর পিতা সন্তুষ্ট না হয়ে গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি মামলা করে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে থানা উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. রোকন উদ্দিন রাতেই অভিযুক্তকে আটক করে।
শাহরাস্তি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আঃ মান্নান জানান, অভিযুক্তকে আটক করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর সরকারি হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।

img

টানা তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

প্রকাশিত :  ১৫:৫০, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

এপ্রিলের শুরু থেকেই অসহনীয় গরমে পুড়ছে দেশ। যত দিন গেছে তাপপ্রবাহের এলাকাও প্রসারিত হয়েছে। এখন দেশের বেশিরভাগ জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। এ অবস্থায় দেশের গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপপ্রবাহ। যা এপ্রিল মাসের দীর্ঘব্যপ্তিকাল বলছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘসময় ধরে তাপপ্রবাহ বইছে বাংলাদেশে। চলতি এপ্রিলে টানা ২৪ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরপর ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগটির তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগেও তাপমাত্রা বাড়ে এবং দু’দিন তা অব্যাহত থাকে।

এদিকে, গত ৮ এপ্রিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। তবে ৯ ও ১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। এরপর ১১ এপ্রিল থেকে উষ্ণতা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

টানা অন্তত দু’দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অন্যদিকে, বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।