img

মাগুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ৪

প্রকাশিত :  ১৪:১১, ১৫ অক্টোবর ২০২১

মাগুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ৪

জনমত ডেস্ক : মাগুরা সদর উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দলাদলির ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের দক্ষিণ জগদল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের সাহাবাজ মোল্যার ছেলে সবুর মোল্যা, কবির হোসেন, চাচাতো ভাই রহমান মোল্যা এবং ইমরান।

এলাকাবাসী জানায়, এই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি মেম্বার নজরুল হোসেন। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে তফসিল ঘোষণার পর এই ওয়ার্ড থেকে সৈয়দ আলি নামে অপর একজন মেম্বার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়। এ ঘটনার পর থেকেই গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় নজরুল মেম্বার এবং সৈয়দ আলি সমর্থিতদের মধ্যে বাদ বিবাদ চলছিল।

তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ৪টার দিকে নজরুল মেম্বার সমর্থিতরা সৈয়দ আলি সমর্থিতদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হলে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনজনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমরানের মৃত্যু হয়।

হামলায় আহত অন্যান্যদের অবস্থাও গুরুতর বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. রফিকুল আহসান।

img

আলোচিত 'সানভীস বাই তনি'র ভয়ংকর প্রতারণা, শোরুম সিলগালা

প্রকাশিত :  ১০:৩৩, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪৫, ১৪ মে ২০২৪

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বেশ আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। যিনি পরিচিত ‘সানভিস বাই তনি’র নামে। রাজধানীতে পোশাক ও কসমেটিক্সের কয়েকটি শোরুম আছে তার। এছাড়া অনলাইনে ড্রেস বিক্রি করেন তিনি। এবার তিনি আলোচনায় এসছেন কোনো পোশাক বা কসমেটিক্স নিয়ে নয়, বরং  প্রতারণার অভিযোগে।

পাকিস্তানি বলে বেশি দামে দেশি পোশাক বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনির বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে গুলশানে ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করা হয়েছে।

সোমবার গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

রোবাইয়াত ফাতেমা তনির রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম আছে । অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। তবে এবার আলোচনায় আসলেন প্রতারণার অভিযোগে।

ভোক্তা অধিকার অধিদফতর জানায়, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে।

ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ভোক্তা অধিদফতরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এ দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিশ করা হয়েছে। তারা সেটি দেখেও জবাব দেয়নি। তারা যেহেতু কোনো জবাব দেয়নি, উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এখানে এসে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে।’

তিনি আরো বলেন, আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে। এ ছাড়া কতগুলো কাস্টমারকে এসব ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে, সেসব তথ্য দেবে।