img

মন্ডপে হামলার প্রতিবাদে কুলাউড়ায় বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত :  ১১:০১, ১৭ অক্টোবর ২০২১

 মন্ডপে হামলার প্রতিবাদে কুলাউড়ায় বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

জনমত ডেস্ক: শারদীয় দুর্গোৎসবে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উপজেলার তিনটি পূজামন্ডপসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচুর ও হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কুলাউড়া পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা কমিটি এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।
এ দিকে কুলাউড়ার একটি মন্ডপে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফয়েজ (৩৫) নামের এক যুবককে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব ফটিগুলি গ্রামে।
 উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরবিন্দু ঘোষের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নির্মাল্য মিত্রের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরা দে, পূজা পরিষদের উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি অরুণাভ দে, প্রদীপ দত্ত, অশোক ধর, সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাংশু মোহন বিশ্বাস, টিএসএসের সাধারণ সম্পাদক সুজিত দে, ক্ষতিগ্রস্ত রাজানগর চা বাগান পূজামন্ডপের উপদেষ্টা পুরন ঊরাং প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার জের ধরে ১৩ অক্টোবর রাতে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে অবস্থিত নলডরি দূর্গামন্দির, আসকরাবাদ চা-বাগান ও রাজানগর চা-বাগান পূজামন্ডপে বেশ কিছু লোক মিছিলসহকারে ঢোকে হামলা-ভাঙচুর শুরু করেন। তাঁরা প্রতিমা ভেঙে মন্ডপে আগুন ধরিয়ে দেন। রাজানগরে প্রতিমা ভেঙে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলা হয়। এ ঘটনার পর থেকে তিনটি মন্ডপে পূজা বন্ধ হয়ে যায়। সেখানকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এখনো আতংকের মধ্যে রয়েছেন। বক্তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ও মদদদাতাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
পুলিশ জানায়, কর্মধার তিনটি মন্ডপে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পূজা পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে পৃথকভাবে কুলাউড়া থানায় মামলা হয়েছে। নলডরি মন্ডপের ঘটনায় জড়িত থাকায় শনিবার বিকেলে  অভিযান চালিয়ে ফয়েজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষন রায় বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ফয়েজের বিরুদ্ধে বিজিবির ওপর হামলাসহ বিভিন্ন ঘটনায় থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

img

বিশ্বনাথের মেয়রের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরের শ্লীলতাহানির মামলা

প্রকাশিত :  ১৫:১৪, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:১৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান, দুই কাউন্সিলরসহ আটজনের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি করেন পৌরসভার এক নারী কাউন্সিলর।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পৌরসভার সাত কাউন্সিলর মেয়র মুহিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগে অনাস্থা প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে মেয়র কাউন্সিলরদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে পৌরসভার দক্ষিণ মিরেরচর এলাকায় মেয়রের নেতৃত্বে কয়েকজন নারী কাউন্সিলরদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। প্রতিবাদ করলে মেয়র ও তার সহযোগীরা বাদীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ওই কাউন্সিলর গতকাল বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। বুধবার ভোরে লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় মেয়র ছাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ফজর আলী ও বারাম উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মেয়র মুহিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী জানান, নারী কাউন্সিলরের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।