ব্যবসা বিষয়ক প্রতিযোগিতার ১২তম আসর শুরু করল ইউনিলিভার

প্রকাশিত :  ১৫:১০, ১৭ অক্টোবর ২০২১

ব্যবসা বিষয়ক প্রতিযোগিতার ১২তম আসর শুরু করল ইউনিলিভার

দেশের তরুণদের মধ্যে নেতৃত্ব, সৃজনশীলতা ও ব্যবসায়িক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) ব্যবসা বিষয়ক প্রতিযোগিতা \'বিজমায়েস্ট্রোজ ২০২১\' । এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বাস্তব ব্যবসার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে এর আয়োজন করেছে ইউবিএল।
প্রতিযোগিতার ১২তম আসর উপলক্ষ্যে রোববার একটি অফিশিয়াল নিবন্ধন ওয়েবসাইট (https://bizmaestros.site) চালু করেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই ওয়েবসাইটিতে ঢুকে নিজেদের ‘বিজনেস কেস’ টি মূল্যায়নের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
 সাম্প্রতিক সময়ের আলোকে এবং বাস্তবমুখী প্রেক্ষাপটে \'বিজমায়েস্ট্রোজ ২০২১\'  এর থিম রাখা হয়েছে \'নেভিগেটিং ইন দ্য নিউ নরমাল\'।
 এ বছর প্রতিযোগিতার প্রথমপর্বে সরাসরি ৬০০ এর বেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ আশা করছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ। গত বছর ‘বিজমায়েস্ট্রোজ ২০২০’ প্রতিযোগিতায় প্রথম পর্বে ৪০০ এর বেশি শিক্ষার্থী ১৪৫টি দল অংশগ্রহণ করেছিল। বৈচিত্র্যময় ও সৃজনশীল প্রতিভার সন্ধান পেতে গতবার ৩০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ।  
করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে ‘নতুন স্বাভাবিক’ সময়ে ভোক্তাদের পরিবর্তিত চাহিদার কথা মাথায় রেখে ইউনিলিভারের উদ্দেশ্য-চালিত ব্র্যান্ডগুলো কিভাবে তাদের সামাজিক ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভোক্তাদের আস্থা ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে, সেটির সৃজনশীল সমাধানের ওপরেই ‘বিজমায়েস্ট্রোজ ২০২১’ এর প্রথম রাউন্ডে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিটি দল ব্যবসায়িক কেসগুলোর ওপর তাদের নিজ নিজ ‘সমাধান’ জমা দিবে। দ্বিতীয় রাউন্ডে মূলত: প্রতিযোগী দলগুলোর সরাসরি উপস্থাপনা মূল্যায়ন করা হবে, যেখানে প্রথম রাউন্ডে উত্তীর্ণ ৩০টি দল ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বিচারকদের সামনে তাদের নিজ নিজ সমাধান তুলে ধরবে। এই পর্যায়ে তারা ‘মেন্টরিং’ ও  ‘লার্নিং’ সেশনের সহায়তা পাবে। দুইটি ভার্চ্যুয়াল রাউন্ড শেষ হবার পর যথাযথ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিযোগিতার শেষ রাউন্ডটি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে চূড়ান্ত বিজয়ী হবার লক্ষ্যে শীর্ষ ছয়টি দল একে অন্যের মুখোমুখি হবে। এক্ষেত্রে বিচারক হিসেবে তারা পাবে দেশের শীর্ষ কর্পোরেট শীর্ষস্থানীয়দের।  
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে বিচারকম-লী হিসেবে যারা থাকবেন, তারা সবাই-ই বর্তমান সময়ের খ্যাতনামা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বিচারকরা হলেন- বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার এবং ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেএসএম মিনহাজ।
প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বিজয়ীরা প্রতিবছর যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া ইউনিলিভার এর বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম ‘ফিউচার লিডারস লিগ (এফএলএল) ২০২২’ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন। বিজয়ীরা ইউনিলিভার এর ফ্ল্যাগশিপ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রাম- \'ইউনিলিভার ফিউচার লিডারস প্রোগ্রাম\' (ইউএফএলপি) এ নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার পাবে।
প্রতিযোগিতার শীর্ষ তিন দলকে ইউনিলিভার লিডারশিপ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের (ইউএলআইপি) আওতায় ইন্টার্ন করার সুযোগ করে দেয়া হবে। এছাড়া প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রাউন্ডে উত্তীর্ণ হবার পর থেকে যারা ভালো ফলাফল অর্জন করেছে, তারাও ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর ভবিষ্যত নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘ট্যালেন্ট পাইপলাইন’ এ অন্তর্ভুক্ত থেকে অগ্রাধিকার পাবে।  
এ প্রসঙ্গে ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক সাকশী হান্ডা বলেন, \'শিক্ষার্থীদের জন্য ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’হলো অনন্য একটি সুযোগ, যেখানে তারা বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা, ব্যবসায় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শীর্ষ কর্পোরেট নেতাদের কাছ থেকে মানসম্পন্ন দিক নির্দেশনা, পরামর্শ এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশে যোগদানের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে থাকে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অতীতে আমরা অসাধারণ কিছু তরুণ মেধাবীর সন্ধান পেয়েছি এবং তাদেরকে ভবিষ্যতের যোগ্য কর্পোরেট নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষার্থীরা এই বছরের চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে সমাধান করে- তা দেখার জন্যই আমি অত্যন্ত উদগ্রীব হয়ে আছি\'।
করোনা মহামারির সময়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হয়েছে এবং কর্পোরেট বিশ্বে নিজেদের কাজের ক্ষেত্র তৈরি এবং যুক্ত হওয়ার সুযোগ থেকে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদেরকে সহায়তা করার লক্ষ্যে করোনা মহামারির শুরু থেকেই বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ক্যাম্পাসভিত্তিক নানান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সংযোগ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ধারাবাহিক সেশনগুলোর মাধ্যমে ইউনিলিভার ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে শেখার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ

প্রকাশিত :  ১৭:৫৩, ২৮ মার্চ ২০২৪

জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে। যদিও এর বিপরীতে প্রতিদিন অনাহারে থাকছে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ।

বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে।

জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।

বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় একটি বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি। শুধুমাত্র এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন।’

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি।

প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন,‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্যের প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। সূত্র: সিএনএন