img

দুশ্চিন্তা দূর করতে আপনার করনীয় জেনে নিন

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ১৯ অক্টোবর ২০২১

দুশ্চিন্তা দূর করতে আপনার করনীয় জেনে নিন

দৈনন্দিন ব্যস্ততা থেকে আসে ক্লান্তি। ক্লান্তি থেকে বিষণ্নতা, দুশ্চিন্তা। আর এর হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ জাতীয় অসুখ। দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করেও আমরা পারি না। ফলে আসুখও আমাদের ছাড়ে না। তবে সুন্দরভাবে বাঁচতে হলে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতেই হবে।

মনোবিদদের মতে, সহজ উপায় অবলম্বন করলেই টেনশন কাটিয়ে সুস্থ থাকা সম্ভব।

টেনশনমুক্ত থাকতে করণীয়:

যোগী: প্রতিদিন রুটিন করে যোগী করার অভ্যাস আপনাকে টেনশনমুক্ত থাকতে সহায়তা করবে। শ্বাসের আদান-প্রদানকে নিয়ন্ত্রণে রেখে নানা ঘটনায় মনকে শান্ত থাকার পাঠ শেখায় এই প্রাক্টিস।

ঘুম: অনেকেরই প্রবল টেনশনের সময় ঘুম পায়। কেউ বা দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না।

কিন্তু যদি নিরিবিলিতে ঘুমানোর অভ্যাস রপ্ত করতে পারেন, তা হলে তার মতো ভাল উপায় আর হতেই পারে না। টেনশন গ্রাস করছে দেখলে বা অনেকটা মানসিক চাপ পড়ে গেলে একটু সময় হলেও ঘুমিয়ে নিন।

খাবার: পাতে রাখুন স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও পটাশিয়াম জাতীয় খাবার। অ্যাভোকাডো জাতীয় ফল রাখুন ডায়েটে। টেনশন কমিয়ে ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে তা।

সঙ্গ: মনোবিদদের বলেন, খুব টেনশনের সময় এমন কোনও মানুষের সঙ্গ নিন, যিনি কাছে থাকলে অনেকটা চাপমুক্ত থাকতে পারেন কিংবা এমন কেউ যাঁকে নিজের সব সমস্যার কথা বলতে পারেন। তেমন প্রিয় কোনও মানুষের সঙ্গ অনেকটাই মনের চাপকে কমিয়ে দেয়।

গান: গান শুনতে ভালবাসলে দিনের মধ্যে কিছুটা সময় প্রিয় গায়ক ও তাঁর গান নিয়ে কাটান। মনের উপর চাপ পড়া রুখে দিতে পারে গান।

শখ: গল্পের বই পড়া হোক বা পছন্দের কোনও শখ, টেনশন কমাতে এদের দারস্থ হোন। মনকে যত প্রফুল্ল রাখবেন, টেনশন ততই কমবে। যদি পার্লারে গিয়ে সময় কাটাতে বা শপিং করতে ভালবাসেন, তা হলে তা-ই করুন। ইচ্ছা বা শখকে মূল্যায়ণ করুন।

img

কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ০৯ মে ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কেবল বয়স্কদের থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন: 

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। 

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।  

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।