img

একরাতেই দুইশ গাছ কেটে ফেললো সিসিক

প্রকাশিত :  ০৯:১৫, ২০ অক্টোবর ২০২১

একরাতেই দুইশ গাছ কেটে ফেললো সিসিক

জনমত ডেস্ক: সিলেটে সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হয়েছে দুইশ গাছ। গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতিও নেওয়া হয়নি।
সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার এই গাছগুলো কেটেছে খোদ সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
সোমবার রাতে সিসিকের কর্মীরা উপশহরের সড়কের পাশের দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলে। মঙ্গলবার বিকেলে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, করাত দিয়ে আরো কিছু গাছ কাটছেন শ্রমিকরা। আর কেটে ফেলা গাছগুলো টুকরো করে সড়কের পাশে রাখা হয়েছে।
কেটে ফেলা গাছগুলো ইতোমধ্যে বিক্রিও করে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। ট্রাকে করে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে গাছ কেটে অধিকাংশ বিক্রি করে ট্রাকে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় একটি চক্র গাছ কেনাবেচায় কোটি টাকার বাণিজ্য করেছে। খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে কেনাবেচার সত্যতা পেয়েছে।
বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার পাওয়া আফতাব চৌধুরী উপশহর এলাকারই বাসিন্দা। এই সড়কের পাশের গাছগুলো তিনিই রোপন করেছিলেন। আফতাব চৌধুরী বলেন, ‘এই গাছগুলোর অধিকাংশ আমার হাতে লাগানো। কোনো বাছবিচার ছাড়াই নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। যেখানে ৫০টির মতও গাছ কাটা প্রয়োজন সেখানে দুইশটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এই ২০০টি গাছ একেকটি এক লাখ টাকা দরে বিক্রি হওয়ার মতো।’
সিসিকের প্রকৌশল শাখা সূত্রে জান গেছে, চলতি অর্থবছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরে ১৫ কিলোমিটার এলাকায় ড্রেন নির্মাণ ও রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। শাহজালাল উপশহর এলাকার সি ব্লকের ২১, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর রাস্তায় সম্প্রতি ড্রেন ও রাস্তা বড় করার কাজ শুরু হয়। ওই এলাকার রাস্তার দুই পাশে রেইনট্রিসহ নানা প্রজাতির এসব গাছ ১৯৯০ সালের দিকে লাগানো হয়েছিল।
বন বিভাগের বিধিমালায় আছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন অথবা সরকারি জমি থেকে গাছ কাটার আগে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়। এরপর তদন্ত করে গাছ টাকার যৌক্তিকতা পাওয়া গেলে গাছের দরদাম নির্ধারণ ও পরবর্তী আরও গাছ লাগানোর শর্তে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়া বন বিভাগের মাধ্যমে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জানা যায়, ড্রেন নির্মাণে উপশহর এলাকার কিছু গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের কাছে আবেদন করে সিসিক। তবে বন বিভাগ এখনও গাছ কাটার অনুমতি দেয়নি। অনুমতি পাওয়ার আগেই কেটে ফেলা হয়েছে দুইশ গাছ।
বন বিভাগের সিলেট টাউন রেঞ্জের রেঞ্জার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘উপশহরে রাস্তার দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ করতে কিছু গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে ১৭ অক্টোবর বন বিভাগকে একটি চিঠি দেয় সিটি করপোরেশন। পরদিন আমরা কর্মীরা সেখানে গিয়ে দেখেন গাছ কাটা হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ঠিক কী পরিমাণ গাছ কাটা হয়েছে এবং কাটা গাছগুলো কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা আমরা খোঁজ নিচ্ছি।
শ্রমিকরা না বুঝেই গাছ কেটে ফেলেছে জানিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘ওইখানে ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক সম্প্রসারন হবে। এজন্য কিছু গাছ কাটা প্রয়োজন। গাছ কাটার জন্য আমরা বন বিভাগকে চিঠিও দিয়েছি। তবে অনুমতি পাওয়ার আগেই সিটি করপোরেশনের কিছু লোক গাছ কেটে ফেলেছেন। এ ব্যাপারে দায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’
সিটি করপোরেশন গাছ রক্ষায় খুবই আন্তরিক দাবি করে তিনি বলেন, ‘উপশহরে গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। আর যাতে অকারণে কোনো গাছ কাটা না হয়, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াব।’

img

গোলাপগঞ্জে চাচাতো ভাইয়ের দায়ের কোপে যুবক খুন

প্রকাশিত :  ১২:০৯, ১২ মে ২০২৪

নিহত বাচ্চু আহমদ (৩৫)

পারিবারিক বিরোধের জেরে সিলেটের গোলাপগঞ্জে চাচাতো ভাইয়ের দায়ের কোপে বাচ্চু আহমদ (৩৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন।

শনিবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল গ্রামে এ-ঘটনা ঘটে৷

নিহত বাচ্চু আহমদ দত্তরাইল গ্রামের আকন আলীর ছেলে৷ তিনি ঢাকাদক্ষিণ মাইক্রোবাস শাখার সদস্য৷

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু\'পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়৷ বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই রেদওয়ান আহমদ রনির (৩০) দায়ের আঘাতে গুরুতর আহত হয় বাচ্চু আহমদ। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সাথে জড়িত রেদওয়ান আহমদ রনিসহ ৫ জনকে আটক করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

এ ঘটনার সততা নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাছুদুল আমিন।

সিলেটের খবর এর আরও খবর