img

মার্কিন কংগ্রেসে খোলা চিঠি পাঠালেন ব্রিটিশ রাজবধূ মার্কেল

প্রকাশিত :  ০৮:১০, ২১ অক্টোবর ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:১২, ২১ অক্টোবর ২০২১

মার্কিন কংগ্রেসে খোলা চিঠি পাঠালেন ব্রিটিশ রাজবধূ মার্কেল
জনমত ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চার্লস স্যুমারকে খোলা চিঠি লিখেছেন ডাচেস অফ সাসেক্স মেগান মার্কেল। চিঠিতে সন্তানের জন্মের পর বেতনসহ পারিবারিক ছুটি জাতীয় অধিকার করা উচিত বলে জানান মেগান। একজন সাধারণ নাগরিক এবং একজন মা হিসেবে তিনি এই চিঠি লিখছেন। খবর এএফপির।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের উদ্দেশে লেখা ওই চিঠিতে মেগান মার্কেল জানান, ‘আমি নির্বাচিত কর্মকর্তা নই। রাজনীতিবিদও নই। আমি অন্যদের মতোই একজন নাগরিক এবং সন্তানের মা।’
চিঠিতে মেগান আরও লেখেন, সন্তানের জন্মের পর অন্য সব মা-বাবার মতোই তাঁরা আনন্দিত ছিলেন। সন্তানের জন্মের পর তাঁদের কাজে ফিরতে হয়নি। কিন্তু খুব কম মা-বাবা এই সুযোগ পান। যাঁরা পান না, তাঁদের কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। ২০ সপ্তাহ আগে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের দ্বিতীয় কন্যা লিলিবেটের জন্ম হয়। এ ছাড়া আর্চি নামের তাঁর দুই বছর বয়সী আরেকটি সন্তান রয়েছে।
চিঠিতে একজন মা হিসেবে সন্তান জন্মের পর বেতনসহ ছুটির পক্ষে কথা বলেছেন মেগান। এই ইস্যুতে মার্কিন কংগ্রেসে বিতর্ক চলছে।
মার্কেল বলেন, যাঁরা বেতনসহ ছুটি পান না, তাঁদের সন্তানের যত্ন, কাজ এবং স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে হিমশিম খেতে হয়।
মেগান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সন্তান জন্মের পর বেতনসহ পারিবারিক ছুটি শুধু কিছু প্রতিষ্ঠান ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সীমিত থাকা উচিত নয়। বরং এটি জাতীয় অধিকার হওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি, যেখানে সন্তান জন্মের পর বেতনসহ ছুটির নিশ্চয়তা নেই।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের ৫০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে ব্রিটেন

প্রকাশিত :  ১১:১৯, ১৪ মে ২০২৪

ব্রিটেনের আর্থিক উন্নয়ন সংস্থা (ডিএফআই) ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট (বিআইআই) ‘প্রভাব বিনিয়োগ’ ছোট ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের সমর্থন দিতে বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় এসএমই ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংককে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে।

এই ঋণটি ক্ষুদ্র এবং ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসার বৃদ্ধিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তহবিল সরবরাহ করবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি।

মঙ্গলবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিআইআই’র একথা বলা হয়েছে।

ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এই বিনিয়োগ বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করেছে এবং এটি বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের আধুনিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি বড় নিদর্শন।’

তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের আরও অর্থনৈতিক সুযোগ গ্রহণ করতে এবং আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম করবে।

বাংলাদেশে প্রায় ১০ মিলিয়ন এমএসএমই রয়েছে। এতে জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশকে নিযুক্ত রয়েছে এবং দেশের শিল্প উৎপাদনের অর্ধেক এই খাত থেকে আসে।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং দারিদ্র্য নিরসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে এই অর্থয়নকে অপরিহার্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ব্র্যাক ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই ধরণের অর্থায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে দেশের মোট ঋণের মাত্র ২০ শতাংশ নারী-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসহ এসএমইতে যাচ্ছে।

বিআইআই’র ঋণের অর্ধেক এমএসএসই খাতে যাবে এবং অবশিষ্টাংশ অর্ধেক নারী উদ্যোক্তাদের কাছে যাবে। যাতে মোট ৩ হাজার ৫শ’এমএসএসই এবং নারী উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছানো হবে, যাতে তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বিনিয়োগকালীন কাজ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য লিঙ্গ সমতার ওপর জাতিসংঘের ইউএন এসডিজি ৫, এসডিজি  ৮ সমর্থন দেবে। সেইসাথে শিল্প, উদ্ভাবন এবং অবকাঠামোতে এসডিজি ৯ সমর্থন করে।