img

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক আজ

প্রকাশিত :  ০৪:২৫, ১০ জানুয়ারী ২০১৯

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক আজ
জনমত ডেস্ক ।।  ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবে বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন। নির্বাচনের গঠনতন্ত্র সংশোধনের লক্ষ্যে উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে আজ বেলা ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।


সভায় অংশ নিতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে গঠনতন্ত্র সংশোধনী/পরিমার্জন সুপারিশ কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক আইন বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এই চিঠি একাধিক ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পেয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন পর ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী করার জন্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী/পরিমার্জনের সুপারিশ প্রণয়নের জন্য উপাচার্য একটি কমিটি গঠন করেছেন।

ছাত্র সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের উদ্দেশ করে লেখা ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, এই জন্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।

কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মিজানুর রহমান ছাড়াও পাঁচ সদস্যের এই কমিটির অন্য চারজন হলেন- বিশ^বিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কবি জসীম উদ্্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এবং শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা। এ ছাড়া ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন-৪) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

চিঠির বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, কমিটির আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে ডাকসু নির্বাচনের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। খুব সুন্দর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

img

জিপিএ-৫ ও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

প্রকাশিত :  ০৯:২৩, ১২ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪২, ১২ মে ২০২৪

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ অর্জনের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। পাসের গড় হারের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। ১১টি বোর্ডে এবার গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। সেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৫ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা ২ দশমিক ৬১ শতাংশ এগিয়ে।

এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মোট ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্রী ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন এবং ছাত্র ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৫৩ জন। সেই হিসাবে ৫৯ হাজার ৪৭ জন ছাত্রী বেশি পাস করেছে।

অন্যদিকে, জিপিএ-৫ অর্জনের দিকে দিয়েও বেশ এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এ বছর এসএসসিতে সব বোর্ড মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। তাদের মধ্যে মেয়ে ৯৮ হাজার ৭৭৬ এবং ছেলে ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন। সেই হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ১৫ হাজার ৪২৩ জন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ছাত্রীরা কয়েক বছর ধরেই এগিয়ে। হঠাৎ এবারই যে তারা ভালো করেছে, তা নয়। তাই ছাত্রীদের এগিয়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন না তুলে ছাত্ররা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে ভাবা উচিত।

তিনি বলেন, দেখুন, এবার ছাত্রদের চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার ছাত্রী বেশি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ছাত্রীরা একাডেমিক পড়ালেখায় সবসময় ভালো। ছাত্ররা অনেক সময় মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও হেলায় সময় নষ্ট করে দু-একটা বিষয়ে খারাপ করায় পুরো ফলাফলে প্রভাব পড়ে। হয়তো সে আর জিপিএ-৫ পেতে পারে না। পড়ালেখা থেকে ছাত্রীদের চেয়ে এখন ছাত্রদের ঝরে পড়ার হারও বাড়ছে। সবমিলিয়ে ফলাফলে হয়তো সেটারই প্রভাব পড়েছে।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এবছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

শিক্ষা এর আরও খবর