ভারতে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত

প্রকাশিত :  ১৫:৩৩, ২৫ অক্টোবর ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৩৬, ২৫ অক্টোবর ২০২১

 ভারতে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত

ভারতে এওয়াই.৪.২ নামে করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। এটি করোনার অতিসংক্রামক ধরন ডেল্টা গোত্রের।
ভারতের জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (এনসিডিসি) জিনোম সিকোয়েন্সিং করে সাতজনের নমুনায় এ ধরন শনাক্ত করেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের প্রধান চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বি এস সাতিয়া জানান, গত সেপ্টেম্বরে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজন সেনা কর্মকর্তা। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রের ১ শতাংশ নমুনাতেও নতুন ধরনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।
সেপ্টেম্বরে ইন্দোরে ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের নেপথ্যে ছিল ডেল্টার এ ধরন। আগস্টের তুলনায় তখন ৬৪ শতাংশ বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। আর্মি কলেজে প্রশিক্ষণরত ৪৪ জন সেনা কর্মকর্তা করোনা পজিটিভ হন। এরপরই কর্তৃপক্ষ তাদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠায়।
বি এস সাতিয়া বলেন, এনসিডিসি ১ অক্টোবরের মধ্যে সাতজনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং অন্যদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে ১৬ অক্টোবর।
সিএসআইআর ল্যাবরেটরির একজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলেছেন, এটি করোনার আসল ডেল্টা ধরনের তুলনায় ১০ গুণ বেশি সংক্রামক। সুতরাং এটি আরও বেশি বিপজ্জনক।

ডিপফেক ভিডিও থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১০:১৪, ২৮ মার্চ ২০২৪

বিজ্ঞানের উৎকর্ষকালে প্রযুক্তি যেমন মানুষের উপকার করছে, তেমনি কিছু প্রযুক্তি মানুষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রযুক্তি হলো ডিপফেক প্রযুক্তি বা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি।

অনেকে ডিপফেক এআইকে একুশ শতকের ফটোশপিং বলে থাকে। সহজ ভাষায় ডিপফেক হলো এআই নির্ভর এমন এক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে যেকোনো ভিডিও, ছবি এবং অডিও রেকর্ডিংয়ে বিশ্বাসযোগ্যভাবে মানুষের মুখমণ্ডল বা কণ্ঠস্বর নকল করা যায়।

দিন দিন বাড়ছে ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারের সংখ্যা। প্রথম প্রথম বিশ্বের নামকরা সেলিব্রিটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি দিয়ে তৈরি নকল ভিডিও দ্বারা হেনস্তার শিকার হন।

ডিপফেক প্রযুক্তি থেকে নিজের ডেটার সুরক্ষার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সেগুলো উঠে এসেছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। 

১. যতদূর সম্ভব নিজের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রাইভেসি সেটিংসগুলো সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। 

২. শক্তিশালী ও অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। ফলে ছবি ও ভিডিওগুলোয় অননুমোদিত অ্যাকসেস লাভ করা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে এবং ডিপফেক প্রযুক্তি দিয়ে নিজের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা কমে যায়। 

৩. কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা ও ছবি চুরি করতে পারে। এসব ডেটা ও ছবি দিয়ে ডিপফেক কনটেন্ট তৈরি করে হ্যাকাররা। এজন্য কম্পিউটারে ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। এভাবে ব্যক্তিগত মিডিয়াতে ক্ষতিকারক টুলগুলোর অ্যাকসেস পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

৪. ডিপফেক কনটেন্টের সাধারণ লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যদি কোনো ভিডিও, ছবি ও কণ্ঠ খুবই নিখুঁত বা অবাস্তব বলে মনে হয় তবে এটি শেয়ার করা বা বিশ্বাস করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে এ ধরনের কারসাজি ভিডিও শনাক্ত করা যাবে। 

৫. নিজের ছবি ও ভিডিওতে জলছাপ বা ওয়াটারমার্ক যুক্ত করুন। এসব ওয়াটারমার্ক অনেক সময় সম্পূর্ণ মুছে ফেলা যায় না। আর সম্পূর্ণ মুছে ফেলার সময় ছবি ও ভিডিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে এসব ছবি ও ভিডিও দিয়ে ডিপফেক তৈরি কঠিন হয়ে পড়ে। জলছাপ একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে।

৬. নিজের ফাইলগুলোয় মেটাডেটা সঠিকভাবে এম্বেড করা হয়েছে নাকি তা নিশ্চিত করতে হবে। মেটাডেটা হলো ফাইল সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য। যেমন- কে তৈরি করেছে, কবে তৈরি করা হয়, কোথায় তৈরি হয়েছে, কবে এডিট করা হয়েছে, টাইটেল ইত্যাদি। মিডিয়া ফাইল ব্যবহার নিয়ে বিরোধ বা দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে এটি মালিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে। 

তবে এসব পদ্ধতি নিজের ডেটা সুরক্ষা দেবে তার শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।