img

বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা: নাগরিকদের সতর্ক করলো ব্রিটেন

প্রকাশিত :  ১৩:২৯, ২৬ অক্টোবর ২০২১

বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা: নাগরিকদের সতর্ক করলো ব্রিটেন
জনমত ডেস্ক: বাংলাদেশ ভ্রমণে নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য জারি করা সতর্কতামূলক নির্দেশনা হালনাগাদ করেছে বৃটেন। করোনা মহামারি, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা এবং বাংলাদেশে প্রবেশে করণীয়- বিদ্যমান ট্র্যাভেল এডভাইজারির এই ৩টি সেকশনে নতুন তথ্য সংযোজন করা হয়েছে। নিরাপত্তা সেশনে বরাবরের মতো বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে মর্মে জারি করা সতর্কতা বহাল রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বৃটিশ নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণকালে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। গত ২৫শে অক্টোবর হালনাগাদ করা বাংলাদেশ বিষয়ক বৃটিশ ট্র্যাভেল এডভাইজারিতে বলা হয়- বাংলাদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন এমন বৃটিশ নাগরিকদের কোভিড মহামারি চলাকালীন ভ্রমণ বীমা করা এবং এটি পর্যাপ্ত কভার প্রদান করে কিনা তা পরীক্ষা করা আবশ্যক। বাংলাদেশে ভ্রমণের আগে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের গাইড লাইন মেনে বীমা করে নেয়ার পরামর্শও দেয়া হয়। বার্তায় বলা হয়- প্রতি বছর গড়ে ১ লাখ ৫০ হাজার বৃটিশ নাগরিক বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন। তাদের বেশির ভাগ ভ্রমণই ঝামেলামুক্তভাবে হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে সন্ত্রাসীরা হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে উল্লেখ করে বলা হয়- ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি আইইডি হামলা ইতিমধ্যে হয়েছে। ভবিষ্যতে ধর্মীয় জমায়েত, রাজনৈতিক সমাবেশ, জনাকীর্ণ এলাকা, পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী সংবলিত এলাকা এবং বিদেশি নাগরিকদের পছন্দের স্থানগুলোতে জনসমাগম দেখে হামলা চালাতে পারে সন্ত্রাসীরা। এই সমস্ত জনবহুল এলাকায় স্থানীয় মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সারা বাংলাদেশে ধর্মীয় জমায়েত, উৎসব এবং রাজনৈতিক সমাবেশসহ বড় জমায়েত এড়াতে বৃটিশ নাগরিকদের পরামর্শ দেয়া হয় ওই বার্তায়। এডভাইজারিতে বলা হয়- মারাত্মক বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় বিপদ, বিশেষ করে শীতের মাসগুলোতে। ঢাকা বর্তমানে অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার দূষণের সম্মুখীন। বর্ষার মওসুমে (জুন থেকে সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে ভ্রমণ বিপজ্জনক হতে পারে। বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ। তাছাড়া ডেঙ্গু জ্বরের মতো মশাবাহিত রোগ সারা বছরই দেখা দেয়। ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ভ্রমণে এসে মশার কামড় এড়াতে বৃটিশ নাগরিকদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। বৃটেনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।  ভ্রমণের আগে জিকা ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকি সম্পর্কে তথ্য এবং পরামর্শের জন্য, জাতীয় ভ্রমণ সংস্থার নেটওয়ার্ক থেকে তথ্য সংগ্রহের পরামর্শও দেয়া হয় ভ্রমণার্থীদের। যদি বৃটিশ সরকারের কাছ থেকে জরুরি সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে বাংলাদেশের বৃটিশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাহায্য মিলতে পারে। বাংলাদেশের কিছু অংশে কনস্যুলার সহায়তা সীমিত সেইসব জায়গায় খুব প্রয়োজন ছাড়া না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় পর্যটকদের। একই সঙ্গে ওভারসিজ বিজনেস রিস্ক সার্ভিসের কথা তাদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। বলা হয়- কীভাবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এবং ব্যবসায়িক নিরাপত্তাসম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো পরিচালনা করতে হয় ওভারসিজ বিজনেস রিস্ক সার্ভিস সে সম্পর্কে বিদেশিদের তথ্য এবং পরামর্শ প্রদান করে থাকে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের ৫০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে ব্রিটেন

প্রকাশিত :  ১১:১৯, ১৪ মে ২০২৪

ব্রিটেনের আর্থিক উন্নয়ন সংস্থা (ডিএফআই) ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট (বিআইআই) ‘প্রভাব বিনিয়োগ’ ছোট ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের সমর্থন দিতে বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় এসএমই ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংককে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে।

এই ঋণটি ক্ষুদ্র এবং ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসার বৃদ্ধিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তহবিল সরবরাহ করবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি।

মঙ্গলবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিআইআই’র একথা বলা হয়েছে।

ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এই বিনিয়োগ বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করেছে এবং এটি বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের আধুনিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি বড় নিদর্শন।’

তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের আরও অর্থনৈতিক সুযোগ গ্রহণ করতে এবং আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম করবে।

বাংলাদেশে প্রায় ১০ মিলিয়ন এমএসএমই রয়েছে। এতে জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশকে নিযুক্ত রয়েছে এবং দেশের শিল্প উৎপাদনের অর্ধেক এই খাত থেকে আসে।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং দারিদ্র্য নিরসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে এই অর্থয়নকে অপরিহার্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ব্র্যাক ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই ধরণের অর্থায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে দেশের মোট ঋণের মাত্র ২০ শতাংশ নারী-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসহ এসএমইতে যাচ্ছে।

বিআইআই’র ঋণের অর্ধেক এমএসএসই খাতে যাবে এবং অবশিষ্টাংশ অর্ধেক নারী উদ্যোক্তাদের কাছে যাবে। যাতে মোট ৩ হাজার ৫শ’এমএসএসই এবং নারী উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছানো হবে, যাতে তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বিনিয়োগকালীন কাজ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য লিঙ্গ সমতার ওপর জাতিসংঘের ইউএন এসডিজি ৫, এসডিজি  ৮ সমর্থন দেবে। সেইসাথে শিল্প, উদ্ভাবন এবং অবকাঠামোতে এসডিজি ৯ সমর্থন করে।