টেসলার শেয়ার বিক্রি করে বিশ্বের ক্ষুধা মেটাতে রাজি ইলন মাস্ক!

প্রকাশিত :  ১৮:৪৫, ০১ নভেম্বর ২০২১

টেসলার শেয়ার বিক্রি করে বিশ্বের ক্ষুধা মেটাতে রাজি ইলন মাস্ক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের ইলন মাস্ক বলেছেন যে তিনি টেসলার শেয়ার বিক্রি করতে প্রস্তুত। তবে টেসলার শেয়ার বিক্রি করার ক্ষেত্রে তার একটি শর্ত রয়েছে। মাস্ক জানান, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা যদি প্রমাণ করতে পারেন যে ৬ বিলিয়ন ডলার দিয়ে যদি বিশ্ব ক্ষুধা দূর করা সম্ভব হয়, তাহলে তিনি নিজের সংস্থার শেয়ার বেচে দিয়ে সেই অর্থ দান করবেন।
খুদে ব্লগিং সাইট টুইটারে তিনি লেখেন, যদি ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের টুইটার থ্রেডে ব্যাখ্যা করতে পারে কীভাবে ৬ বিলিয়ন ডলারে বিশ্ব ক্ষুধা দূর হবে, আমি এখনই টেসলার শেয়ার বিক্রি করব।
টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও বলেন যে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের প্রকাশ করা উচিত যে তারা কীভাবে তাদের তহবিল ব্যবহার করছে। মাস্ক আরও বলেন, এটি ওপেন সোর্স অ্যাকাউন্টিং হওয়া উচিত, যাতে জনগণ দেখতে পারে কীভাবে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।
টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক বলেছেন যে তিনি ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামকে ৬ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার জন্য শেয়ার বিক্রি করবেন যদি সংগঠনের পরিচালক ডেভিড বেসলি প্রমাণ করতে পারেন যে তহবিল বিশ্ব ক্ষুধা সমাধানে সহায়তা করবে। মাস্কের টুইট জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের এক্সিকিউটিভ ডেভিড বেসলির করা একটি মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে এসেছে। বেসলি বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে মাস্ক এই টুইট করেন।
এর আগে মঙ্গলবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেভিড বেসলি বলেন, সরকার শোষিত। এবং এই কারণেই ধনকুবেরদের এখন পদক্ষেপ নিতে হবে। ৬ বিলিয়ন ডলার ৪২ মিলিয়ন মানুষকে সাহায্য করতে পারে। এই অর্থ তাদের সাহায্য করতে পারে যারা সত্যিই মারা যেতে চলেছে। যদি আমরা তাদের কাছে না পৌঁছাই তাহলে তারা মারা যাবে। এটা জটিল নয়। এর জবাবে ইলন মাস্ক বেসলিকে বিষয়টি প্রমাণ করতে বলেন।
 

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ

প্রকাশিত :  ১৭:৫৩, ২৮ মার্চ ২০২৪

জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে। যদিও এর বিপরীতে প্রতিদিন অনাহারে থাকছে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ।

বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে।

জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।

বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় একটি বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি। শুধুমাত্র এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন।’

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি।

প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন,‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্যের প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। সূত্র: সিএনএন