img

‘নিজের ইচ্ছায় মৃত্যু’ আইন কার্যকর নিউজিল্যান্ডে

প্রকাশিত :  ০৭:০১, ০৮ নভেম্বর ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:০৮, ০৮ নভেম্বর ২০২১

‘নিজের ইচ্ছায় মৃত্যু’ আইন কার্যকর নিউজিল্যান্ডে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের অনেক দেশেই সেচ্ছামৃত্যু আইনসিদ্ধ। কলম্বিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, লুক্সেমবার্গ, স্পেন, নেদারল্যান্ডস এবং সুইজারল্যান্ডের মতো দেশে ‍‘ইউথানেশিয়া’ অর্থাৎ নিজের ইচ্ছায় মৃত্যু আগেই বৈধ করা হয়েছিল ‍‘জীবন সমাপ্তি পছন্দ’ আইন হিসাবে। তবে এই সমস্ত দেশে মৃত্যুর ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত বিভিন্ন শর্তাবলী রয়েছে। এবার নিউজিল্যান্ডেও একই ধরনের শর্তাবলী রেখে ‘ইউথানেশিয়া’ আইন ৭ নভেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে।
কেবলমাত্র সেই সমস্ত লোক যারা মারণরোগে ভয়ংকর ভাবে ভুগছেন শুধু তাদের নিজের ইচ্ছায় মারা যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। অর্থাৎ এমন একটি রোগ যা পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে জীবন শেষ করে দেয়।
এর পাশাপাশি, এই পদ্ধতির জন্য কমপক্ষে দু’জন ডাক্তারের সম্মতি বাধ্যতামূলক। এই আইনটি বাস্তবায়নের জন্য নিউজিল্যান্ডে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ৬৫ শতাংশের বেশি মানুষ ‘ইউথানেশিয়া’-র পক্ষে ভোট দিয়েছে।  দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডে এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলছে এবং অবশেষে ৭ নভেম্বর সকাল থেকে আইনটি কার্যকর করা হচ্ছে।
শুনতে কিছুটা অদ্ভুত শোনালেও কিছু মানুষের জন্য স্বস্তির খবরও রয়েছে। ৬১ বছরের স্টুয়ার্ট আর্মস্ট্রং প্রোস্টেট ক্যান্সারে ভুগছেন, যা নিরাময়যোগ্য নয়। আর্মস্ট্রং বলেছেন, কী ভাবে তিনি মারা যাবেন তা নিয়ে তিনি আর চিন্তিত নন। কারণ মৃত্যু কামনায় কোন কষ্ট থাকবে না।
নিউজিল্যান্ডের অনেকেই এর বিরোধিতা করছেন। তারা বলছেন, ‍‘ইথানেশিয়া’ মানুষের জীবন ও মূল্যবোধের প্রতি সমাজের সম্মানকে দুর্বল করে দেবে। এটি দুর্বল ব্যক্তিদের প্রতি যত্ন কমিয়ে দেবে, বিশেষ করে যারা প্রতিবন্ধী বা যারা জীবনের শেষ দিনগুলিতে বসবাস করছেন। অথচ যারা এই আইনকে সমর্থন করেন, তারা বলছেন, মানুষের অধিকার আছে সে কখন এবং কিভাবে মরতে চায়। এমতাবস্থায় ‍‘ইথানেশিয়া’ তাদের মর্যাদার সঙ্গে মৃত্যুর অধিকার দেয়।
বিদেশ থেকে অনুরূপ মামলা বিশ্লেষণ করার পর নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে যে, প্রতি বছর ৯৫০ জন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাদের মধ্যে ৩৫০ জনকে মারা যেতে সহায়তা করা হবে। কিন্তু আসলে কতজন আবেদন করেন, সে সম্পর্কে এখনও অনুমান করা যাচ্ছে না। তবে এ কাজের জন্য চিকিৎসকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

img

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪১

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৭ জন। 

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার এক কর্মকর্তা।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাঁট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত আমরা ৩৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে আজ সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন। বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস।

এখন পর্যন্ত কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি ইলহাম ওয়াহাব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তল্লাশি অভিযানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

বন্যার কারণে রাস্তাঘাট যেন নদীতে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় মসজিদ এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ভেসে গেছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় বন উজাড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২২ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় দুই শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।