img

ব্রিটেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে ছাত্রদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত :  ০৮:৪৫, ১১ নভেম্বর ২০২১

ব্রিটেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে ছাত্রদের বিক্ষোভ

জনমত ডেস্ক: ব্রিটেনের লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকস (এলএসই) বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশটিতে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার রাতে এলএসিই স্টুডেন্ট ইউনিয়নের আয়োজিত \'ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের পরিপ্রেক্ষিত\' শিরোনামে এক বিতর্কে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত জিপি হোটোভ্যালি অংশ নিতে এলে তার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তায় ক্যাম্পাস ছাড়েন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এলএসই ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানস্থল থেকে হোটোভ্যালিকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সরিয়ে নিয়ে গাড়িতে তুলছেন। অপরদিকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা পুলিশ বেষ্টনীর বাইরে দাঁড়িয়ে \'আপনার জন্য লজ্জা\' ও \'ইসরাইল সন্ত্রাসী রাষ্ট্র\' বলে স্লোগান দেয়।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

img

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য দুঃসংবাদ দিল ব্রিটেন

প্রকাশিত :  ০৮:৫৫, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

দুই বছর আটকে থাকার পর বিরোধী দলগুলোর আপত্তির মুখে পাস হয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের প্রস্তাবিত রুয়ান্ডা বিল। সোমবার (২২ এপ্রিল) যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বিলটি পাস হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঋষি সুনাক জানান, দুর্বল অভিবাসীদের বিপজ্জনক ক্রসিং থেকে বিরত রাখার পাশাপাশি অপরাধী চক্র ভেঙে দিতেই এই পদক্ষেপ। এই বিলের মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হলো যে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী কেউ এখানে অবস্থান করতে পারবে না।

জুলাই মাসের মাঝামাঝি অভিবাসীদের নিয়ে রুয়ান্ডার উদ্দেশে প্রথম ফ্লাইট ছেড়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি। বিরোধী দলগুলোর আপত্তির মুখে পাঁচ মাস ধরে ঝুলে ছিল বিলটি। এখন শুধু এটি আইনে পরিণত হওয়ার অপেক্ষা।

এ নিয়ে ২০২২ সালের এপ্রিলে দেশটির সরকারের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি হয় ব্রিটেনের। চুক্তিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের সরকারের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা নেওয়ার বিনিময়ে পাঁচ বছর দেশটিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জায়গা দেবে রুয়ান্ডা। পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসন বাবদ বাড়তি অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাজ্য। সে বছর অভিবাসীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি যাত্রার কথা থাকলেও পরবর্তীতে ইউরোপের মানবাধিকার আদালতের এক আদেশে বাতিল হয়ে যায় তা।

এদিকে রুয়ান্ডা বিলকে অমানবিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ব্রিটেনের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এবং ইউরোপ কাউন্সিল উভয়ই যুক্তরাজ্যকে তার পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানায়। কারণ এই আইনটি মানবাধিকার সুরক্ষাকে ক্ষুণ্ন করে এবং বিশ্বব্যাপী অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র: গার্ডিয়ান, সিএনএন