img

ইসরাইলের সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়ায় আমিরাত-বাহরাইন

প্রকাশিত :  ০৭:০১, ১৬ নভেম্বর ২০২১

ইসরাইলের সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়ায় আমিরাত-বাহরাইন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলের সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়ায় অংশ নিয়েছে আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। কয়েক বছর আগে এমন খবর চিন্তা করা না গেলেও প্রথমবারের মতো এ মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, লোহিত সাগরে পাঁচ দিনের এই নৌ মহড়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইসরাইল ও মার্কিন রণতরীগুলো অংশ নিয়েছে।
মার্কিন নৌবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড বলছে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে যৌথভাবে কাজ করতে অংশ গ্রহণকারী দেশগুলোর নৌবাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধি এই প্রশিক্ষণের লক্ষ্য।
এই মহড়া শুরু হয়েছে গত বুধবার এবং জাহাজের মুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে জাহাজে ওঠা, অনুসন্ধান চালানো এবং তা জব্দ করার কৌশল এই মহড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অ্যাব্রাহাম চুক্তি নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার পর এই যৌথ মহড়ায় দেশগুলো অংশ নিচ্ছে।
ওই চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইসরাইল এবং উপসাগরীয় দেশ দু’টির মধ্যে কূটনৈতিক, সামরিক এবং গোয়েন্দা যোগাযোগের ব্যাপারে ব্যাপক ভিত্তিতে আলাপ আলোচনা হয়েছে, বিশেষ করে ইরান বিষয়ে এই দেশগুলোর একই ধরনের উদ্বেগের পটভূমিতে।
এমন প্রেক্ষাপটে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান নিজে বাহরাইনে গেছেন এবং অক্টোবর মাসে ইউএই-র বিমান বাহিনীর অধিনায়ক প্রথমবারের মত এ ধরনের একটি সফরে ইসরাইল গেছেন।


img

ইরাকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় সেনা কর্মকর্তাসহ ৫ সৈন্য নিহত

প্রকাশিত :  ০৬:২৩, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৯, ১৪ মে ২০২৪

সন্ত্রাসী হামলায় ইরাকে ৫ সৈন্য নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৩ মে) ইরাকের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ সালাহেদ্দিনে সেনা চৌকিতে হামলায় তারা নিহত হন।

নিহতদের মধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তা ও অন্য চারজন সেনাসদস্য। মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

অবশ্য ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সন্ত্রাসী হামলাকে ব্যর্থ করার সময়’ একজন অফিসার এবং তার রেজিমেন্টের বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন।

একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, ‘দায়েশ (ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী) সন্ত্রাসীরা মাতেবিজা গ্রামের একটি সেনা চৌকিতে আক্রমণ চালিয়ে ‘চারজন সৈন্য এবং রেজিমেন্ট কমান্ডারকে হত্যা করে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসের উত্থান ঘটে। সেসময় দুই দেশের বিশাল ভূখণ্ড দখল করে নিজেদের পৃথক রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক এই উগ্রবাদী গোষ্ঠী। তবে ২০১৭ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সমর্থিত ইরাকি বাহিনী ইরাকে আইএসকে পরাজিত করে।

এরপর ২০১৯ সালে মার্কিন-সমর্থিত কুর্দি বাহিনীর কাছে সিরিয়ার শেষ অঞ্চলটিও হারায় সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীটি। কিন্তু আইএসের অবশিষ্ট কিছু দল এখনও তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং মরুভূমির আস্তানা থেকে তারা বিভিন্ন সময়ই প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে, ইরাক ও সিরিয়া-জুড়ে আইএসের এখনও ‘৩ হাজার থেকে ৫ হাজার যোদ্ধা’ রয়েছে।