img

উত্তেজনার মধ্যেই বাইডেন-জিনপিং বৈঠক

প্রকাশিত :  ০৭:০৯, ১৬ নভেম্বর ২০২১

উত্তেজনার মধ্যেই বাইডেন-জিনপিং বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে। ছবি: সংগৃহীতযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পারস্পরিক তিক্ততা দূর করতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন । ক্ষমতা গ্রহণের পর শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এবারই প্রথম বৈঠকে বসলেন জো বাইডেন। সোমবার (১৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই বৈঠকটি ভার্চ্যুয়ালি শুরু হয়। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উভয় নেতা এমন এক সময়ে এই বৈঠকে বসলেন যখন তাইওয়ান, হংকং ও উইঘুরদের সঙ্গে বেইজিংয়ের আচরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন বলেন, যে ভাবেই হোক না কেন, দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা আছে। তবে এই পরিস্থিতি যেন সংঘর্ষের দিকে না যায় বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অবশ্যই ‘গার্ডেল’ তৈরি করতে হবে।’
অন্যদিকে বেইজিং থেকে শি জিনপিং বলেন, বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে উভয় দেশ। তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে নিজের পুরনো বন্ধু বলে আখ্যায়িত করেন। দুই রাষ্ট্রকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
চীনা প্রেসিডেন্টের ভাষায়, ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের ভেতরে যোগাযোগ ও সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে।’
সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে তাইওয়ান নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে চীন। সেখানকার আকাশসীমা লঙ্ঘন থেকে শুরু করে একাধিক সামরিক প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বেইজিং।
এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন যে, চীনের হাত থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র। আর বাইডেনের এই ঘোষণায় কোনোভাবেই সন্তুষ্ট ছিল না চীন।

img

গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, শিশুসহ নিহত ১৪

প্রকাশিত :  ০৪:৪৭, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৪:৪৯, ১৪ মে ২০২৪

গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। 

গাজার বেশ কিছু মেডিকেল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

গাজায় বেসামরিকদের, বিশেষ করে শিশুদের নির্বিচারে হত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক কর্মকর্তা।

এদিকে রাফায় জাতিসংঘের একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে জাতিসংঘের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেস। একই সঙ্গে তিনি এই ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী রাফার কুয়েতি হাসপাতালের কর্মীদের হাসপাতাল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে যে, সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্থবির হয়ে পড়বে। কারণ বেশিরভাগ হাসপাতালই জ্বালানির অভাবে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৮ হাজার ৮২৭ জন।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী পূর্ণ মাত্রার স্থল অভিযান চালালেও হামাসকে নির্মূল করা সম্ভব হবে না। বরং তা হামাসকে একত্রিত হতে ও পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে। রোববার (১২ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরায়েল এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যা হামাসের বাকি সদস্যদের পুনঃসংঠিত হতে সাহায্য করবে। আবার ইসরায়েলি বাহিনী যদি রাফা শহর ছেড়ে চলে যায়, তাহলে হামাস আবারও এই এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে। আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে ইসরায়েলকে এখন ‘গাজা থেকে বেরিয়ে আসা’ দরকার।