img

স্বাস্থ্যের নথি গায়েব: ৪ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত :  ০৯:৪৩, ১৬ নভেম্বর ২০২১

স্বাস্থ্যের নথি গায়েব: ৪ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি গায়েবের ঘটনায় স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের চার কর্মচারীকে চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। চিহ্নিত চারজনকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. নুর আলী বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
তবে বরখাস্ত চার কর্মচারীরর নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাদিরা হায়দার জিডিটি করেন।
এরপর নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়টির অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) মো. আহসান কবীর, উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের ও উপসচিব মল্লিকা খাতুন।
জিডির পর ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তের অংশ হিসেবে ৩১ অক্টোবর সকালে সচিবালয়ে যায় ‘সিআইডি ক্রাইম সিন’। তারা সচিবালয় তিন নম্বর ভবনের নিচতলার ২৪ নম্বর কক্ষে (এ কক্ষ থেকে ফাইল চুরি হয়েছে) গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেন। এ কক্ষে কর্মরতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির কর্মকর্তারা।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই কক্ষের ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুপুর সোয়া ১টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে সিআইডি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তারা হলেন- জোসেফ, আয়শা, বাদল, বারী, মিন্টু ও ফয়সাল।

img

মা-মেয়ের একসঙ্গে এসএসসি পাস

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ১৩ মে ২০২৪

একসঙ্গে এসএসসি পাস করেছে মা ও মেয়ে। এই মা–মেয়ের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি গ্রামে।

রোববার (১২ মে) প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে মেয়ে নাসরিন আক্তার চাতলপাড় ওয়াজউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ–২ দশমিক ৬৭ পেয়েছেন। অন্যদিকে নুরুন্নাহার বেগম একই বিদ্যালয়ের কারিগরি (ভোকেশনাল) শাখা থেকে জিপিএ–৪ দশমিক ৫৪ পেয়েছেন।

নুরুন্নাহার (৪৪) চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের দুবারের নির্বাচিত সদস্য। তিনি কাঁঠালকান্দি গ্রামের মো. ফরিদ মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী মো. দুলাল মিয়া ইটভাটার ব্যবসা করেন। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে।

জানা গেছে, ২৩ বছর আগে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন নুরুন্নাহার বেগমের বিয়ে হয়। তিনি বলেন, “বিয়ের পর এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু দুই ছেলে-মেয়ে আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন রক্ষণশীল হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারিনি। এসএসসি পরীক্ষা না দিতে পেরে মনের ভেতর জিদ ছিল—যেদিন সুযোগ পাব, তখনই এসএসসি পরীক্ষা দিব।”

চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া বলেন, “একজন ইউপি সদস্য হয়েও নুরুন্নাহার মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় বসেছেন। বিষয়টি সত্যিই প্রশংসনীয়। তার এ সাফল্যে আমরা গর্বিত। নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি একজন আদর্শ হয়ে থাকবেন। কারণ, অনেকেই এ কাজ করতে পারবেন না।”