img

আনন্দ আয়োজনে নর্থাম্পটন বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত :  ১৭:৫৯, ১৬ নভেম্বর ২০২১

আনন্দ আয়োজনে নর্থাম্পটন বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

এহসানুল ইসলাম চৌধুরী শামীম: ব্রিটেনের নর্থাম্পটন বাংলাদেশী এসোসিয়েশন এনবিএ-র নতুন কমিটির অভিষেক জমজমাট আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার বেলা দুইটায় নর্থাম্পটন বাংলাদেশী এসোসিয়েশনের সেন্টারে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে নর্থাম্পটন টাউন কাউন্সিলের প্রথম ব্রিটিশ-বাংলাদেশী মেয়র কাউন্সিলর রুফিয়া আসরাফ, কাউন্সিলর যথাক্রমে এনামুল হক, আজিজুর রহমান, তুরন মিয়া সহ নানা পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এনবিএ-এর সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাবিবুর রহমান ও সদ্য বিদায়ী সেক্রেটারি ফয়জুর রহমান নতুন কমিটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আকিক মিয়া ও সেক্রেটারি সলিসিটর জাবির মিয়া জেপির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। হাবিবুর রহমান বর্তমান প্রেসিডেন্ট আকিক মিয়া ও সেক্রেটারি সলিসিটর জাবির মিয়া জেপির হাতে সেন্টারের চাবি তুলে দেন।

নতুন কমিটি পুরাতন কমিটির দিক-নির্দেশনার সাথে নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই সংগঠনকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ।এনবিএন নবনির্বাচিত সেক্রেটারি জাবির মিয়া বলেন, আমরা নতুন কমিটি এসেছি। পরবর্তীতে আমরা ফেইস টু সহ ইশতেহারে যা বলেছি ও কমিউনিটি মানুষের কাছে যা ওয়াদা করেছি  যেমন বাংলা স্কুল, সেন্টার উন্নত করা, আমরা কমিউনিটিকে কিভাবে সার্ভিস ডেলিভারি করতাম পারতাম আর আমরা ফান্ডডিংটা রেইজ করতাম, আমরা মিলেমিশে কাজ করে ইনশাআল্লাহ আমরা এগিয়ে নিবো। আগত নেতৃবৃন্দও তাদের প্রত্যাশার কথা স্মরণ করিয়ে দেন এনবিএ এর  নেতৃবৃন্দকে।

কাউন্সিলর এনামুল হক বলেন, আমি আশা করব এনবিএ তে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা মিলেমিশে কাজ করবেন। কমিউনিটির যা প্রয়োজন তা তারা পুরন করবেন।আমার কাছ থেকে যা সহযোগিতা দরকার তারা পাবেন সব সময়।

এনবিএ নির্বাচিত কর্মকর্তারা আশা করেন, তাদের দেওয়া কমিটমেন্ট তারা রক্ষা করবেন। এনবিআর নতুন কমিটি চেয়ারম্যান আকিক মিয়া বলেন, আমরা দায়িত্ব নিয়েছি নতুন কমিটি। পুরাতন কমিটিকে আমি ধন্যবাদ দিচ্ছি। আমাদেরকে নির্বাচিত করে আমরা নর্থাম্পটনবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি আমরা ইশতিহারে যা বলেছি তা বাস্তবায়নে আমরা সকলে মিলে কাজ করবো। আপনাদের আশা যা আছে তা পূরণ করবো আমরা সকলেই ।এক্সটেনশন এক্সটেনশন করা,বস্ককদের খেলাধুলা করার জন্য সুশাল ক্লাব করবো। আমাদের ইশতেহারে যা যা বলেছি তা আমরা সকলেই মিলে করবো।

নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান আকিক মিয়ার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী সলিসিটর জাবির মিয়া জেপির পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল খান, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মামুন আলী, কাউন্সিলর এনামুল হক, কাউন্সিলর আজিজুর রহমান, কাউন্সিলর তুরন মিয়া, সাবেক কাউন্সিলর নাহার বেগম, এম এ রউফ, আব্দুল কুদ্দুস, ফিরোজ মিয়া, সুরাফ মিয়া, শাহ মোস্তাক আহমদ, আব্দুল মুকিদ সহ আরো অনেকেই।অনুষ্ঠানের শুরুতেই নর্থাম্পটন বাংলাদেশী এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। পরে বিশাল আকারের কেক কেটে উপস্থিত সকলের মধ্যে বিতরণ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নর্থাম্পটন বাংলাদেশী এসোসিয়েশন সংক্ষেপে এনবিএ এর নির্বাচিত ১২ জন প্রতিনিধি আগামী ৩ বছর এই সংগঠন পরিচালনা করবেন। স্থানীয় বাংলাদেশীদের আশা প্রতিনিধিরা সবার কল্যাণে কাজ করবেন ।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর