img

দিয়া, বিউটি, নাসরিনের তির-ধনুকে বাংলাদেশের ইতিহাস

প্রকাশিত :  ০৮:৫০, ১৭ নভেম্বর ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৫৮, ১৭ নভেম্বর ২০২১

দিয়া, বিউটি, নাসরিনের তির-ধনুকে বাংলাদেশের ইতিহাস

স্পোর্টস ডেস্ক : বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামের অস্থায়ী তাঁবুর ভেতরে বসে সমানে চিৎকার করে চলেছেন বন্যা আক্তার-শ্যামলী রায়রা। দিয়া সিদ্দিকীদের একেকটি তির নিখুঁতভাবে নিশানা ভেদ করতেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন সতীর্থ আর্চাররা। আজ সকালে বাংলাদেশের মেয়েরা ইতিহাসই গড়েছেন এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে।
প্রথমবারের মতো এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ আর্চারিতে কোনো পদক জিতেছে বাংলাদেশ। মেয়েদের রিকার্ভ দলগত ইভেন্টে আজ বাংলাদেশ ৫-৩ সেট পয়েন্টে হারিয়েছে ভিয়েতনামকে। মেয়েদের রিকার্ভ দলগত ইভেন্টের এই দলে খেলেছেন দিয়া সিদ্দিকী, বিউটি রায় ও নাসরিন আক্তার।
জয় দিয়ে প্রথম সেট শুরু করে বাংলাদেশ। প্রতিটি সেটে ৬টি করে তির ছুড়তে হয় আর্চারদের। প্রথম সেটে বাংলাদেশ ৬ শটে স্কোর করে ৫১ পয়েন্ট। ভিয়েতনাম এই সেটে পেয়েছে ৪৬ পয়েন্ট। এরপর টানা দ্বিতীয় সেটও জিতে নেয় বাংলাদেশ। এই সেটে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫৭ পয়েন্ট, ভিয়েতনাম ৫২। অবশ্য তৃতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা ছিল ভিয়েতনামের মেয়েদের। এই সেটে ৫৪ পয়েন্ট পায় ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ পায় ৫৩। পঞ্চম সেটটি হয়েছে ড্র। এই সেটে দুই দলই পায় সমান ৫৩ পয়েন্ট। শেষ পর্যন্ত ৫-৩ সেট পয়েন্টে জিতে ব্রোঞ্জ পদক পায় বাংলাদেশ।
আগের দিন হাকিম আহমেদকে সঙ্গী করে মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টের ফাইনালে ওঠেন দিয়া। আজ সকাল থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। ব্রোঞ্জ জেতার পর দিয়ার কণ্ঠে ছিল উচ্ছ্বাস, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল যে আমরা পারব। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় আসরে এই প্রথম কোনো পদক জিতল বাংলাদেশ। আমরা খুব খুশি।’
ম্যাচ শুরুর আগে একটু স্নায়ুচাপে ভুগছিলেন বিউটি রায়। শুটিং এরিয়ায় দাঁড়িয়ে চেস্ট গার্ড নিয়ে ভীষণ অস্বস্তিতে ভুগছিলেন তিনি। কিন্তু কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ তাঁকে সাহস জুগিয়েছেন। ম্যাচের পর সেটাই বলছিলেন বিউটি, ‘ম্যাচের আগে যখন অনুশীলন করছিলাম, তখন আমার চেস্ট গার্ডে সমস্যা হচ্ছিল। আমি বারবার কোচের দিকে তাকাচ্ছিলাম। কোচ আমাকে বলেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এখনো সময় আছে। চেস্ট গার্ড বদলে আবারও তির মেরেছি। কোচের কাছ থেকেই আমরা সব আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। কোচ সাহস না দিলে এত দূর আসা সম্ভব হতো না।’
নাসরিন আক্তারের জন্য এই পদক বিশেষ কিছু, ‘আমরা এই একটা গেমসে পদকের জন্য টানা এক বছর কঠিন অনুশীলন করেছি। কোনো ছুটি পাইনি আমরা। সেই কষ্ট আজ সার্থক হয়েছে। এই প্রথম এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কোনো পদক জিতলাম। শুধু ম্যাচ আর অনুশীলনে নজর দেওয়ায় এখানে তিনজনই ভালো করতে পেরেছি।’

img

জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরুতে কেন খেলবেন না, জানালেন সাকিব

প্রকাশিত :  ১২:৫৮, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সাকিব আল হাসান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজের কয়েকটি ম্যাচে খেলবেন না। শোনা যাচ্ছে সেসময় তিনি শেখ জামালের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

সাকিব জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কয়টি ম্যাচ খেলবেন। এই সিরিজের দল ঘোষণার পরই প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ লিপু জানিয়েছেন, সাকিবকে সিরিজের শুরুর দিকে পাওয়া যাবে না। 

জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরু থেকে না খেলে তখন কেন ডিপিএল খেলবেন সাকিব? যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

৩ মে থেকে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

সাকিব জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব। দেশে হয়তো এ নিয়ে একটা কনফিউশন চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটা নিয়ে কথা চলছে যে আমি জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরু থেকে খেলব না, ডিপিএল খেলব...আসলে কোচ, অধিনায়ক সবার সঙ্গে আগে কথা বলে রেখেছিলাম। কোচ বলেছিলেন দুটো ম্যাচ খেললেই হবে। এর পর অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলি, তারা বলেছে দুটো না তিনটা ম্যাচ খেল, তা হলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমি বলেছি সমস্যা নেই। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেটা নিয়ে দেশে এত কনফিউশন দেখতে পাচ্ছি। খুবই অবান্তর আলোচনা।’

সাকিব আরও বলেন, আসলে এগুলো আলোচনার মাধ্যমেই হয়, আমার ইচ্ছামতো হয় না। যেহেতু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ থাকবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ খেলার আগে। সেহেতু দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে। এ ছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হবে। সে কারণে আসলে এ দুটা ম্যাচ খেলা। এখানে এর বেশি নেই।’

সাকিব আরও বলেছেন, আমেরিকা থাকলে ফেসবুকে বেশি সময় কাটানো হয়, দেশে থাকলে সময় পাই না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দেখলে আমার একটু হাসিই পায় যে মানুষ কত রকম চিন্তা করতে পারে। যা হয়েছে বিসিবি আর আমার আলোচনার মধ্যেই হয়েছে। কারণ আমাদের অন্যান্য খেলোয়াড়েরও দেখা জরুরি। বিভিন্ন ধরনের কম্বিনেশন তৈরি করতে হলে আমাদের কী অবস্থায় থাকতে হবে, সে প্রস্তুতিটা নিতে পারি।’

১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে সাকিব বলেছেন, বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কিনা, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড়-ছোট দল নেই। আমাদের বিশ্বাসটা দরকার। ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব।