img

রাজধানী থেকে এবার টিকটকে আসক্ত’ ৩ বোন নিখোঁজ

প্রকাশিত :  ০৯:৪৬, ১৯ নভেম্বর ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৫৫, ১৯ নভেম্বর ২০২১

রাজধানী থেকে এবার টিকটকে আসক্ত’ ৩ বোন নিখোঁজ
জনমত ডেস্ক : রাজধানীর আদাবর এলাকার একটি বাসা থেকে একসঙ্গে তিন বোন নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইবোন এসএসসি পরীক্ষার্থী। নিখোঁজ ৩ জন হলেন- বড় বোন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোকেয়া (১৮), মেজো বোন জয়নব আরা (১৭) ও ছোট বোন খাদিজা আরা (১৬)। মেজো বোন জয়নব আরা ও ছোট বোন খাদিজা আরা এবার একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৪ মিনিটের দিকে তারা আদাবরের শেখেরটেকের পিসিকালচারের খালার বাসা থেকে বের হন। এ ঘটনায় তাদের খালা সাজিদা নওরীন আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে,বাসা থেকে যাওয়ার সময় তারা ব্যাগে পিএসসি, জেএসএসসির সার্টিফিকেট, টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। নিখোঁজ তিন শিক্ষার্থী টিকটকে আসক্ত ছিলেন বলেও পারিবার জানায়।
নিখোঁজদের খালা সাজিদা নওরীন গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বড় বোন তিন বছর আগে মারা যান। আর দুলাভাই অন্য জায়গায় বিয়ে করেছেন। আমার তিন ভাগ্নি খিলগাঁওয়ে আমার ছোট বোনের বাসায় থাকতো । জয়নব ও খাদিজা এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। তাদের কেন্দ্র ছিল ধানমন্ডি গার্লস হাইস্কুলে। সে কারণে আদাবরে আমার বাসায় এসে তারা দুজন পরীক্ষা দিচ্ছিল। গত ১৫ তারিখে একটি পরীক্ষা হয়েছে। বাকি ছিলো আরও দুটি পরীক্ষা । এর মধ্যেই হঠাৎ তারা তিনজন কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে একসঙ্গে বেরিয়ে যায়।
তিনি বলেন, নিখোঁজের পরপরই আদাবর থানায় যাই। কিন্তু থানা থেকে প্রথমে জিডি কিংবা মামলা না নিতে চাইলে আমি কান্নাকাটি করি। আমার কান্নাকাটি দেখে তারা প্রায় দেড় ঘণ্টা পর একটি জিডি লিপিবদ্ধ করে।
সাজিদা নওরীন বলেন, তার তিন ভাগ্নি টিকটক ও ইনস্টগ্রামে আসক্ত ছিল। টিকটকের মাধ্যমে কারও প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে তারা বাসা থেকে বের হয়ে যেতে পারে বলে আমার ধারণা। তারা যাওয়ার সময় তাদের পিএসসি, জেএসএসসির সার্টিফিকেট, টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। বয়স কম হওয়ায় তাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করতাম। তারা আমাদের মোবাইল ছাড়া অন্য কোনো মোবাইল ব্যবহার করতো না। তবে তারা লুকিয়ে কোনো মোবাইল ব্যবহার করতো কিনা তা আমরা জানি না। তারা যেন নিরাপদে ফিরে আসে এটাই আমার চাওয়া।
এ বিষয়ে আদাবর থানা উপ-পরিদর্শক আব্দুল মোমেন বলেন, ওই বাসার সিসিটিভির ফুটেজ আমরা দেখেছি,তাতে দেখা গেছে তারা তিনজন ব্যাগ গুছিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আমরা তাদের অবস্থান শনাক্তের বিষয়ে কাজ করছি। এখনও তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারিনি। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্লবী থেকে তিন কলেজছাত্রী নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও সনদ নিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। নিখোঁজের ৫ দিন পর ৬ অক্টোবর মিরপুরে প্রবেশের সময় তাদের উদ্ধার করে র‍্যাব-৪ এর একটি টিম।
img

রুমা ও বিলাইছড়ি সীমান্তে ‘গোলাগুলি’, আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত :  ১৫:৫৮, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:০০, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকা রুমা ও বিলাইছড়ি সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মাঝে, ভয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে বাজারের সব দোকানপাট।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউপি সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়থলি ইউপির এক বাসিন্দা জানান, বিকেল থেকে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন এলাকাবাসীরা।

তবে কাদের সঙ্গে এই গোলাগুলি চলছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুমার বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, গোলাগুলির কথা শোনার পর বাজারের সব দোকানদার দোকানপাট বন্ধ করে চুপচাপ বসে আছেন। খুবই আতঙ্কে আছেন বলে জানান তিনি।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু ইউপি, রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি-বোমার আওয়াজ এলাকাবাসীরা শুনেছেন। এলাকাবাসীদের ধারনা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি চলছে।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে। এতে এই পর্যন্ত গ্রেফতার ৬৬ জন কারাগারে এবং এদের মধ্যে ৫২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।