img

অন্ধ্র প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাত, ১৭ জনের মৃত্যু ও নিখোঁজ শতাধিক

প্রকাশিত :  ০৭:৫৮, ২০ নভেম্বর ২০২১

অন্ধ্র প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাত, ১৭ জনের মৃত্যু ও নিখোঁজ শতাধিক

জনমত ডেস্ক : ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। গত মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যটিতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মন্দিরের শহর বলে পরিচিত রাজ্যের তিরুপতিতে শত শত তীর্থযাত্রী বন্যায় আটকা পড়েছেন। তিরুমালা পাহাড়ে যেতে রাস্তাঘাট এবং হাঁটার পথসহ আশপাশের বাড়িঘর ও মন্দিরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিরুপতির উপকণ্ঠে অবস্থিত স্বর্ণমুখী নদী প্লাবিত হয়েছে এবং জলাধারগুলো উপচে পড়ছে। অসংখ্য মানুষ এই বন্যায় আটকা পড়েছেন। রাষ্ট্রীয় পরিবহনের তিনটি বাস বিকল হয়ে পড়েছে এবং সেখান থেকে অন্তত ১২ জনকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশ এবং রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা টিম পাঠানো হয়েছে। ফলে উদ্ধার তৎপরতা পুরোদমে চলছে। বন্যায় রেললাইন, সড়ক ও বিভিন্ন স্থান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রায়ালসীমা অঞ্চল। এছাড়া চিত্তুর, কাদাপা, কুরনুল এবং অনন্তপুর জেলায়ও বন্যার প্রভাব পড়েছে। কাদাপা বিমানবন্দর ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

img

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪১

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৭ জন। 

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার এক কর্মকর্তা।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাঁট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত আমরা ৩৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে আজ সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন। বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস।

এখন পর্যন্ত কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি ইলহাম ওয়াহাব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তল্লাশি অভিযানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

বন্যার কারণে রাস্তাঘাট যেন নদীতে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় মসজিদ এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ভেসে গেছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় বন উজাড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২২ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় দুই শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।