img

আগামী বছরের গোড়াতেই ভারতীয় সেনার অস্ত্র হবে এস-৪০০

প্রকাশিত :  ১০:৪৩, ২০ নভেম্বর ২০২১

আগামী বছরের গোড়াতেই ভারতীয় সেনার অস্ত্র হবে এস-৪০০

জনমত ডেস্ক : লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চিনা ফৌজের মোকাবিলার উদ্দেশে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা মোতায়েন করবে ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, আগামী বছরের গোড়াতেই রাশিয়া থেকে আনা দু’টি এস-৪০০ উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন করা হবে।
ভারতীয় সেনার ‘এয়া ডিফেন্স রেজিমেন্ট’-এর নিয়ন্ত্রণে এস-৪০০ মোতায়েন হওয়ার পরে এলএসসি-তে শক্তির ভারসাম্যে বেজিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লি পাল্লা দিতে পারবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। শুধু ক্ষেপণাস্ত্র নয়, এই প্রযুক্তির সাহায্যে শত্রুর বিমান এবং ড্রোনও ধ্বংস করা যাবে।
২০১৯ সালের গোড়ায় আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ কেনার চুক্তি বাতিল করলে ভারত টার্মিনাল হাই অলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) এবং পেট্রিয়ট-৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা পাবে। কিন্তু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের তুলনামূলক বিচার করে এস-৪০০ কেনার সিদ্ধান্তে অটল থাকে নয়াদিল্লি। রাশিয়ার থেকে চিনও এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কিনেছে।
ডিসেম্বরে ভারত সফরে পুতিন, মোদীর সঙ্গে বৈঠকে গুরুত্ব পাবে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
‘গ্যাস চেম্বার’ দিল্লিতে বাড়ছে ফুসফুসের সমস্যা, সূক্ষ্ম ধূলিকণাকে দুষছেন চিকিৎসকেরা
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে প্রথম রুশ বাহিনীতে এস-৪০০ অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৪-য় এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনার বিষয়ে মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ করে নয়াদিল্লি। এর পর আমেরিকার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ২০১৮ সালের অক্টোবরে পুতিনের দিল্লি সফরের সময় এ বিষয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসে প্রথম দফায় দু’টি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা রাশিয়া থেকে ভারতে এসে পৌঁছনোর কথা। পরের দফায় আসবে আরও তিনটি।

img

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১৩:২৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটে ১৬তম অবস্থানে রয়েছে। এই ইন্টারনেট সেবায় মিয়ানমার, জিম্বাবুয়ে, ইরাক ও নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো বাংলাদেশের ওপরে অবস্থান করছে।

সূচক অনুসারে, মার্চে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। পাশপাশি আপলোডের স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এছাড়া ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ডাউনলোডের গড় গতি ১০৫.৮৫ এমবিপিএস।

মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ মোবাইল ইন্টারনেট গতি সূচকে শীর্ষে অবস্থান করছে। ৩১৩.৩০ এমবিপিএস গতি নিয়ে কাতার ১ নম্বরে, ২৯৬ এমবিপিএস গতি নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২ নম্বরে এবং ২২৮.৬৪ এমবিপিএস গতি নিয়ে কুয়েত তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নিজেদের স্পিডটেস্ট অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া লাখ লাখ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা দেয়।