স্মরণ সভায় বক্তাগণ

img

বৃটেনে ইসলামী শিক্ষা বিস্তার ও মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় মাওলানা তহুর উদ্দীন গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রচনা করে গেছেন

প্রকাশিত :  ১৮:০৮, ২৩ নভেম্বর ২০২১

বৃটেনে ইসলামী শিক্ষা বিস্তার ও মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় মাওলানা তহুর উদ্দীন গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রচনা করে গেছেন

সৈয়দ নাঈম আহমদ, লন্ডন: লন্ডন ইসলামিক স্কুল ও এশাআতুল ইসলাম  ফোর্ডস্কয়ার মসজিদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও দীর্ঘকালীন প্রধান পরিচালক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের আমৃত্যু সম্মানিত উপদেষ্টা হযরত মাওলানা তহুর উদ্দীন সাহেব রাহমাতুল্লাহি আলাইহি স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় লন্ডনের বিশিষ্ট উলামায়ে কেরাম, ইসলামী শিক্ষাবিদ ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ বলেছেন মাওলানা তহুর উদ্দীন ইসলামী শিক্ষা বিস্তার ও বিশালায়তন মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় গৌরবোজ্জল ইতিহাস রচনা করে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি তাঁর অমর কীর্তি গাঁথার জন্য মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন যুগের পর যুগ । 

উলামায়ে কেরাম মরহুম মাওলানা তহুর উদ্দীনের অভুলনীয় কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি নামে ও কাজে- কর্মে বাস্তবিক অর্থেই \"বড়হুজুর\" ছিলেন। তাঁর মত নিবেদিত প্রাণ কর্মবীর ও দ্বীনের একনিষ্ঠ খাদিম মনীষা কমই  অস্তিত্ব লাভ করেন। তিনি ছাত্র শিক্ষক, আলেম সমাজ ও পুরো কমিউনিটির মান্যবর মুরব্বী ও প্রাজ্ঞ অভিভাবক হিসেবে বৃটেনে দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় কাল পর্যন্ত যে অতুলনীয় কর্ম দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন ও ঈর্ষণীয় সফলতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন, তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ। 

বক্তাগন মরহুম মাওলানা তহুর উদ্দীনের মার্জিত চরিত্র, স্নেহ মমতা, সুখে দুঃখে সকল কে শান্তনা ও সুপরামর্শ দান এবং সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা ইত্যাদি অনুসরণীয় চারিত্রিক গুণাবলীর ভূয়সি প্রশংসা করে বলেন এমন বহুমাত্রিক প্রতিভা ও গুণাবলীর অধিকারী মহান ব্যক্তিত্ব দুনিয়াতে কমই জন্ম গ্রহণ করে থাকেন। বক্তাগন মাওলানা তহুর উদ্দীন বড়হুজুরের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বলেন লন্ডনের ফোর্ডস্কয়ার মসজিদ ও এশাআতুল ইসলাম মাদ্রাসার প্রতিটি ইট ও বালুকণার মধ্যে এবং মাদ্রাসার অবকাঠামোগত ও একাডেমিক প্রতিটি উন্নয়নের ছোঁয়ায় মাওলানা তহুর উদ্দীন সাহেবের শ্রম, মেধা, অভিজ্ঞতা ও মায়াময় স্মৃতি একাকার হয়ে আছে , থাকবে। তিনি তাঁর অপ্রতিরোধ্য রুহানী শক্তির মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠান কে দ্রুত উন্নতির শিখরে পৌঁছিয়েছেন, যা তাঁর ও অন্যান্য পূর্বসূরী বুযুর্গদের জিন্দা কেরামত  বলতে হয়। স্মরণ সভায় মাওলানা তহুর উদ্দীন সাহেব রাহমাতুল্লাহি আলাইহির আত্মার মাগফিরাত ও পরকালীন মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য কায়মনোবাক্যে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

২১ নভেম্বর, রবিবার বাদ মাগরিব এশা’আতুল ইসলাম ফোর্ড স্কোয়ার মসজিদে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন এশা’আতুল ইসলাম ফোর্ড স্কোয়ার মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা শামসুল হক ও লন্ডন ইসলামিক স্কুলের হেড টিচার মাওলানা আব্দুল হাদী। দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনায় মরহুম মাওলানা তহুর উদ্দিন সাহেবের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের আলোকপাত করা হয়। 

আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন হাফিজ মাওলানা শামছুল হক, শাইখুল হাদিস হযরত মুফতী আব্দুর রহমান, মুফতি আব্দুল মালিক, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মুফতী মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম, মাওলানা সৈয়দ আশরাফ আলী, মাওলানা ফয়েজ আহমদ, মুফতি মওসুফ আহমদ, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ, মুফতী ছালেহ আহমদ, মাওলানা মাহবুবুর রহমান তালুকদার, হাফিজ মাওলানা মুবারক আলী, মাওলানা এনাম উদ্দিন, হাফিজ হোসাইন আহমদ, মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ, মাওলানা ছাদিকুর রহমান প্রমুখ। মোনাজাত পরিচালনা করেন শায়খ মাওলানা জমশেদ আলী।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর