চলন্ত বাস থেকে শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে উপর দিয়েই চালিয়ে দিল বাস!
প্রকাশিত :
১৭:৩৯, ২৭ নভেম্বর ২০২১ সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৫০, ২৭ নভেম্বর ২০২১
জনমত ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করায় রহমত উল্লাহ নামে এক স্কুলশিক্ষককে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে চালকের সহকারী। এরপর তার পায়ের ওপর দিয়েই চালিয়ে দেওয়া হয় বাস। এতে ওই শিক্ষকের পা, হাত ও মুখে মারাত্মক জখম হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মেহেদিবাগ ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। রহমত উল্লাহ নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার হাবিবউল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। রহমত উল্লাহর সহকর্মীরা জানান, তিনি সদরঘাট এলাকার পিটিআই (প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) প্রশিক্ষণার্থী। অক্সিজেন এলাকার বাড়ি থেকে পিটিআইয়ে আসা-যাওয়া করতেন। পিটিআই যাওয়ার উদ্দেশে তিনি শনিবার সকালে ওই বাসে উঠেন। বাসের সহকারী ও চালক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছিলেন। তিনি প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। তিনি স্টেশন রোডের বটতলি এলাকায় নেমে যেতে চাইলে তা না দিয়ে পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চালকের সহকারী ধাক্কা দিয়ে তাকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, চালক ও সহকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এক বন্ধুকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না : সেনাপ্রধান
প্রকাশিত :
১৪:৪৮, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ সর্বশেষ আপডেট: ১৭:০৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এক বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত প্রতিরক্ষা কূটনীতিবিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সেনাপ্রধান বলেছেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু আপনারা জানেন, মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো। কারণ, সব দেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। এই বাস্তবতা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থ ও কৌশলের জন্য সামরিক কৌশল দরকার এবং এটির মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের অবস্থান ঠিক করি। বিচ্ছিন্নভাবে এটি অর্জন করার সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে আমাদের তাই ভাবনা আসে, কে নেতৃত্ব দেবে বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে। এটি কখনো কখনো সমস্যার তৈরি করে।
এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রিমিয়াম টিম বলে মনে করা হয়। জাতিসংঘের যেকোনো শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ এখন আলাদা সম্মানের জায়গা দখল করে আছে।
শান্তিরক্ষা মিশনে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যখন মধ্য আফ্রিকায় মিশনে গেলাম, তার এক মাস পর অর্থাৎ অক্টোবরে বড় রকমের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলাম। শুধু আমার গাড়ি বুলেট প্রুফ হওয়ার কারণে সেদিন জানে বেঁচে ফিরতে পেরেছি। সেদিন আমার আশেপাশের অনেক সৈন্য আহত হয়েছিল। এভাবেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জীবন বাজি রেখে শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়ে এনেছে।
সেনাপ্রধান বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেটি আমরা শুরু করেছিলাম কিন্তু শেষ করতে পারিনি। কারণ, পরবর্তীতে সেটি আমাদের হাতে থাকেনি। যখনই আমি ব্যবসা খাতের জন্য একটি সম্ভাবনা খুঁজে বের করলাম, সেটি পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চলে যায়। কাজেই এখানে যে প্রস্তাব এসেছে, সেটি আমি সমর্থন করি এবং মনে করি, একটি সংস্থা দরকার, যেটি সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করবে যার মাধ্যমে যেটি অর্জন করা হয়েছে, সেটি হারিয়ে যাবে না এবং এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ঠিক করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসের চেয়ারম্যান এ এফ এম গাওসোল আযম সরকার এবং স্বাগত বক্তব্য দেন বিস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু বকর সিদ্দিক খান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।