নৌকায় ভোট চাওয়ায় আ.লীগ কর্মীর রক্ত শুষে নেওয়ার হুমকি

প্রকাশিত :  ০৮:৩০, ২৮ নভেম্বর ২০২১

নৌকায় ভোট চাওয়ায় আ.লীগ কর্মীর রক্ত শুষে নেওয়ার হুমকি

জনমত ডেস্ক : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় নৌকা প্রতীকের ভোট চাওয়ায় সিরিঞ্জ দিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীর রক্ত শুষে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ ওঠেছে।
এমন অভিযোগ পরাজিত প্রার্থী বিএনপি নেতা হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে নিরাপত্তা চেয়ে শুক্রবার রাতে দোয়ারাবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মামুনপুর গ্রামের বাসিন্দা বদরুল ইসলাম, মিরপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়া ও জুয়েল মিয়া।
হারুন দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সুরমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিমের (বীর প্রতীক) কাছে পরাজিত হন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের খাগুরা গ্রামের বাসিন্দা হারুন তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর থেকে গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের মামুনপুর গ্রামের বদরুল ইসলামকে কল দিয়ে রক্ত তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোমার এতো বড় সাহস, তুমি নির্বাচনের দিন মশিউরের কাছে নৌকায় ভোট চাইছো। তুমি, রফিক এবং হাছান আলীর ছেলে জুয়েল তোমরা যারা নৌকার হয়ে ভোট চাইছো, তোমাদেরকে বেঁধে তোমাদের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার করব। টাকা উদ্ধার করতে না পারলে সিরিঞ্জ দিয়া তোমারদের রক্ত তুলে নেব।\'
বদরুল ইসলামের সঙ্গে হারুনের এই কথোপকথনের কল রেকর্ড ইতোমধ্যে অনেকের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গে হারুন বলেন, ‘আমি বদরুলের কাছে সিমেন্টের টাকা পেতাম, আমি টাকা চেয়েছি সে টাকা দিতে টালবাহানা করেছে। আমি তাকে বলেছি নির্বাচন আমার বিরুদ্ধে করে টাকা কামিয়েছো, এখন আমার টাকা এনে দাও। পরে সে কাল শুক্রবার টাকা দিয়েছে।’
এই ব্যাপারে সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলেন, ‘নৌকার পক্ষে কাজ করায় আওয়ামী লীগের কর্মীদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন আমার প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী হারুন অর রশীদ। গতকাল শুক্রবার থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছি। অভিযোগ করে বাড়ি ফেরার পথে আমার এক কর্মীকে মারধর করেছে হারুন অর রশীদ। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমার কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় আছে। আমি বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক মহোদয়কেও অবগত করেছি।\'
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, ‘শুক্রবার হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এনিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে জিডি করার পর কাউকে মারধরের কোনো অভিযোগ পাইনি।\'

৪ দিন পর সোনাই নদীতে মিলল হবিগঞ্জের নিখোঁজ যুবকের মরদেহ

প্রকাশিত :  ১৯:৩১, ১৮ মার্চ ২০২৪

চার দিন দিন পর সোমবার সকালে সোনাই নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া বুলবুল আহমেদ হৃদয়ের (২০) লাশ।

বুলবুল আহমেদ হৃদয় চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলানগর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বুলবুল আহমেদ হৃদয় সোনাই নদীতে মাছ ধরতে যান। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন উৎকণ্ঠিত হয়ে এলাকায় বুলবুলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে মাইকিং করে। লোকজন এসময় নদীর পাড়ে বুলবুলের ব্যবহৃত জুতা ও মাছ ধরার সরঞ্জাম দেখতে পায়। কিন্তু বুলবুলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওইদিন রাতেই এ ব্যাপারে মাধবপুর থানায় জিডি করা হয়।

নিখোঁজ হওয়ার ৪ দিন পর সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন বুলবুলের ভাসমান লাশ নদীতে দেখতে পায়। খবর পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা লাশ উদ্ধার করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। প্রাথমিকভাবে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নাই।