’ওমিক্রন যে ‘ভয়ংকর’ সে বিষয়ে এখনো কোনো প্রমাণ মেলেনি’
প্রকাশিত :
০৭:৪১, ০২ ডিসেম্বর ২০২১ সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৫০, ০২ ডিসেম্বর ২০২১
অস্ট্রেলিয়ার চিফ মেডিক্যাল অফিসারের দাবি
করোনার নতুন ওমিক্রন্ট ভ্যারিয়েন্ট অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় যে ভয়ঙ্কর সে বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি বলে দাবি জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার চিফ মেডিক্যাল অফিসার পল কেলি। পল কেলি বলেন,‘ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ৩০০ এর মতো করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের সবার মধ্যে মৃদু লক্ষণ রয়েছে আবার অনেকের মধ্যে তা নেই। ’ অস্ট্রেলিয়াতে এরইমধ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সাতজন রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে । এরমধ্যে ছয় জন নিউ সাউথ ওয়েলসের যা অস্ট্রেলিয়ার একটি জনবহুল রাজ্য। কেলি বলেন,‘ সারা বিশ্বে যারা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে তাদের বেশিরভাগ করোনার টিকা নিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে করোনার ভ্যাকসিন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কাজ করবে না।’ অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনকে আনুষ্ঠানিকভাবে 'উদ্বেগজনক ভেরিয়েন্ট' হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ডাব্লিউএইচও।
কোভিডের চেয়েও ১০০ গুণ খারাপ হতে পারে বার্ড ফ্লু !
প্রকাশিত :
০৯:৪৮, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৫৫, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
পুরো বিশ্ব এখনও করোনাভাইরাস মহামারি থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসেনি। এরই মধ্যে এখন এইচফাইভএনওয়ান অর্থাৎ বার্ড ফ্লু মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। এটি কোভিড-১৯ এর থেকেও মারাত্মক একটি রোগ। বিজ্ঞানীরা এবং বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়েই সতর্ক করে জানিয়েছেন যে বার্ড ফ্লু মহামারী করোনার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি বিপজ্জনক হতে পারে এবং এর ফলে সংক্রামিতদের ৫০ শতাংশের মৃত্যুও হতে পারে।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বার্ড ফ্লু মহামারি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এইচফাইভএনওয়ান ভাইরাস কোভিড-১৯-এর চেয়ে বহুগুণ বেশি ধ্বংসাত্মক হতে পারে। ব্রিটেন ভিত্তিক ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বার্ড ফ্লুর এইচফাইভএনওয়ান স্ট্রেন ভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি হয়ে উঠতে পারে। এমনটাই নাকি ইঙ্গিত দিয়েছেন ভাইরাস নিয়ে গবেষণাকারী বিজ্ঞানীরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গত দুই দশকে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের কারণে ৪৬০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই সরাসরি পাখি থেকে সংক্রমিত পেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই গরু, বিড়াল এবং মানুষ সহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে বেশ কিছু এইচফাইভএনওয়ান সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। এই ভাইরাস এখন দ্রুতগতিতে মানুষের মধ্যেও ছড়াতে শুরু করেছে। সম্প্রতি, টেক্সাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা তারই জ্বলন্ত উদাহরণ।
স্তন্যপায়ী প্রাণীর থেকে হতে পারে সংক্রমণ
টেক্সাসে গরুর সংস্পর্শে আসা এক ব্যক্তি বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন। রোগীকে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যক্তির বার্ড ফ্লুর একমাত্র লক্ষণ হিসাবে তাঁর চোখ লাল হতে দেখা গিয়েছিল। বার্ড ফ্লু, যা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামেও পরিচিত, একটি ভাইরাস যা প্রাথমিকভাবে পাখিদের প্রভাবিত করে। এদিকে গরুর থেকে এই সংক্রমণ হওয়ায় স্বাস্থ্য আধিকারিকরা তাই বলেছেন যে বিশ্বব্যাপী কোনও স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে এই ধরণের বার্ড ফ্লু সংক্রমণের এটি প্রথম পরিচিত ঘটনা।
৬) আপনি অসুস্থ হলে, একজন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং অন্য ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন।
মানুষের মধ্যে বার্ড ফ্লু সনাক্ত করা কঠিন
২০২০ সাল থেকে, বার্ড ফ্লু ভাইরাস বিভিন্ন দেশে কুকুর, বিড়াল, ভাল্লুক এমনকি সীলের মতো প্রাণীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। সাবেক সিডিসি মহামারী বিশেষজ্ঞ ডাঃ আলী খান এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আমেরিকান প্রাণীদের মধ্যে এই রোগ শনাক্ত করা সহজ নয়। ১৯৯৭ সালে হংকংয়ে ছড়িয়ে পড়ার সময় এই বার্ড ফ্লু ভাইরাসটি প্রথম মানুষের জন্য হুমকি হতে পারে, তা জানা গিয়েছিল।